ফতুল্লায় গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক গ্রেপ্তার
Published: 16th, April 2025 GMT
রূপগঞ্জে রবিনটেক্স গার্মেন্টসে শ্রমিক-যৌথ বাহিনীর সদস্যদের সংঘর্ষের ঘটনার পরিকল্পনাকারী মূল হোতা গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও জেলা কমিটির সভাপতি সেলিম মাহমুদকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী। বুধবার (১৬ এপ্রিল) দিবাগত রাতে জেলার ফতুল্লা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (গ সার্কেল) মেহেদী ইসলাম জানান, গত ৯ এপ্রিল দুপুরে রূপগঞ্জের আওখাব এলাকার রবিনটেক্স নামের একটি পোশাক কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দেয়। সেখানে শ্রমিকদের বুঝিয়ে কাজে যোগ দেওয়ার কথা বললে শ্রমিকরা যৌথ বাহিনীর সদস্যদের ওপর হামলা চালায়।
এতে ১০-১৫জন যৌথ বাহিনীর সদস্য আহত হন। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন শ্রমিককে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারদের ভাষ্যমতে ও গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট নামের একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের সূত্রে পাওয়া যায় রবিনটেক্স গার্মেন্টসের শ্রমিকদের বিশৃঙ্খলা করার ইন্ধন দেন কেন্দ্রীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক ও জেলার সভাপতি সেলিম মাহমুদ নামের এক শ্রমিক নেতা।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত বুধবার দিবাগত রাতে জেলার ফতুল্লা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেন যৌথ বাহিনীর একটি অভিযানিক দল। গ্রেপ্তারকৃতকে নারায়ণগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। তার সাথে আরো কেউ জড়িত রয়েছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ গ র ম ন টস গ র প ত র কর
এছাড়াও পড়ুন:
রূপগঞ্জে সাবেক মন্ত্রী পুত্রের পিএস ও একাধিক মামলার পলাতক আসামি হিরা গ্রেফতার
নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী এবং সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজীর ছেলে, রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি গোলাম মতুর্জা পাপ্পার একান্ত সহকারী (পিএস) কামরুজ্জামান হিরাকে (৪৬) গ্রেফতার করা হয়েছে।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) ঢাকার রমনা এলাকা থেকে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তাকে গ্রেফতার করে রূপগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের জেষ্ঠ্য সহকারী পুলিশ সুপার ( গ সার্কেল) মেহেদী ইসলাম।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রূপগঞ্জে কামরুজ্জামান হিরা ছিল সাধারণ মানুষের জন্য মুর্তিমান আতঙ্কের নাম। গোলাম দস্তগীর গাজীর ছেলে গোলাম মর্তুজা পাপ্পার ছত্রছায়ায় কামরুজ্জামান হিরা রূপগঞ্জে চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসীদের আশ্রয়-প্রশ্রয়, জমি দখলসহ নানা অপরাধ কর্মকান্ড চালাতো।
রূপগঞ্জের কিশোরগ্যাং চলতো তার নিয়ন্ত্রণে। হিরা কিশোর ও যুবক বয়সী ছেলেদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়াতে তাদের হাতে অস্ত্র ও মাদক তুলে দিতো। ২০১৭ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি পল্টনে সাবেক মন্ত্রী গাজীর ব্যাবসায়িক কার্যালয়ে গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা মোশারফ হোসেনের পেটে গুলি করে হিরা।
এ ঘটনায় পল্টনের তৎকালীন ওসি রফিকুল ইসলাম হিরাসহ চারজনকে গ্রেফতার করে। ২০২০ সালের ৫ জানুয়ারি ভুলতা এলাকার ডায়মন্ড ব্রিকস টাইলস প্রতিষ্ঠানে চাঁদাবাজির সময় হিরাসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
ওই সময় মন্ত্রী গণমাধ্যমে প্রেস রিলিজ পাঠিয়ে হিরার সঙ্গে তাঁদের সম্পৃক্ততা নেই বলে দাবি করেন। তবে কয়েকদিন কারাগারে থাকার পর জামিনে বের হয়ে আবারো হিরা তার সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালাতে থাকে।
নিরীহদের জমিতে জোরপূর্বক বালু ভরাট, আবাসন ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ, পরিবহণ চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি থেকে শুরু করে রূপগঞ্জে সকল সেক্টরের ছিল তার অবাধ বিচরণ। সাধারণ মানুষের কাছে হীরা কাচঁকাটা হিরা ও ডন হিরা নামেও পরিচিত। গত ৫ আগষ্টের পর থেকে হিরা পলাতক ছিল।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের জেষ্ঠ্য সহকারী পুলিশ সুপার (গ সার্কেল) মেহেদী ইসলাম জানান, গোয়েন্দা পুলিশ হিরাকে গ্রেফতারের পর রূপগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করেছে। তার বিরুদ্ধে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনসহ বেশকয়েকটি মামলা রয়েছে। সে দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিল।