নাহিদ রানা যাওয়ার আগেই ভেসে যাবে পেশোয়ারের প্লে–অফ স্বপ্ন
Published: 17th, April 2025 GMT
নাহিদ রানার গল্পটাও একই রকম হতে পারত। থাকতে পারতেন রিশাদ হোসেনের মতো আলোচনার কেন্দ্রে। জেতাতে পারতেন দলকে। তবে এসব কিছুই হয়নি। জিম্বাবুয়ে সিরিজের কারণে নাহিদ এখনো পেশোয়ার জালমিতে যোগ দেননি। তাঁর দল হেরেছে নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচে। সেটাও খুব বাজেভাবে। নাহিদ পেশোয়ারে যোগ দেওয়ার আগেই পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে থাকা দলটি টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে পড়ে কি না, এই শঙ্কাও আছে।
পিএসএল শুরু হয়েছে মাত্রই বলতে হবে। তবে নিজেদের খেলা প্রথম দুই ম্যাচেই মুখ থুবড়ে পড়েছে নাহিদ রানার দল। বোলাররা রান বিলাচ্ছেন দেদার। আর ব্যাটসম্যানদের ব্যাটেও রান নেই।
নিজেদের প্রথম ম্যাচে কোয়েটার কাছে তারা হেরেছে ৮০ রানে। কোয়েটার ২১৬ রান তাড়া করতে নেমে পেশোয়ার গুটিয়ে যায় ১৩৬ রানে। ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের বিপক্ষে পরের ম্যাচে দলটি হেরে বসে ১০২ রানে। সেই ম্যাচে পেশোয়ারের বোলাররা খরচ করে ২৪৩ রান। দলের প্রাণভোমরা বাবর দুই ম্যাচেও রান পাননি। প্রথম ম্যাচে ০ রানে আউটের পর দ্বিতীয় ম্যাচে করেন ১।
জিম্বাবুয়ে সিরিজের প্রথম টেস্ট খেলে নাহিদের পেশোয়ারে যোগ দেওয়ার কথা.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প রথম
এছাড়াও পড়ুন:
কুয়েটে গ্রাফিতিতে উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) দেয়ালে আঁকা গ্রাফিতিতে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবি করেছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে ‘শোকের গ্রাফিতি এক দফার ডাক’ শিরোনামে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে ক্যাম্পাসজুড়ে নানা ধরনের গ্রাফিতি ও দেয়াললিখন করা হয়। গ্রাফিতিতে ‘বাহ ভিসি চমৎকার সন্ত্রাসীদের পাহারাদার’, ‘এখানে সমস্ত ক্ষমতাধর নিজেরে ভাবিছে ঈশ্বর’, ‘এক দফা এক দাবি ভিসি মাসুদের পদত্যাগ’, ‘ভিসি গদি ছাড়’—এসব স্লোগান লিখতে দেখা গেছে।
এ বিষয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী গালিব রাহাত বলেন, ‘‘আমাদের ভেতর যে ক্ষোভের আগুন জ্বলছে, সেটা এভাবে সবাইকে জানিয়ে দিতে চাই। আমাদের অভিভাবক প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুসকে বলতে চাই, আমরা ভালো নেই; কুয়েটের ছাত্ররা ভাল নেই। এক দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা পিছু সরব না।’’
উল্লেখ্য, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েট ক্যাম্পাসে বহিরাগত ও ছাত্রদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এরপর থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা কুয়েট ভিসি, প্রো ভিসি, ছাত্র কল্যাণ পরিচালকের পদত্যাগ ও ছাত্র রাজনীতি বন্ধসহ ছয় দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করে। পরে ২৫ ফেব্রুয়ারি ক্যাম্পাসের একাডেমিক ও দাপ্তরিক কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে ছাত্রদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেয় কুয়েট কর্তৃপক্ষ।
গত ১৩ এপ্রিল শিক্ষার্থীরা জোর করে ক্যাম্পাসের প্রবেশে করে হল খোলার দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। ১৫ এপ্রিল রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে ৩৭ ছাত্রকে বহিষ্কার এবং আগামী ২ মে হল খুলে দেওয়া ও ৪ মে শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর সিদ্ধান্ত দেয় সিন্ডিকেট সভা। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে গত ১৬ এপ্রিল ছয়টি আবাসিক হলের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে ছাত্ররা।
অপরদিকে, শিক্ষার্থীদের উপাচার্যের পদত্যাগের এক দফা দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
ঢাকা/নুরুজ্জামান/রাজীব