শিল্পমালিকদের গ্যাস-সংযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সংযোগ দেওয়ার আগে শিল্পপ্রতিষ্ঠানটি রপ্তানিমুখী কি না, তা বিবেচনা করা হবে। বিবেচনা করা হবে আবেদনের তারিখও। যাদের গ্যাস দেওয়া হবে, তা যেন নিরবচ্ছিন্ন হয়, তা-ও নিশ্চিত করা হবে।
আজ বুধবার এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে পেট্রোবাংলাকে চিঠি দিয়েছে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ।
এদিকে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) গত রোববার নতুন শিল্প ও বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাসের দাম ৩৩ শতাংশ বাড়িয়েছে। শিল্পে নিজস্ব বিদ্যুৎকেন্দ্রে (ক্যাপটিভ) ব্যবহৃত গ্যাসের দাম ছিল এত দিন ৩১ টাকা ৫০ পয়সা, বেড়ে তা হয়েছে ৪২ টাকা। বিনিয়োগ খরার এ সময়ে গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে সমালোচনামুখর ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিরা।
বৈঠক শেষে উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান আজ রাতে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘সিস্টেম লস কমিয়ে আনতে আগামী বছরের জুনভিত্তিক একটা পথনকশা করা হয়েছে। পাশাপাশি নতুন শিল্পমালিকদের অনেক আবেদন পড়ে ছিল। এগুলো নিষ্পত্তিরও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমরা চাই যার সঙ্গে গ্যাস দেওয়ার চুক্তি হবে, তার গ্যাস পাওয়ার নিশ্চয়তা।’
জানা গেছে, গ্যাস পাওয়ার উপযুক্ত শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর একটি তালিকা করা হবে। এ ছাড়া গ্যাস চাওয়া শিল্পপ্রতিষ্ঠানের অর্থনৈতিক প্রভাব বিশ্লেষণ করে সংযোগ দেওয়া হবে। এ তালিকা পেট্রোবাংলা ও মন্ত্রণালয়কে অবহিত করবে কোম্পানিগুলো। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদই।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে বিএসএফের ঠেলে পাঠানো ১৫ জন আটক
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার বিভীষণ সীমান্ত দিয়ে ১৫ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। আজ রোববার ভোরে তাঁদের আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
এ সম্পর্কে বিজিবির ১৬ ব্যাটালিয়নের বিভীষণ সীমান্ত ফাঁড়ির কমান্ডার নায়েক সুবেদার আবদুল মান্নান প্রথম আলোকে বলেন, আটক ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গেছে, তাঁরা যশোর, নড়াইল, খুলনা ও মানিকগঞ্জ জেলার বাসিন্দা। তাঁদের মধ্য ২ জন শিশু, ৯ জন নারী ও ৪ জন পুরুষ।
আবদুল মান্নান বলেন, আজ ভোরে সীমান্তে টহলের সময় ওই ১৫ জনকে দেখতে পান বিজিবি সদস্যরা। এ সময় তাঁদের আটক করে ক্যাম্পে আনা হয়। তাঁরা সবাই বাংলাদেশি নাগরিক বলে নিশ্চিত হয়েছে বিজিবি। তাঁদের গোমস্তাপুর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
গোমস্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল বারিক বলেন, পুশ-ইনের শিকার বাংলাদেশি নাগরিকেরা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে তাঁদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।