যাদুকাটা নদীতে নৌকা প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
Published: 17th, April 2025 GMT
সুনামগঞ্জের সব বালুমহালের ইজারা বাতিলের ঘোষণার পর অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও পরিবহন ঠেকাতে যাদুকাটা নদীতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে রক্তি নদীর একাংশে ব্যারিকেড দিয়ে লাল নিশান টানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেওয়া বিজ্ঞপ্তি অনুসারে ১৪৩২ বাংলা নতুন সনের জন্য নতুন করে ইজারা দেওয়ায় যাদুকাটা নদীতে সব ধরনের বালুমহালের ইজারা বাতিল হয়। কেউ যেন অবৈধভাবে বালু পরিবহন করতে না পারে সেজন্য যাদুকাটা নদীতে নৌকা প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে উপজেলা প্রশাসন। এ লক্ষ্যে বুধবার দুপুরে তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.
এ সময় তাহিরপুর থানার ওসি মো. দেলোয়ার হোসেনসহ পুলিশ ও আনসার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবুল হাসেম বলেন, ১৪৩২ বাংলা সনে যাদুকাটা নদী ইজারা না হওয়ার কারণে এখানকার সব বালুমহাল অবৈধ। বিধি ভঙ্গ করে কেউ যেন নদী থেকে বালু উত্তোলন ও পরিবহন করতে না পারে সেজন্যে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এখানে পুলিশসহ প্রশাসনের সংশ্লিষ্টদের কড়া নজরদারি অব্যাহত রাখা হবে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
শোভাযাত্রার কাজে যুক্ত কয়েকজনকে ভিনদেশি ফোন নম্বর থেকে ভয় দেখানো হচ্ছে: চারুকলা অনুষদ
চারুকলা অনুষদের বিশিষ্ট অ্যালামনাই শিল্পী-ভাস্কর মানবেন্দ্র ঘোষের বাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ। আজ বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ নিন্দা জানানো হয়।
শোভাযাত্রা কার্যক্রমে যুক্ত বেশ কয়েকজনকে ভিনদেশি ফোন নম্বর থেকে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে বলেও জানায় চারুকলা অনুষদ৷
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা ১৪৩২ ইতিমধ্যে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। তবে আগের দিন নস্যাৎ প্রচেষ্টার লক্ষ্য নিয়ে দুষ্কৃতিকারীদের হামলায় চারুকলা নির্মিত দুটি মোটিফ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তা সত্ত্বেও শিক্ষার্থীদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় তা মেরামত এবং পুনর্নিমাণ করার মাধ্যমে আনন্দ শোভাযাত্রা পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা হয়েছে।’
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘ওই একই দুষ্কৃতকারীদের হামলায় আজ বুধবার ভোররাত আনুমানিক সাড়ে তিনটায় চারুকলা অনুষদের বিশিষ্ট অ্যালামনাই শিল্পী-ভাস্কর মানবেন্দ্র ঘোষের বাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তিনি অন্য শিল্পীদের সঙ্গে নিয়ে মোটিফ নির্মাণে শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা করেছেন। বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা ১৪৩২ কমিটি এবং চারুকলা অনুষদের পক্ষ থেকে আমরা এর তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছি। পাশাপাশি দ্রুত অপরাধী শনাক্ত করে বিচারের আওতায় আনার জন্য জোর দাবি করছি।’
আরও উল্লেখ করা হয়, কয়েক দিন ধরে শোভাযাত্রা কার্যক্রমে যুক্ত বেশ কয়েকজনকে ভিনদেশি ফোন নম্বর থেকে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। এ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও নানা ধরনের কটূক্তি প্রচার অব্যাহতভাবে চলছে।