এবার আর ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প নয়। চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায়ই নিতে হয়েছে রিয়াল মাদ্রিদকে। প্রথম লেগে ৩-০ গোলে হারার পর ঘরের মাঠেও দলটি আর্সেনালের কাছে ২–১ গোলে হেরে গেছে।

নিজেদের ‘প্রিয়’ চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে ছিটকে যাওয়ার পর কোচ কার্লো আনচেলত্তিকে কি সরিয়ে দেবে রিয়াল? যদি তাই হয়, তবে সে সিদ্ধান্ত হাসিমুখেই মেনে নেওয়ার ঘোষণা দিলেন আনচেলত্তি।

চ্যাম্পিয়নস লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ছিল রিয়াল। তবে চলতি মৌসুমে পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা ছিল না দলটির। গত রাতের ম্যাচটিসহ সব প্রতিযোগিতায় হেরেছে ১২টি ম্যাচে, যেখানে এর আগের মৌসুমে রিয়াল হেরেছিল মোটে ২ ম্যাচে।

গত রাতের ম্যাচটিসহ সব প্রতিযোগিতায় রিয়াল হেরেছে ১২টি ম্যাচে।.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বিশ্ববাজারে সোনার দাম ৩,৭০০ ডলারে উঠতে পারে: গোল্ডম্যান স্যাক্স

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাল্টা শুল্কের জেরে বিশ্ববাজারে যেভাবে সোনার দাম বাড়ছে, তাতে চলতি বছরের শেষ নাগাদ সোনার দাম আউন্সপ্রতি ৩ হাজার ৭০০ ডলারে উঠতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিনিয়োগ ব্যাংক গোল্ডম্যান মার্কস।

এর আগের তাদের পূর্বাভাস ছিল আউন্সপ্রতি ৩ হাজার ৩০০ ডলার। শুধু তা–ই নয়, তারা বলছে, সোনার দাম আউন্সপ্রতি ৩ হাজার ৬৫০ ডলার থেকে ৩ হাজার ৯৫০ ডলারের মধ্যে ঘোরাফেরা করতে পারে। মূলত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চাহিদা ও সোনাভিত্তিক ইটিএফ তহবিলে বিনিয়োগ বাড়বে—এই অনুমানের ভিত্তিতে এই পূর্বাভাস দিয়েছে গোল্ডম্যান স্যাক্স।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের সংবাদে বলা হয়েছে, এর মধ্যে মন্দা হলে বছরের শেষ নাগাদ সোনার দাম আউন্সপ্রতি ৩ হাজার ৮৮০ ডলারে উঠতে পারে। গত শুক্রবার এই নোটে এই পূর্বাভাস দিয়েছে গোল্ডম্যান স্যাক্স।

গোল্ডম্যান স্যাক্স আরও বলেছে, এ পরিস্থিতিতে নীতিগত অনিশ্চয়তা দূর হলে সোনার ইটিএফে বিনিয়োগ পূর্বাভাস অনুযায়ী হবে। অর্থাৎ নির্ধারিত সুদভিত্তিক ইটিএফেও বিনিয়োগ হবে। সেই বাস্তবতায় সোনার দাম অতটা বাড়বে না বলেই মনে করছে গোল্ডম্যান স্যাক্স। তখন সোনার দাম আউন্সপ্রতি ৩ হাজার ৫৫০ ডলার পর্যন্ত উঠতে পারে বলে গোল্ডম্যানের পূর্বাভাস।

এ ছাড়া চলতি বছর বিশ্বের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর সোনার চাহিদা প্রতি মাসে ৮০ মেট্রিক টনে উঠবে বরেও পূর্বাভাস। আগের বছর যা ছিল ৭০ মেট্রিক টন।

গোল্ড প্রাইস ডট অর্গের তথ্যানুসারে, বিশ্ববাজারে আজ সোনার দাম সামান্য কমেছে। সেই পরিমাণ এক ডলারের কম। তাতে বিশ্ববাজারে সোনার দাম আউন্সপ্রতি ৩ হাজার ৩১৫ ডলারে নেমে এসেছে। গত এক মাসে সোনার দাম বেড়েছে আউন্সপ্রতি ২৭৯ ডলার। গত এক বছরে বেড়েছে ৯২৬ ডলার।

সোনার ব্যবহার কেবল গয়নার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর সোনার রিজার্ভ আবার বাড়ছে। মানুষও সোনার বার ও সোনাভিত্তিক এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ডে (ইটিএফ) বিনিয়োগ বাড়ছে। ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের বার্ষিক প্রতিবেদনের তথ্যানুসারে, গত বছর সারা বিশ্বে সোনা বেচাকেনা হয়েছে ৪ হাজার ৯৭৪ টন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সোনা কেনা বাড়ছে। ২০২৪ সালে এ নিয়ে টানা তিন বছর বিশ্বের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো সম্মিলিতভাবে এক হাজার টনের বেশি সোনা কিনেছে। গত বছর সবচেয়ে বেশি সোনা কিনেছে পোল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তারা কিনেছে ৯০ টন সোনা।

বিশ্ববাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশের বাজারেও সোনার দাম বাড়ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ