চোট যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না নেইমারের। দীর্ঘদিনের চোট-ভাগ্য এবার আবারও যেন ফিরে এলো। অ্যাটলেটিকো মিনেইরোর বিপক্ষে সান্তোসের হয়ে মাঠে নেমে খেলার মাত্র ৩০ মিনিটের মাথায় হ্যামস্ট্রিং চোটে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন ব্রাজিলিয়ান তারকা। মাঠ ছাড়ার সময় চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি তিনি।

ম্যাচের ৩৪ মিনিটে তাকে স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়িয়ে নেওয়া হয়। তখন তার দল সান্তোস ২-০ গোলে এগিয়ে ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, বাঁ ঊরুতে হ্যামস্ট্রিংয়ের পুরনো চোটই আবার ভোগাচ্ছে তাকে।

চোট কাটিয়ে দীর্ঘদিন পর এদিন প্রথম একাদশে ফিরেছিলেন নেইমার। তার জন্য এই ম্যাচটি ছিল আরও বিশেষ, ভিলা বেলমিরোতে সান্তোসের জার্সিতে এটি ছিল তার শততম ম্যাচ। মাঠে নামেন ‘১০০’ লেখা বিশেষ জার্সি পরে। তবে সেই রূপকথার প্রত্যাবর্তন মাত্র ৩০ মিনিটেই রূপ নেয় হতাশায়।

গত মার্চেও একই কারণে জাতীয় দল এবং সান্তোসের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচগুলোতে খেলতে পারেননি নেইমার। তার আগেও ২০২৩ সালের অক্টোবরে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে উরুগুয়ের বিপক্ষে ম্যাচে গুরুতর হাঁটুর চোটে পড়েন তিনি। এরপর সৌদি ক্লাব আল হিলালের হয়ে খেলেন কিছু ম্যাচ, কিন্তু নভেম্বরেই ফের ছিটকে পড়েন মাঠের বাইরে। চোটের কারণে গত ১৮ মাসে আল হিলালের হয়ে খেলতে পেরেছেন মাত্র ৭টি ম্যাচ।

চলতি বছরের জানুয়ারিতে ফ্রি এজেন্ট হিসেবে নিজের পুরনো ক্লাব সান্তোসে ফেরেন নেইমার। তবে ক্লাব বদলালেও ভাগ্য বদলায়নি। চোট যেন এখন তার সবচেয়ে বড় প্রতিপক্ষ। তবে সান্তোস ক্লাব নেইমারের পাশে রয়েছে। ক্লাবটির এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে লেখা হয়েছে, 'প্রিন্স! পুরো সান্তোস তোমার সঙ্গেই আছে।'

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

বিশ্ববাজারে সোনার দাম ৩,৭০০ ডলারে উঠতে পারে: গোল্ডম্যান স্যাক্স

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাল্টা শুল্কের জেরে বিশ্ববাজারে যেভাবে সোনার দাম বাড়ছে, তাতে চলতি বছরের শেষ নাগাদ সোনার দাম আউন্সপ্রতি ৩ হাজার ৭০০ ডলারে উঠতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিনিয়োগ ব্যাংক গোল্ডম্যান মার্কস।

এর আগের তাদের পূর্বাভাস ছিল আউন্সপ্রতি ৩ হাজার ৩০০ ডলার। শুধু তা–ই নয়, তারা বলছে, সোনার দাম আউন্সপ্রতি ৩ হাজার ৬৫০ ডলার থেকে ৩ হাজার ৯৫০ ডলারের মধ্যে ঘোরাফেরা করতে পারে। মূলত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চাহিদা ও সোনাভিত্তিক ইটিএফ তহবিলে বিনিয়োগ বাড়বে—এই অনুমানের ভিত্তিতে এই পূর্বাভাস দিয়েছে গোল্ডম্যান স্যাক্স।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের সংবাদে বলা হয়েছে, এর মধ্যে মন্দা হলে বছরের শেষ নাগাদ সোনার দাম আউন্সপ্রতি ৩ হাজার ৮৮০ ডলারে উঠতে পারে। গত শুক্রবার এই নোটে এই পূর্বাভাস দিয়েছে গোল্ডম্যান স্যাক্স।

গোল্ডম্যান স্যাক্স আরও বলেছে, এ পরিস্থিতিতে নীতিগত অনিশ্চয়তা দূর হলে সোনার ইটিএফে বিনিয়োগ পূর্বাভাস অনুযায়ী হবে। অর্থাৎ নির্ধারিত সুদভিত্তিক ইটিএফেও বিনিয়োগ হবে। সেই বাস্তবতায় সোনার দাম অতটা বাড়বে না বলেই মনে করছে গোল্ডম্যান স্যাক্স। তখন সোনার দাম আউন্সপ্রতি ৩ হাজার ৫৫০ ডলার পর্যন্ত উঠতে পারে বলে গোল্ডম্যানের পূর্বাভাস।

এ ছাড়া চলতি বছর বিশ্বের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর সোনার চাহিদা প্রতি মাসে ৮০ মেট্রিক টনে উঠবে বরেও পূর্বাভাস। আগের বছর যা ছিল ৭০ মেট্রিক টন।

গোল্ড প্রাইস ডট অর্গের তথ্যানুসারে, বিশ্ববাজারে আজ সোনার দাম সামান্য কমেছে। সেই পরিমাণ এক ডলারের কম। তাতে বিশ্ববাজারে সোনার দাম আউন্সপ্রতি ৩ হাজার ৩১৫ ডলারে নেমে এসেছে। গত এক মাসে সোনার দাম বেড়েছে আউন্সপ্রতি ২৭৯ ডলার। গত এক বছরে বেড়েছে ৯২৬ ডলার।

সোনার ব্যবহার কেবল গয়নার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর সোনার রিজার্ভ আবার বাড়ছে। মানুষও সোনার বার ও সোনাভিত্তিক এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ডে (ইটিএফ) বিনিয়োগ বাড়ছে। ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের বার্ষিক প্রতিবেদনের তথ্যানুসারে, গত বছর সারা বিশ্বে সোনা বেচাকেনা হয়েছে ৪ হাজার ৯৭৪ টন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সোনা কেনা বাড়ছে। ২০২৪ সালে এ নিয়ে টানা তিন বছর বিশ্বের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো সম্মিলিতভাবে এক হাজার টনের বেশি সোনা কিনেছে। গত বছর সবচেয়ে বেশি সোনা কিনেছে পোল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তারা কিনেছে ৯০ টন সোনা।

বিশ্ববাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশের বাজারেও সোনার দাম বাড়ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ