কলকাতায় নিজের বাড়ি নেই কেন মিঠুনের?
Published: 17th, April 2025 GMT
‘ডিসকো ড্যান্সার’খ্যাত অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। টলিউড, বলিউডে সমান জনপ্রিয়। রাজনীতির সঙ্গেও যুক্ত তিনি। একজীবনে যশ-খ্যাতি সবই পেয়েছেন। পরিবার নিয়ে মুম্বাইয়ে নিজের বাড়িতে বসবাস করেন। ভারতীয় বাংলা সিনেমায়ও এখন নিয়মিত অভিনয় করছেন। ফলে মুম্বাই টু কলকাতা— যাওয়া আসার মধ্যে থাকেন।
মিঠুন চক্রবর্তী তার পর্দার নাম। প্রকৃত নাম গৌরাঙ্গ চক্রবর্তী। ১৯৫০ সালের ১৬ জুন বাংলাদেশের বরিশালে তার জন্ম। তবে নদীয়া জেলায় তার শৈশব-কৈশোর কেটেছে। পরে উচ্চ শিক্ষার জন্য কলকাতায় পাড়ি জমান। মজার ব্যাপার হলো, কলকাতায় মিঠুনের এখনো নিজের কোনো বাড়ি নেই। মুম্বাই থেকে কলকাতায় গেলে হোটেলে থাকেন এই অভিনেতা। কলকাতায় কেন বাড়ি নেই মিঠুনের?
কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে আড়ালের ঘটনাই সামনে এনেছেন মিঠুন। এ অভিনেতা বলেন, “দু-দুবার বাড়ি করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে মানুষ। ৮ লাখ রুপি পেতাম। মামলা করেছি। পাঁচ-ছ’লাখ এখনো ফেরত পাইনি।”
এক ঘটনা বর্ণনা করে মিঠুন চক্রবর্তী বলেন, “একবার টাকা নিয়েছে, বলেছে সব ক্লিয়ার আছে। যখন বাড়ি করতে গিয়েছি, বিডিও বলছেন, ‘এটা কার সই?’ বলেছি মালিকের, বললেন, ‘ওকে নিয়ে আসুন, জেলে পুরব, জালিয়াতি করেছে।’ মানে, আমাকে এমন সব ভুয়া কাগজপত্র দিয়েছে। সেজন্যই ভেবেছি, ভগবান বোধহয় চান না এখানে কিছু হোক!”
এসব তিক্ত অভিজ্ঞতার পর কলকাতায় বাড়ি করার ইচ্ছাটাই যেন মিটে গেছে মিঠুনের! কাজের প্রয়োজনে যতদিন কলকাতায় থাকতে হয়, ততদিন হোটেল কিংবা বন্ধুর বাড়িতেই থাকেন এই অভিনেতা।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
কুয়েটে গ্রাফিতিতে উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) দেয়ালে আঁকা গ্রাফিতিতে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবি করেছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে ‘শোকের গ্রাফিতি এক দফার ডাক’ শিরোনামে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে ক্যাম্পাসজুড়ে নানা ধরনের গ্রাফিতি ও দেয়াললিখন করা হয়। গ্রাফিতিতে ‘বাহ ভিসি চমৎকার সন্ত্রাসীদের পাহারাদার’, ‘এখানে সমস্ত ক্ষমতাধর নিজেরে ভাবিছে ঈশ্বর’, ‘এক দফা এক দাবি ভিসি মাসুদের পদত্যাগ’, ‘ভিসি গদি ছাড়’—এসব স্লোগান লিখতে দেখা গেছে।
এ বিষয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী গালিব রাহাত বলেন, ‘‘আমাদের ভেতর যে ক্ষোভের আগুন জ্বলছে, সেটা এভাবে সবাইকে জানিয়ে দিতে চাই। আমাদের অভিভাবক প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুসকে বলতে চাই, আমরা ভালো নেই; কুয়েটের ছাত্ররা ভাল নেই। এক দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা পিছু সরব না।’’
উল্লেখ্য, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েট ক্যাম্পাসে বহিরাগত ও ছাত্রদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এরপর থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা কুয়েট ভিসি, প্রো ভিসি, ছাত্র কল্যাণ পরিচালকের পদত্যাগ ও ছাত্র রাজনীতি বন্ধসহ ছয় দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করে। পরে ২৫ ফেব্রুয়ারি ক্যাম্পাসের একাডেমিক ও দাপ্তরিক কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে ছাত্রদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেয় কুয়েট কর্তৃপক্ষ।
গত ১৩ এপ্রিল শিক্ষার্থীরা জোর করে ক্যাম্পাসের প্রবেশে করে হল খোলার দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। ১৫ এপ্রিল রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে ৩৭ ছাত্রকে বহিষ্কার এবং আগামী ২ মে হল খুলে দেওয়া ও ৪ মে শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর সিদ্ধান্ত দেয় সিন্ডিকেট সভা। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে গত ১৬ এপ্রিল ছয়টি আবাসিক হলের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে ছাত্ররা।
অপরদিকে, শিক্ষার্থীদের উপাচার্যের পদত্যাগের এক দফা দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
ঢাকা/নুরুজ্জামান/রাজীব