মহেশপুরে চড়ক পূজায় পুণ্যার্থীদের ঢল
Published: 16th, April 2025 GMT
ঝিনাইদহের মহেশপুরে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের চড়ক পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সন্ন্যাসী, সাধক, পুণ্যার্থী ও দর্শনার্থীদের উপস্থিতিতে মিলনমেলায় পরিণত হয় পূজা প্রাঙ্গণ। আয়োজন করা হয় গ্রামীণ মেলারও।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরের পাশে এ পূজা ও মেলার আয়োজন করা হয়।
এদিন বিকেল ৪ টায় পূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। তার আগে সকাল থেকে সন্ন্যাসী, পুণ্যার্থী ও দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে পূজা প্রাঙ্গণ।
আরো পড়ুন:
খানজাহান আলীর মাজারে মেলা শুরু, ভক্তদের ঢল
বৈশাখী মেলা সামনে রেখে মৃৎশিল্পীদের ব্যস্ততা
প্রতি বছর চৈত্র সংক্রান্তি উপলক্ষে ফতেপুর গ্রামে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা চড়ক পূজার আয়োজন করে আসছেন। শত বছর ধরে বৈশাখের প্রথম সপ্তাহে দিনব্যাপী এ পূজার আয়োজন করা হয়। পূজা উপলক্ষে বসে গ্রামীণ মেলা। পূজায় ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, যশোরসহ বিভিন্ন জেলা থেকে পুণ্যার্থীরা অংশ নেন। এ ছাড়াও অন্য ধর্মের অসংখ্য মানুষ পূজা দেখতে আসেন। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি।
চড়ক পূজা উপলক্ষে বসানো গ্রামীণ মেলায় বাতাসা, জিলাপি, ছাঁচের মিষ্টি, দানাদার, খই-মুড়কিসহ বাঙালি সংস্কৃতির ঐতিহ্যবাহী খাবারের পসরা সাজিয়ে বসেন দোকানিরা। দোকানে দোকানে সাজিয়ে রাখা হয় কাঠের খেলনা, মাটির পুতুল ও তৈজসপত্র। দোকানগুলোতে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে।
সৌমেন হালদার নামে এক দর্শনার্থী বলেন, “বাবা-ঠাকুরদের কাছে শুনেছি, শত বছরের বেশি সময় ধরে ফতেপুরে চড়ক পূজার আয়োজন করা হয়। পূজা উপলক্ষে সন্ন্যাসী, পুণ্যার্থী ও দর্শনার্থীদের মিলনমেলায় পরিণত হয় পূজা প্রাঙ্গণ। এবারো উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পূজা পালন হচ্ছে।”
আয়োজক কমিটির সদস্য বিপ্লব কর্মকার বলেন, “চৈত্র সংক্রান্তি উপলক্ষে প্রতি বছর চড়ক পূজার আয়োজন হয়। শত বছরের ঐতিহ্য আমাদের। চড়ক পূজার মাধ্যমে শিবের আরাধনা করা হয়। এটি হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা প্রাচীনকাল থেকে পালন করে আসছেন।”
ঢাকা/শাহরিয়ার/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম ল র খবর চড়ক প জ র উপলক ষ
এছাড়াও পড়ুন:
বাজারে এসিআই মোটরসের সোনালীকা ট্র্যাক্টরের নতুন দুই মডেল
সোনালীকা ট্রাক্টরের দুটি নতুন মডেল বাজারে এনেছে এসিআই মোটরস। পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে সম্প্রতি এক বর্ণাঢ্য আয়োজনের মাধ্যমে আধুনিক ফিচারসমৃদ্ধ এই ট্রাক্টর দুটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। দেশব্যাপী একযোগে ১৫টি স্থানে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। মানিকগঞ্জে অনুষ্ঠিত হয় প্রধান উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা সোনালীকা ট্রাক্টরের দুটি নতুন মডেল হলো Sonalika 35RX (সোনালীকা ৩৫আরএক্স) এবং Sonalika All Rounder SS-55 (12F+3R) (সোনালীকা অল রাউন্ডার এসএস-৫৫) (১২এফ+৩আর)।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সোনালীকা ৩৫আরএক্স মডেলে রয়েছে পাওয়ার স্টিয়ারিং সুবিধা। এটি ট্রাক্টরের নিয়ন্ত্রণকে আরও সহজ ও আরামদায়ক করে তুলেছে। এই ট্রাক্টর কৃষিপণ্য পরিবহনের পাশাপাশি চাষের কাজেও ব্যবহার করা যায়।
অন্যদিকে সোনালীকা অল রাউন্ডার এসএস-৫৫ মডেলে যুক্ত করা হয়েছে হাই-লো-মিডিয়াম গিয়ার ব্যবস্থা এবং টার্বোচার্জড ইঞ্জিন। এটি উঁচু-নিচু জমিতে কাজ করা এবং ভারী লোড বহনে বাড়তি সুবিধা নিশ্চিত করবে।
অনুষ্ঠানগুলোতে উপস্থিত ছিলেন এসিআই মোটরসের গ্রাহক, কৃষক, ডিলার ও শুভানুধ্যায়ীরা। অনুষ্ঠানে নতুন মডেল দুটির ফিচার ও উপযোগিতা সরাসরি প্রদর্শন করা হয়, যাতে অতিথিরা হাতে-কলমে ট্রাক্টরগুলোর সক্ষমতা বুঝে নিতে পারেন। এ ছাড়া পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে অনুষ্ঠানে ছিল বিভিন্ন রকমের আয়োজন।
এসিআই মোটরসের এসব অনুষ্ঠানে ট্রাক্টরের পাশাপাশি প্রদর্শন করা হয় হারভেস্টার, ট্রান্সপ্লান্টার, পাওয়ার টিলার, ডিজেল ইঞ্জিন, পানি সেচের পাম্পের মতো আরও বেশ কিছু আধুনিক কৃষিযন্ত্র। এ ছাড়া প্রদর্শন করা হয় ফোটন কমার্শিয়াল ভেহিকেল, টায়ার ও ইয়ামাহা মোটরসাইকেল।
প্রধান অতিথি হিসেবে এই আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন এসিআই মোটরসের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর সুব্রত রঞ্জন দাস। এ ছাড়া বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এতে উপস্থিত ছিলেন।
কোম্পানির পক্ষ থেকে বলা হয়, এসিআই মোটরস ভবিষ্যতেও এ ধরনের নতুন পণ্য ও উদ্ভাবন নিয়ে দেশের কৃষি খাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে যাবে। গ্রাহকদের উন্নত বিক্রয়োত্তর সেবা দিয়ে আস্থা ও বিশ্বাস অটুট রাখবে।