মানবেন্দ্র ঘোষের বাড়িতে আগুনদাতাদের গ্রেপ্তার দাবি
Published: 16th, April 2025 GMT
বর্ষবরণের আনন্দ শোভাযাত্রার মোটিফ নির্মাণকারী শিল্পী মানবেন্দ্র ঘোষের বাড়িতে আগুন দেওয়ার প্রতিবাদে এবং দুষ্কৃতিকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) মানববন্ধন করা হয়েছে।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) ঢাবির চারুকলা অনুষদে উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। এতে অনুষদের বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও শিল্পীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া মানববন্ধনে উপস্থিত থেকে সংহতি জানিয়েছেন ঢাবির বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের নেতৃবৃন্দ।
আরো পড়ুন:
ভাস্কর মানবেন্দ্র ঘোষের বাড়িতে আগুন দেওয়া ন্যক্কারজনক: সাদা দল
ঢাবি গ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ১৭ মে
প্রাক্তন শিক্ষার্থী শিল্পী সঞ্জয় দে রিপনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, ঢাবির জগন্নাথ হলের প্রাধ্যক্ষ দেবাশীষ পাল, সহকারী প্রক্টর ইসরাফিল রতন, শিল্পী ড.
শিল্পী মানবেন্দ্র ঘোষের বাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বক্তারা বলেন, একজন শিল্পীর বাড়িতে আগুন দেওয়ার মাধ্যমে পুরো শিল্পী সমাজের গায়ে আগুন দেওয়া হয়েছে। চারুকলা অনুষদের দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য নববর্ষের শোভাযাত্রায় মোটিফ বানানোকে অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করে বেশ কিছুদিন ধরে যারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিয়মিতভাবে বিরোধীতা করে আসছিল, তারাই যে পতিত স্বৈরাচারী সরকারের দোসর সেই ইঙ্গিতই বহন করে। যথাসময়ে এবং অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে সেসব অপরাধের শাস্তি নিশ্চিত করার আহ্বান জানাই।
তারা আরো বলেন, এবারের শোভাযাত্রার বিরোধীতাকারী, ১২ এপ্রিলের আগুন অপরাধী এবং শিল্পী মানবেন্দ্র ঘোষের বাড়িতে আগুন দেওয়া অপরাধীদের অতি সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি। এছাড়া শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারী সব শিল্পী, শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্টদের যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
নাটোরে জুই হত্যার বিচার দাবি তিতুমীর কলেজ শিক্ষার্থীদের
নাটোরের বড়াইগ্রামে মাদরাসা ছাত্রী আকলিমা আরা জুঁইকে (৭) ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা ও অ্যাসিডে মুখ পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় খুনিদের বিচার দাবিতে সরকারি তিতুমীর কলেজে মানববন্ধন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) দুপুর ১টায় মুল ফটকের সামনে সরকারি তিতুমীর কলেজের নাটোর জেলা ছাত্রকল্যাণের উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
এ সময় বক্তারা বলেন, জুই হত্যার বিচার প্রক্রিয়া ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কার্যকর করতে হবে এবং ধর্ষককে সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি দিতে হবে। আছিয়া থেকে শুরু করে জুই পর্যন্ত যত ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে, সবগুলোর বিচার অতিদ্রুত সম্পন্ন করতে হবে।
তারা আরো বলেন, শিশুটির মুখমণ্ডল দাহ্য পদার্থ দিয়ে ঝলসে দিয়েছে খুনিরা। দেশে আজ কোন মানুষই নিরাপদ নয়। বড়-ছোট এমন কি শিশু বাচ্চারাও নিরাপদ নয়। কিছুদিন আগে আছিয়ার মৃত্যুর ক্ষত না শুকাতেই নাটোরে বড়াইগ্রামে শিশু কন্যা জুঁইকে বর্বরভাবে হত্যা করা হলো। আছিয়ার হত্যার বিচার যদি হত, তাহলে আজ আর জুঁইকে এভাবে মৃত্যুবরণ করতে হত না।
মানববন্ধনে অন্যদের মাঝে বক্তব্য দেন, তিতুমীর কলেজের নাটোর জেলা ছাত্রকল্যাণের প্রধান উপদেষ্টা মামুন মজুমদার, সভাপতি মো. রিপন আলী, সাধারণ সম্পাদক মো. আনোয়ার হোসেন আবিদ প্রমুখ।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) বিকেলে দাদার বাড়ি যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয় জুঁই। এরপর থেকে তার সন্ধান পাচ্ছিলেন না পরিবারের লোকজন। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সকালে রামপুর বিলের ভুট্টা ক্ষেতে জুঁই খাতুনের বিবস্ত্র লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে জানান স্থানীয়রা। এ সময় তার মুখে পোড়া ক্ষত চিহ্ন ও পরনের প্যান্ট গলায় পেঁচানো ছিল।
নিহত জুঁই নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার গাড়ফা উত্তরপাড়া গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী জাহিদুল ইসলামের মেয়ে। সে গাড়ফা আজেদা নূরানী কিন্ডার গার্ডেন মাদরাসার শিশু শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
ঢাকা/হাফছা/মেহেদী