বাংলাদেশ-পাকিস্তান পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক চলছে
Published: 17th, April 2025 GMT
ঢাকায় বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক চলছে। বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বৈঠক শুরু হয়েছে। চলবে দুপুর ১টা পর্যন্ত।
বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দিচ্ছেন পররাষ্ট্র সচিব এম জসীম উদ্দিন। পাকিস্তানের পক্ষে নেতৃত্ব দিচ্ছেন দেশটির পররাষ্ট্র সচিব আমনা বালুচ।
বৈঠকে দুই দেশের সম্পর্ক, আঞ্চলিক নিরাপত্তা, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, কৃষি, বিমান যোগাযোগসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করা হচ্ছে। এছাড়া, পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের দেনা-পাওনা নিয়েও আলোচনা হতে পারে।
বৈঠকে পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারের ঢাকা সফরের সূচি নিয়েও আলোচনা হতে পারে। চলতি মাসের শেষের দিকে ইসহাক দার ঢাকা সফর করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, বৈঠকের বিষয়ে বিকেল সাড়ে ৫টায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আনুষ্ঠানিক ব্রিফিং করবেন পররাষ্ট্র সচিব এম জসীম উদ্দিন।
সম্প্রতি বাংলাদেশে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর বন্ধুত্বপূর্ণ ও কার্যকর দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক গড়ে তুলতে নতুন করে উদ্যোগ নিচ্ছে পাকিস্তান। ব্যবসা-বাণিজ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠায় উভয় দেশই আগ্রহী। এক্ষেত্রে প্রায় ১৫ বছর পর বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠকের অন্যরকম গুরুত্ব রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব বিকেলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো.
দুই দেশের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠকে যোগ দিতে বুধবার (১৬ এপ্রিল) ঢাকায় আসেন আমনা বালুচ।
২০১০ সালের নভেম্বরে ইসলামাবাদে সর্বশেষ পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক হয়েছিল। এর দীর্ঘ ১৫ বছর পর পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক আবার শুরু হলো।
ঢাকা/হাসান/রফিক
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বিশ্ববাজারে সোনার দাম ৩,৭০০ ডলারে উঠতে পারে: গোল্ডম্যান স্যাক্স
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাল্টা শুল্কের জেরে বিশ্ববাজারে যেভাবে সোনার দাম বাড়ছে, তাতে চলতি বছরের শেষ নাগাদ সোনার দাম আউন্সপ্রতি ৩ হাজার ৭০০ ডলারে উঠতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিনিয়োগ ব্যাংক গোল্ডম্যান মার্কস।
এর আগের তাদের পূর্বাভাস ছিল আউন্সপ্রতি ৩ হাজার ৩০০ ডলার। শুধু তা–ই নয়, তারা বলছে, সোনার দাম আউন্সপ্রতি ৩ হাজার ৬৫০ ডলার থেকে ৩ হাজার ৯৫০ ডলারের মধ্যে ঘোরাফেরা করতে পারে। মূলত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চাহিদা ও সোনাভিত্তিক ইটিএফ তহবিলে বিনিয়োগ বাড়বে—এই অনুমানের ভিত্তিতে এই পূর্বাভাস দিয়েছে গোল্ডম্যান স্যাক্স।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের সংবাদে বলা হয়েছে, এর মধ্যে মন্দা হলে বছরের শেষ নাগাদ সোনার দাম আউন্সপ্রতি ৩ হাজার ৮৮০ ডলারে উঠতে পারে। গত শুক্রবার এই নোটে এই পূর্বাভাস দিয়েছে গোল্ডম্যান স্যাক্স।
গোল্ডম্যান স্যাক্স আরও বলেছে, এ পরিস্থিতিতে নীতিগত অনিশ্চয়তা দূর হলে সোনার ইটিএফে বিনিয়োগ পূর্বাভাস অনুযায়ী হবে। অর্থাৎ নির্ধারিত সুদভিত্তিক ইটিএফেও বিনিয়োগ হবে। সেই বাস্তবতায় সোনার দাম অতটা বাড়বে না বলেই মনে করছে গোল্ডম্যান স্যাক্স। তখন সোনার দাম আউন্সপ্রতি ৩ হাজার ৫৫০ ডলার পর্যন্ত উঠতে পারে বলে গোল্ডম্যানের পূর্বাভাস।
এ ছাড়া চলতি বছর বিশ্বের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর সোনার চাহিদা প্রতি মাসে ৮০ মেট্রিক টনে উঠবে বরেও পূর্বাভাস। আগের বছর যা ছিল ৭০ মেট্রিক টন।
গোল্ড প্রাইস ডট অর্গের তথ্যানুসারে, বিশ্ববাজারে আজ সোনার দাম সামান্য কমেছে। সেই পরিমাণ এক ডলারের কম। তাতে বিশ্ববাজারে সোনার দাম আউন্সপ্রতি ৩ হাজার ৩১৫ ডলারে নেমে এসেছে। গত এক মাসে সোনার দাম বেড়েছে আউন্সপ্রতি ২৭৯ ডলার। গত এক বছরে বেড়েছে ৯২৬ ডলার।
সোনার ব্যবহার কেবল গয়নার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর সোনার রিজার্ভ আবার বাড়ছে। মানুষও সোনার বার ও সোনাভিত্তিক এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ডে (ইটিএফ) বিনিয়োগ বাড়ছে। ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের বার্ষিক প্রতিবেদনের তথ্যানুসারে, গত বছর সারা বিশ্বে সোনা বেচাকেনা হয়েছে ৪ হাজার ৯৭৪ টন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সোনা কেনা বাড়ছে। ২০২৪ সালে এ নিয়ে টানা তিন বছর বিশ্বের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো সম্মিলিতভাবে এক হাজার টনের বেশি সোনা কিনেছে। গত বছর সবচেয়ে বেশি সোনা কিনেছে পোল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তারা কিনেছে ৯০ টন সোনা।
বিশ্ববাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশের বাজারেও সোনার দাম বাড়ছে।