বার্নাব্যুকে ‘আয়নাঘর’ বানানোর অনুমতি পেল রিয়াল
Published: 16th, April 2025 GMT
আর্সেনালের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে নামবে রিয়াল মাদ্রিদ। প্রথম লেগে আর্সেনালের মাঠে ৩-০ গোলে হেরেছে লস ব্লাঙ্কোসরা।
দ্বিতীয় লেগের আগে স্পেনের রাজধানী জুড়ে সবচেয়ে জনপ্রিয় শব্দ সম্ভবত ‘রেমনতাদা’। যার অর্থ কামব্যাক। বার্নাব্যুতে কামব্যাক করতে মুখিয়ে আছে রিয়াল মাদ্রিদ।
সেজন্য ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুকে ‘আয়নাঘরে’ পরিণত করতে চায় লস ব্লাঙ্কোসরা। যেখানে থাকবে না বাইরের কোন বাতাস, শব্দ, আলো। থাকবে শুধু রিয়াল মাদ্রিদের ভক্তদের কানফাঁটা চিৎকার। যা ভয়ঙ্কর কোন দানবের করা ‘গো গো’ শব্দে স্টেডিয়াম ভারি করে তুলবে।
আর্সেনাল ফুটবলারদের জন্য বুকে দুরুদুরু কাঁপন ওঠা পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায় রিয়াল। আর এসব করতেই সান্তিয়াগো বার্নাব্যুর ছাদ বন্ধ করে দেবে রিয়াল মাদ্রিদ। ইচ্ছে করলেই অবশ্য ছাদ বন্ধ করা যায় না। সেজন্য উয়েফার অনুমতি লাগে। রিয়াল মাদ্রিদ বোর্ড ম্যাচের আগে উয়েফার কাছে ওই আবেদন করেছিল।
আবেদনে রিয়ালের পক্ষ থেকে উল্লেখ করা হয়েছিল ‘ম্যাচের জন্য সেরা পরিবেশ সৃষ্টি’ করতে চান তারা। উয়েফা ওই আবেদনে সাড়া দিয়েছে। যার অর্থ রিয়াল মাদ্রিদ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুর ছাদ বন্ধ করে স্টেডিয়ামটাকে গানারদের জন্য ‘আয়নাঘরে’ পরিণত করতে পারবে।
সান্তিয়াগো বার্নাব্যুর দর্শক ধারণক্ষমতা ৮১ হাজার। সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, এর মধ্যে ৭০ হাজারের মতো টিকিট বিক্রি করা হয়। আর্সেনাল চ্যাম্পিয়ন্স লিগের বড় এই ম্যাচের জন্য ভাগে মাত্র ৩ হাজার ৮৭৫ টিকিট পেয়েছে। বাকি দর্শক থাকবে রিয়ালের। গ্যালারি ছেঁয়ে থাকবে সাদার, তবে ভক্তদের হৃদয়ে থাকবে প্রতিশোধের আগুন।
এর আগে গত মৌসুমেও রিয়াল মাদ্রিদ সেমিফাইনালে কামব্যাক করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে পা রাখে। প্রথম লেগে বায়ার্নের মাঠে ২-২ গোলের সমতা করে আসে ব্লাঙ্কোসরা। দ্বিতীয় লেগে ঘরের মাঠে ৬৮ মিনিটে গোল খেয়ে বিদায়ের শঙ্কায় পড়ে। কিন্তু হোসেলু ৮৮ ও ৯১ মিনিটে গোল করে রিয়ালকে ফাইনালে তোলেন। গত বছর ম্যানসিটির বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালেও হোম ম্যাচে বন্ধ ছিল বার্নাব্যুর ছাদ।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আর স ন ল আর স ন ল র জন য ফ ইন ল
এছাড়াও পড়ুন:
খাগড়াছড়িতে পরিত্যক্ত অবস্থায় বন্দুক ও কার্তুজ উদ্ধার
খাগড়াছড়িতে পুলিশের অভিযানে একটি এলজি ও একটি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় জেলা সদর পৌরসভার কলেজ গেইট মোহাম্মদপুর এলাকার পাহাড় থেকে এসব উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে- কলেজ গেইট মোহাম্মদপুর এলাকায় বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসী অবস্থান করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে খাগড়াছড়ি সদর থানার ওসি আব্দুল বাতেন মৃধার নেতৃত্বে সঙ্গীয় পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছতেই পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে সেখানে স্থানীদের উপস্থিতিতে তল্লাশি চালিয়ে সন্ত্রাসীদের ফেলে যাওয়া একটি এলজি (বন্দুক) ও একটি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ওসি আব্দুল বাতেন মৃধা জানান, এ ঘটনায় অস্ত্র আইনে মামলা রুজুর প্রস্তুতি চলছে এবং পালিয়ে যাওয়া সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যহত রয়েছে।