গা ছমছমে গুহায় যেন রহস্যের জাল পাতা; কোথায়, কীভাবে যাবেন
Published: 17th, April 2025 GMT
বাইরে থেকে গুহায় প্রবেশের মুখ দেখলেই গা ছমছম করে। ভেতরে ঘুটঘুটে অন্ধকার। মনে হবে যেন অচিন কোনো এক রাজ্য। মশাল জ্বালিয়ে ভেতরে প্রবেশ করতে হবে। সামনে যতই পা চালাবেন, ততই গা শিউরে উঠবে। তবে মন চাইবে আরও ভেতরে যেতে। খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলা সদর থেকে ১৭ কিলোমিটার দূরে রথীচন্দ্র কারবারিপাড়া এলাকায় অবস্থিত এই গুহার নাম বাদুড়গুহা।
স্থানীয় ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের কাছে এই গুহার নাম ‘তকবাক হাকর’, অর্থাৎ বাদুড়গুহা। তবে স্থানীয় বাসিন্দারা অনেকে একে দেবতার গুহাও বলেন। গুহার পাশে রয়েছে ছোট–বড় বেশ কয়েকটি ঝরনা। তবে এসব ঝরনার সৌন্দর্য দেখতে হলে যেতে হবে বর্ষার সময়। যাওয়ার পথে পরতে পরতে রয়েছে রোমাঞ্চ, আছে ঝুঁকিও। এসব ঝুঁকি পেরিয়ে যেতে পারলেই বাদুড়গুহা দর্শন করা সম্ভব। এই গুহায় সারা বছরই ভিড় করেন পর্যটকেরা।
দীঘিনালা-খাগড়াছড়ি সড়কের আটমাইল এলাকা হয়ে যেতে হয় বাদুড়গুহায়। উঁচু-নিচু পথ পেরিয়ে রথীচন্দ্র কারবারিপাড়ায় পৌঁছাতে সময় লাগবে ৩০ মিনিটের বেশি। এরপর কাঁচা মাটির সরু রাস্তা আর উঁচু পাহাড় বেয়ে নামতে হবে অন্তত ৫০০ ফুট নিচে। নিচের গভীর খাদে রয়েছে কালো পাথর। পাথরের গা বেয়ে নামছে পানি। তার পাশে রয়েছে ঝিরি। পাহাড় ভেদ করে প্রাকৃতিকভাবে তৈরি এই গুহা দেখে হতবাক হবেন যে কেউ। ৩০ থেকে ৩৫ ফুট উঁচু গুহা। দৈর্ঘ্য প্রায় ১৬৫ ফুট। প্রস্থ চার থেকে পাঁচ ফুট। গুহাজুড়ে অন্ধকার। গুহায় ঢুকতে হলে একমাত্র ভরসা মশাল কিংবা টর্চলাইট।
মশাল নিয়ে ভেতরে যেতেই চমকে দেবে গুহার ভেতরের শীতল পরিবেশ। কিছু দূর যেতেই গুহা আরও সংকীর্ণ হয়ে ওঠে। তবে চোখ আটকে যাবে গুহার ওপরের অংশ দেখে। নিপুণ শিল্পীর মতো পাহাড়ের ওপরের খাঁজ কাটা। গুহাজুড়ে রয়েছে অসংখ্য বাদুড়ের আস্তানা। পুরো গুহা ঘুরে আসতে সময় লাগবে ২০ থেকে ৩০ মিনিট। গুহা থেকে বেরিয়ে এলে চোখে পড়বে ‘খুম’ বা জলাধার। পাহাড়ের জলপ্রপাত থেকে তীব্র শব্দে সেখানে নেমে আসে পানির স্রোত। স্বচ্ছ শীতল জল মুগ্ধ করবে যে কাউকে। শীতে পানির স্রোত কম হলেও বর্ষায় এটি ভরা থাকে।
বাদুড় গুহায় যাওয়ার পথে পড়বে এমন অনেক পাহাড়ি ঝিরি। সম্প্রতি খাগড়াছড়ির দীঘিনালার রথীচন্দ্র কারবারি পাড়া এলাকায়.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: এই গ হ
এছাড়াও পড়ুন:
গা ছমছমে গুহায় যেন রহস্যের জাল পাতা; কোথায়, কীভাবে যাবেন
বাইরে থেকে গুহায় প্রবেশের মুখ দেখলেই গা ছমছম করে। ভেতরে ঘুটঘুটে অন্ধকার। মনে হবে যেন অচিন কোনো এক রাজ্য। মশাল জ্বালিয়ে ভেতরে প্রবেশ করতে হবে। সামনে যতই পা চালাবেন, ততই গা শিউরে উঠবে। তবে মন চাইবে আরও ভেতরে যেতে। খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলা সদর থেকে ১৭ কিলোমিটার দূরে রথীচন্দ্র কারবারিপাড়া এলাকায় অবস্থিত এই গুহার নাম বাদুড়গুহা।
স্থানীয় ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের কাছে এই গুহার নাম ‘তকবাক হাকর’, অর্থাৎ বাদুড়গুহা। তবে স্থানীয় বাসিন্দারা অনেকে একে দেবতার গুহাও বলেন। গুহার পাশে রয়েছে ছোট–বড় বেশ কয়েকটি ঝরনা। তবে এসব ঝরনার সৌন্দর্য দেখতে হলে যেতে হবে বর্ষার সময়। যাওয়ার পথে পরতে পরতে রয়েছে রোমাঞ্চ, আছে ঝুঁকিও। এসব ঝুঁকি পেরিয়ে যেতে পারলেই বাদুড়গুহা দর্শন করা সম্ভব। এই গুহায় সারা বছরই ভিড় করেন পর্যটকেরা।
দীঘিনালা-খাগড়াছড়ি সড়কের আটমাইল এলাকা হয়ে যেতে হয় বাদুড়গুহায়। উঁচু-নিচু পথ পেরিয়ে রথীচন্দ্র কারবারিপাড়ায় পৌঁছাতে সময় লাগবে ৩০ মিনিটের বেশি। এরপর কাঁচা মাটির সরু রাস্তা আর উঁচু পাহাড় বেয়ে নামতে হবে অন্তত ৫০০ ফুট নিচে। নিচের গভীর খাদে রয়েছে কালো পাথর। পাথরের গা বেয়ে নামছে পানি। তার পাশে রয়েছে ঝিরি। পাহাড় ভেদ করে প্রাকৃতিকভাবে তৈরি এই গুহা দেখে হতবাক হবেন যে কেউ। ৩০ থেকে ৩৫ ফুট উঁচু গুহা। দৈর্ঘ্য প্রায় ১৬৫ ফুট। প্রস্থ চার থেকে পাঁচ ফুট। গুহাজুড়ে অন্ধকার। গুহায় ঢুকতে হলে একমাত্র ভরসা মশাল কিংবা টর্চলাইট।
মশাল নিয়ে ভেতরে যেতেই চমকে দেবে গুহার ভেতরের শীতল পরিবেশ। কিছু দূর যেতেই গুহা আরও সংকীর্ণ হয়ে ওঠে। তবে চোখ আটকে যাবে গুহার ওপরের অংশ দেখে। নিপুণ শিল্পীর মতো পাহাড়ের ওপরের খাঁজ কাটা। গুহাজুড়ে রয়েছে অসংখ্য বাদুড়ের আস্তানা। পুরো গুহা ঘুরে আসতে সময় লাগবে ২০ থেকে ৩০ মিনিট। গুহা থেকে বেরিয়ে এলে চোখে পড়বে ‘খুম’ বা জলাধার। পাহাড়ের জলপ্রপাত থেকে তীব্র শব্দে সেখানে নেমে আসে পানির স্রোত। স্বচ্ছ শীতল জল মুগ্ধ করবে যে কাউকে। শীতে পানির স্রোত কম হলেও বর্ষায় এটি ভরা থাকে।
বাদুড় গুহায় যাওয়ার পথে পড়বে এমন অনেক পাহাড়ি ঝিরি। সম্প্রতি খাগড়াছড়ির দীঘিনালার রথীচন্দ্র কারবারি পাড়া এলাকায়