Risingbd:
2025-04-19@05:00:53 GMT

৭ দিনে অজিতের সিনেমার আয় কত?

Published: 17th, April 2025 GMT

৭ দিনে অজিতের সিনেমার আয় কত?

তামিল সিনেমার দাপুটে অভিনেতা অজিত কুমার। তাকে নিয়ে পরিচালক আধিক রবিচন্দ্রন নির্মাণ করেছেন ‘গুড ব্যাড আগলি’। অ্যাকশন কমেডি ঘরানার সিনেমাটিতে তার বিপরীতে অভিনয় করেছেন তৃষা কৃষ্ণান। গত ১০ এপ্রিল বিশ্বের ৮ হাজার পর্দায় মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটি।

চলতি বছরে ভারতের বেশ কটি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। মুক্তির প্রথম দিনে সবচেয়ে বেশি আয় করা সিনেমার তালিকায় শীর্ষে রয়েছে ‘গুড ব্যাড আগলি’ (৫১.

৫ কোটি রুপি)। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে তামিল ভাষার সিনেমা ‘বিদামুয়াচি’ (৪৮ কোটি রুপে)। তা ছাড়াও বেশ কটি রেকর্ড ভেঙেছে এটি। ৭ দিনে কত টাকায় আয় করল সিনেমাটি।

স্যাকনিল্কের তথ্য অনুযায়ী, ‘গুড ব্যাড আগলি’ সিনেমা মুক্তির প্রথম দিনে শুধু ভারতে আয় করে ২৮.১৫ কোটি রুপি (নিট), দ্বিতীয় দিনে ১৪.১ কোটি রুপি (নিট), তৃতীয় দিনে ১৮.৬৫ কোটি রুপি (নিট), চতুর্থ দিনে ২১.২ কোটি রুপি (নিট), পঞ্চম দিনে ১৪.৫ কোটি রুপি (নিট), ষষ্ঠ দিনে ৬.৬ কোটি রুপি (নিট), সপ্তম দিনে ৪.৮১ কোটি রুপি। যার মোট আয় দাঁড়িয়েছে ১০৬.০১ কোটি রুপি (নিট)। ভারতে এখন পর্যন্ত আয় করেছে ১২৫.৫ কোটি রুপি (গ্রস)। বিদেশে আয় করেছে ৫২.৫ কোটি রুপি (গ্রস)। ৭ দিনে বিশ্বব্যাপী সিনেমাটির মোট দাঁড়িয়েছে ১৮০ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৫৫ কোটি ২৮ লাখ টাকার বেশি)।

আরো পড়ুন:

রেকর্ড গড়ল অজিতের সিনেমা

৩ দিনে অজিতের সিনেমার আয় ১৫৮ কোটি টাকা

তুলনামূলকভাবে বক্স অফিসে সিনেমাটির আয় অনেকটা কমেছে। তবে অভিনেতা হিসেবে যেমন রেকর্ড গড়েছেন, তেমনি ‘গুড ব্যাড আগলি’ সিনেমার মাধ্যমে তামিল চলচ্চিত্র শিল্পকে সাফল্যের স্বাদও এনে দিয়েছেন অজিত। মুক্তির পাঁচ দিনের মাথায় ‘ড্রাগন’ সিনেমার আয় ছাড়িয়ে গেছে। এটি চলতি বছরে মুক্তি পাওয়া সবচেয়ে আয় (লাইফটাইম: ১৫২ কোটি রুপি) করা তামিল সিনেমা।

তাছাড়াও সিনেমাটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন— অর্জুন দাস, প্রভু, সুনীল, জ্যাকি শ্রফ, যোগী বাবু, প্রিয়া প্রকাশ প্রমুখ। মিথরি মুভিজ মেকারের ব্যানারে নির্মিত হয়েছে ‘গুড ব্যাড আগলি’। এতে ব্যয় হয়েছে ২০০ কোটি রুপি।

ঢাকা/শান্ত

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ ড ব য ড আগল

এছাড়াও পড়ুন:

সারাদেশে আজ ‘রাইজ ইন রেড’ কর্মসূচি কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের 

সারাদেশে আজ শনিবার ‘রাইজ ইন রেড’ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে কারিগরি ছাত্র আন্দোলন, বাংলাদেশ। দেশের সব পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের মূল ফটক অনির্দিষ্টকালের জন্য লাল কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়া হবে আজ। একযোগে বেলা ১১টা ৩০ মিনিট থেকে শান্তিপূর্ণভাবে এ কর্মসূচি পালন করা হবে। পাশাপাশি ছয় দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি না করে সড়কের দুই পাশে বা গুরুত্বপূর্ণ স্থানে শিক্ষার্থীরা প্ল্যাকার্ড হাতে মানববন্ধন করবেন।

সরকারের সঙ্গে আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার পর কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। এর অংশ হিসেবে শুক্রবার সারাদেশে কাফনের কাপড় পরে ছয় দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন আন্দোলনকারীরা। বরিশালে মহাসড়ক অবরোধ এবং চট্টগ্রামে কফিন মিছিল হয়েছে। এ ছাড়া সিলেট, রাজশাহী, বগুড়া, দিনাজপুর, রংপুর, কুমিল্লা ও ময়মনসিংহে বিক্ষোভ করেছেন তারা। আজ ‘রাইজ ইন রেড’ কর্মসূচি পালনের কথা জানানো হয়েছে। 

কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে জুমার নামাজের পর ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা কাফন মিছিল বের করেন। তেজগাঁওয়ের সাতরাস্তা এলাকায় মিছিলে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের অনেকের পরনে ও মাথায় ছিল কাফনের কাপড় বাঁধা। মিছিল থেকে বিভিন্ন স্লোগান দেওয়া হয়। স্লোগানের মধ্যে ছিল– ‘মামা থেকে মাস্টার, মামাবাড়ির আবদার’, ‘এক হও এক হও, পলিটেকনিক এক হও’, ‘ষড়যন্ত্রের কালো হাত, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’, ‘কুমিল্লায় হামলা কেন, প্রশাসন জবাব দাও’। 

কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি মাসফিক ইসলাম বলেন, সচিবালয়ে বৈঠক করে ব্যবস্থা নিতে বলেছিলাম। কিন্তু সেসবের কোনো বাস্তবায়ন নেই। বৃহস্পতিবার আমাদের কর্মসূচি শিক্ষা উপদেষ্টার আহ্বানে শিথিল করা হয়। কিন্তু বৈঠকে গিয়ে দেখি শিক্ষা উপদেষ্টাও নেই, সচিবও নেই। তাই আমরা দাবি আদায়ে জনদুর্ভোগ না হয়, এমন কঠোর কর্মসূচিতে যাব। বুধবার ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা সড়ক, মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। পরে বৃহস্পতিবার তারা সারাদেশে ‘রেল ব্লকেড’ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। তবে শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের ঘোষণায় কর্মসূচি শিথিল করেন তারা।  বৈঠকে সন্তুষ্ট না হতে পেরে আবারও আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা।

দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ ও মহাসড়ক অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা। বরিশাল ব্যুরো জানায়, ছয় দাবিতে গতকাল দুপুরে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন আন্দোলনরত কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। এ সময় কয়েক শিক্ষার্থী কাফনের কাপড় পরে সড়কের ওপর শুয়ে পড়েন। দুপুর ২টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত দেড় ঘণ্টা নগরের সরকারি হাতেম আলী কলেজসংলগ্ন চৌমাথায় মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন তারা। ফলে কুয়াকাটাসহ দক্ষিণাঞ্চলের পাঁচ জেলায় দূরপাল্লা রুটের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পুলিশের হস্তক্ষেপে শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক ছেড়ে যান। 

চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ছয় দফা দাবিতে কফিন মিছিল করেছেন চট্টগ্রামের পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ