গরমে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে উপকারী যেসব ফল
Published: 17th, April 2025 GMT
ভ্যাবসা গরমে শরীর খুব দ্রুত ডিহাইড্রেট হতে থাকে। এর ফলে ত্বকও উজ্জ্বলতা হারায়। তাই এসময় ত্বকের দিকে বিশেষ নজর দেওয়া জরুরি।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে এ সময় নানা ধরনের ফল খেতে পারেন। গরমকালে শরীরকে হাইড্রেট রাখতে ও ত্বক উজ্জ্বল রাখতে স্বাস্থ্যের যত্ন কয়েক ধরনের ফল খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন। যেমন-
পাকা পেঁপে
গরমের সময় প্রচুর পরিমাণে পাকা পেঁপে খাওয়ার চেষ্টা করুন। এতে থাকা প্যাপাইন ও এনজাইম ত্বকের জন্য খুব ভালো। এসব উপাদান ত্বককে উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি ব্রণের সমস্যাও কমায়।
তরমুজ
গরমকালে তরমুজ খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুব ভালো। এতে থাকা ভিটামিন সি ও লাইকোপেন ত্বককে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। শরীরে পানি ঘাটতিও হবে না। এই ফলে থাকা নানা উপাদান শরীরে কোলেজেন উৎপাদন করতে সাহায্য করবে।
আম
গ্রীষ্মের ফল আম খেতে কমবেশি সবাই পছন্দ করে। আমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি থাকে। যা ত্বককে ভালো রাখতে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি মুখের বলিরেখা কমাতেও সাহায্য করে। তবে প্রচুর পরিমাণে আম খেলে পেটের সমস্যা হতে পারে।
আনারস
আনারস খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী। এতে থাকা ভিটামিন সি ও ম্যাঙ্গানিজ ত্বককে উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, মুখে যদি কোনও কালো দাগ থাকে সেটাও কমবে। এমনকি বার্ধক্য কমাতেও সাহায্য করে আনারস।
কিউই
ফল খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুব ভালো। গরমকালে কিউই ফল খেলে ত্বক ভালো থাকবে। ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরবে। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় এই ফল ত্বককে নরম রাখতে সাহায্য করে।
স্ট্রবেরি
স্ট্রবেরিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকায় এটি ত্বককে সূর্যের ক্ষতির হাত থেকে বাঁচাতে সাহায্য করে। এমনকি বলিরেখা কমাতেও সাহায্য করে। প্রতিদিন এই ফল খেলে আপনার ত্বক ডিহাইড্রেট হবে না।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স হ য য কর র জন য খ ব ত বক র বল র খ ত বকক
এছাড়াও পড়ুন:
মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার নামে প্রতারণার ফাঁদ
ফরিদপুর সদর উপজেলায় একটি পরিবারের বিরুদ্ধে মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার নামে অভিনব প্রতারণার ফাঁদ তৈরি করে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। কয়েক বছর ধরে মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার নামে ওয়াজ মাহফিল আয়োজন করে প্রবাসীসহ বিশিষ্টজনদের কাছ থেকে অর্থ ওঠানো হলেও মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠায় কোনো বাস্তব উদ্যোগ দৃশ্যমান নয়। প্রস্তাবিত মাদ্রাসার জন্য এখনও এক ছটাক জমিও কেনা হয়নি, এমনকি কোনো ব্যাংক হিসাব নম্বরও খোলা হয়নি। শুধু মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার কথা বলে টাকা তোলার একটি কার্যক্রমই দৃশ্যমান!
মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার নামে অভিনব প্রতারণার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা হলেন ফরিদপুর সদর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের পরমানন্দপুর বাজার এলাকার বাসিন্দা মীর ইন্তাজ আলী ও তাঁর তিন ছেলে মো. ইব্রাহীম আলী, ইয়ামিন আলী ও ইয়াসিন আলী। যে মাদ্রাসার কথা বলে অর্থ সংগ্রহ করা হয়, সে প্রতিষ্ঠানের নাম ‘দারুল কুরআন মীর ইন্তাজ আলী মাদ্রাসা’। সরেজমিন ওই মাদ্রাসার কোনো অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় বাসিন্দা ও ইন্তাজ আলীর ভাতিজা মো. মিজানুর রহমান মিজান জানান, প্রস্তাবিত মাদ্রাসাটির নামে ২০২১ সাল থেকে তাদের এই অভিনব প্রতারণা শুরু হয়। মাদ্রাসার কথা বলে এ পর্যন্ত চারটি ওয়াজ মাহফিল করা হয়েছে। মুফতি আমির হামজাও এখানে এসে ওয়াজ করেছেন। প্রতি ওয়াজেই মাহফিলের মাঠ থেকে মাদ্রাসার নামে লাখ লাখ টাকা ওঠানো হয়েছে। এমনকি প্রবাসীদের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করা হয়েছে।
কল্পিত মাদ্রাসার নামে গত কয়েক বছরে প্রায় কোটি টাকা সংগ্রহ করা হয়েছে। অথচ ইন্তাজ আলী বা তাঁর ছেলেরা মাদ্রাসার নামে তোলা অর্থের বিষয়ে কারও কাছেই হিসাব দেননি। মাদ্রাসার জন্য এক ছটাক জমিও কেনেননি।
ইন্তাজ আলীর প্রতিবেশী ও কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মাসুদ মোল্লা বলেন, ইন্তাজ আলী ও তাঁর ছেলেরা একটি প্রস্তাবিত মাদ্রাসার নাম দিয়ে প্রতিবছর ওয়াজ মাহফিল করেন। তাদের বক্তব্য ছিল, এভাবে অর্থ সংগ্রহ করে মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করবেন। তারা প্রতিবছর অর্থ সংগ্রহ করেন কিন্তু মাদ্রাসার জন্য কিছু করেন না।
স্থানীয় বাসিন্দা ও সাবেক ইউপি সদস্য মো. মিলু বলেন, ওই মাদ্রাসার দৃশ্যমান কোনো কিছুই খুঁজে পাওয়া যাবে না। এমনকি প্রতিষ্ঠানের নামে কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নেই। কোনো কিছুই নেই।
অভিযোগ অস্বীকার করে মীর ইন্তাজ আলী বলেন, ইসলামের অগ্রগতির জন্য তিনি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছেন। তবে মাদ্রাসার নামে কোনো অর্থ সংগ্রহ করা হয়নি।
ইন্তাজ আলীর ছেলে ইয়ামিন আলীর ভাষ্য, এটি একটি প্রস্তাবিত মাদ্রাসা। এ মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা হতেও পারে আবার নাও হতে পারে। ইন্তাজ আলীর আরেক ছেলে প্রস্তাবিত মাদ্রাসাটির প্রতিষ্ঠাতা ইব্রাহীম আলী বলেন, মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করা হবে। অর্থ সংগ্রহ ও আত্মসাতের বিষয়টি মিথ্যা বলে দাবি করেন তিনি।
কৃষ্ণনগর ইউপি চেয়ারম্যান এ.কে.এম বাশারুল আলম বাদশা বলেন, মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার নামে ওই পরিবার প্রতারণার ফাঁদ পেতেছে। এলাকাবাসীর কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে তারা নিজেরা কোটিপতি হচ্ছে। এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে তাদের কড়া নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যে, মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা না করে আর কোনো ওয়াজ মাহফিল তারা আয়োজন করতে পারবেন না।
এ বিষয়ে ফরিদপুর সদর উপজেলা ইউএনও ইশরাত জাহান বলেন, এখনও তাঁর কাছে এ বিষয়ে কেউ লিখিত অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।