বলিউড অভিনেত্রী সাগরিকা ঘাটগে পুত্রসন্তানের মা হয়েছেন। ভারতের সাবেক ক্রিকেটার জহির খান-সাগরিকা দম্পতির এটি প্রথম সন্তান। বুধবার (১৬ এপ্রিল) ইনস্টাগ্রামে এই সুখবর ভক্ত-অনুসারীদের সঙ্গে ভাগ করে নেন এই তারকা দম্পতি।
জহির ও সদ্যোজাত সন্তানের সঙ্গে নিজের ছবি পোস্ট করে ‘চাক দে ইন্ডিয়া’খ্যাত অভিনেত্রী সাগরিকা লেখেন, “ভালোবাসা, কৃতজ্ঞতা ও সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদের সঙ্গে আমরা আমাদের প্রিয় ছোট্ট শিশু, ফতেহসিং খানকে স্বাগত জানাচ্ছি।”
তারপর থেকেই শুভেচ্ছা বার্তায় ভাসছেন তারকা দম্পতি। শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ভারতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার সচিন টেন্ডুলকার, সুরেশ রায়না, আকাশ চোপড়া, আর পি সিং। তাছাড়াও অভিনেত্রী জেনেলিয়া দেশমুখ, আথিয়া শেঠি, অভিনেতা সুনীল শেঠি, বীর পাহাড়িয়া প্রমুখ।
আরো পড়ুন:
পলকের সঙ্গে প্রেম নিয়ে যা বললেন সাইফের পুত্র ইব্রাহিম
ঊননব্বইতেও অপ্রতিরোধ্য ধর্মেন্দ্র
২০১৭ সালের নভেম্বরে বিয়ে করেন সাগরিকা-জহির। বিয়ের ৮ বছর পর প্রথম সন্তানের মা-বাবা হলেন তারা। তবে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর গোপন রেখেছিলেন তারা।
২০০৭ সালে ‘চাক দে ইন্ডিয়া’ সিনেমার মাধ্যমে অভিনয় ক্যারিয়ার শুরু করেন সাগরিকা। সিনেমাটি মুক্তির পর আলোচনায় আসেন। এরপর বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের শুভেচ্ছাদূত হন। এরপরে তার ক্যারিয়ার আর সেভাবে আগায়নি। ২০১২ সালে ইমরান হাশমির বিপরীতে ‘রাশ’ সিনেমায় অভিনয় করেন। সবশেষ ‘ফুটফেয়ারি’ সিনেমায় দেখা যায় তাকে। ২০২০ সালে মুক্তি পায় এটি।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
ভিডিও বানাতে গিয়ে অনৈতিক সম্পর্ক, হত্যা করলেন স্বামীকে
ভারতের সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার রবিনার সঙ্গে সুরেশের দেড় বছর আগে ইনস্টাগ্রামে পরিচয় হয়। এরপর একসঙ্গে তাঁরা ভিডিও বানানো শুরু করেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রবিনার সময় কাটানো আসক্তির পর্যায়ে চলে যায়। এ নিয়ে প্রায়ই স্ত্রী রবিনার সঙ্গে প্রাভিনের ঝগড়া হতো। প্রাভিন সন্দেহ করতেন, সুরেশের সঙ্গে রবিনার অনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে।
গত ২৫ মার্চ প্রাভিন বাড়িতে ফিরে তাঁর সেই আশঙ্কার প্রমাণ পান। তিনি রবিনা ও সুরেশকে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখে নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারান। তাঁদের মধ্যে কথা–কাটাকাটি শুরু হয়। এ ঘটনার পর থেকে প্রাভিনের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। এর তিন দিন পর প্রাভিনের মরদেহ পাওয়া যায় বাড়ি থেকে প্রায় ছয় কিলোমিটার দূরের একটি নালায়।
ওই এলাকার সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, মোটরসাইকেলে তিনজন ছিলেন, কিন্তু ফেরার সময় তাঁদের মধ্যে একজন অনুপস্থিত। এরপর পুলিশ তাঁদের শনাক্ত করে। জিজ্ঞাসাবাদের পর রবিনা ও সুরেশ হত্যাকাণ্ডে নিজেদের দোষ স্বীকার করেন।
সুরেশ পুলিশকে জানিয়েছেন, ওই দিন রবিনা ভিডিও বানানো শেষে ভিওয়ানির প্রেমনগরে প্রাভিনের বাড়িতে যান। সুরেশ সেখানে রবিনার সঙ্গে দেখা করতে আসেন। প্রাভিন বাড়িতে ফিরে অন্তরঙ্গ অবস্থায় তাঁদের দেখতে পান। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এরপর প্রাভিনকে শ্বাস রোধ করে হত্যা করা হয়।
হত্যার পর সারা দিন রবিনা স্বাভাবিক আচরণ করেন। আত্মীয়রা জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, প্রাভিন কোথায় তা তিনি জানেন না। এরপর রাত নামার অপেক্ষা করেন রবিনা। রাতে সুরেশ মোটরসাইকেল নিয়ে এলে তাঁরা দুজন মিলে প্রাভিনের মরদেহ নিয়ে বেরিয়ে পড়েন।
২৬ মার্চ রাত সাড়ে ১২টার দিকে সুরেশ ও রবিনা মোটরসাইকেলের মাঝখানে প্রাভিনের মরদেহ বসিয়ে প্রায় ছয় কিলোমিটার দূরের একটি নালায় ফেলে দেন। তিন দিন পর পুলিশ সেই নালা থেকে প্রাভিনের মরদেহ উদ্ধার করে এবং তদন্ত শুরু হয়।