Prothomalo:
2025-07-29@00:16:46 GMT

ভয়ের খেলায় জয়ের নেশা উৎসবের

Published: 16th, April 2025 GMT

শৈশবে আর দশটা ছেলের মতো ছিলেন না উৎসব আহমেদ। মা–বাবার ভালোবাসার বাহুডোরে নিজেকে আটকে রাখতেন। রঙিন দুনিয়ায় সাদাকালো একটি টিভিই ছিল তাঁর বিনোদনের সঙ্গী। যেখানে কখনো নাটক, কখনো সিনেমা দেখেই সময় কাটত। মাঝেমধ্যে ফুটবল খেলাও দেখতেন। সে সময় বিটিভিতে সপ্তাহে এক দিন রেসলিং দেখানো হতো। যেটা দেখতে চাইতেন না উৎসব, মনের মধ্যে খানিকটা ভয় কাজ করত।

সেই উৎসবই এখন বক্সিং রিংয়ে নিয়মিত জয়োৎসব করছেন। শুধু তা–ই নয়, ২০০৯ সালে যখন বক্সিংয়ে ক্যারিয়ার গড়ার কথা মাকে প্রথম বলেছিলেন উৎসব, তাঁর মা শিল্পী খাতুন রীতিমতো দুশ্চিন্তায় পড়ে যান। ছেলেকে তখন বারণ করে বলেছিলেন, ‘মারামারিতে যেয়ো না। অন্য কিছু করো।’

উৎসবও তখন মায়ের কথায় খানিকটা ঘাবড়ে যান; কিন্তু ২০১০ সালে যখন তাঁর মামা জুয়েল আহমেদ এসএ গেমসে দেশকে সোনা উপহার দেন। তখনই বদলাতে থাকে দৃশ্যপট। উৎসবের মায়ের বক্সিং–ভীতিটাও কেটে যায়। উৎসবও তাঁর মামাকে দেখে কল্পনার আঙিনায় স্বপ্নের রং দিয়ে সাজান বক্সিংয়ের বর্ণিল এক জগৎ। সেই শুরু।

এরপর আর পিছু তাকাতে হয়নি, ‘একসময় আমি ফুটবল পছন্দ করতাম। এখনো মাঝেমধ্যে ফুটবল খেলা দেখি। নেইমার আমার প্রিয় ফুটবলার; কিন্তু মামাকে দেখার পর মনে হয়েছিল, বক্সিংয়ে দারুণ কিছু করতে পারব। যদিও এমন মারামারিকে আমি ভয়ই পেতাম। মাও চাননি আমি বক্সিংয়ে আসি। তিনিও এটাকে ভয় পেতেন।’

ভুটানে চার জাতির আন্তর্জাতিক বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জেতেন উৎসব আহমেদ।.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ফ টবল

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকায় সোভিয়েত চলচ্চিত্র উৎসব

ঢাকাস্থ রাশিয়ান হাউসের উদ্যোগে সোভিয়েত চলচ্চিত্র উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। উৎসবের মূল উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশের দর্শকদের রুশ চলচ্চিত্র ঐতিহ্যের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া।

এই উৎসবের অংশ হিসেবে চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, থিমভিত্তিক প্রদর্শনী এবং একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এ উৎসবে বিভিন্ন ধরণের ধ্রুপদী সোভিয়েত চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়। এই উৎসবের জন্য এমন চলচ্চিত্র বাছাই করা হয়েছিল, যেগুলোতে বন্ধুত্ব, ভালোবাসা ও বীরত্বের মত সর্বজনীন এবং চিরন্তন মূল্যবোধ তুলে ধরা হয়েছে।

চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর পর অতিথিরা সোভিয়েত চলচ্চিত্রের ইতিহাসভিত্তিক একটি আলোকচিত্র প্রদর্শনী উপভোগ করেন এবং একটি বুফে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের মাধ্যমে চলচ্চিত্র নিয়ে আলোচনায় অংশ নেন। এটি সাংস্কৃতিক বিনিময়ের এক অনন্য সুযোগ তৈরি করে এবং নতুন বন্ধুত্ব গড়ে তোলার ক্ষেত্রেও সহায়ক হয়।

অনুষ্ঠানে কূটনৈতিক মহল, সরকারি কর্মকর্তা, বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও শিক্ষার্থীরা এবং অসংখ্য চলচ্চিত্রপ্রেমী অংশগ্রহণ করেন।

ঢাকা/হাসান/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ঢাকা আঞ্চলিক পর্বের নিবন্ধন শুরু
  • তিন মিনিটে গবেষণা উপস্থাপনা, চুয়েটে তরুণ গবেষকদের উৎসব 
  • ঢাকায় সোভিয়েত চলচ্চিত্র উৎসব