পায়ুপথে বাতাস ঢোকানোর পরই অচেতন হয়ে পড়ে শিশুটি, পথেই মৃত্যু
Published: 16th, April 2025 GMT
বড় ভাইয়ের সঙ্গে গ্যারেজে এসেছিল শিশুটি। গ্যারেজের মালিক পাউরুটি–চা আনার ফরমায়েশ দিলে শিশুটিকে রেখে বড় ভাই দোকানে যায়। ফিরে এসে দেখে ভাইয়ের পেট ফুলে আছে। সারা গায়ে বমি। পায়ুপথ দিয়ে রক্ত পড়ছে। হাসপাতালে নেওয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর মিরপুর ১১ নম্বরের বাউনিয়াবাদ এলাকার একটি মোটর গ্যারেজে। পায়ুপথে বাতাস ঢুকিয়ে সংঘবদ্ধভাবে শিশু হত্যার অভিযোগে আজ বুধবার পল্লবী থানায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় এক কিশোরকে আটক করা হয়েছে।
এর আগে ২০১৫ সালে খুলনায় রাকিব (১২) এবং ২০১৬ সালে নারায়ণগঞ্জে ইয়ামিন (১৩) নামের দুই কিশোরের পায়ুপথে বাতাস ঢুকিয়ে হত্যার ঘটনা দেশজুড়ে আলোড়ন তুলেছিল। ওই দুই কিশোর কারখানায় কাজ করত।
আজ সরেজমিন ঘটনাস্থল মোটর গ্যারেজ, শিশুটির মায়ের বাসা ও পল্লবী থানায় গিয়ে জানা যায়, নিহত শিশু আবু বক্কর সিদ্দিক জাবেদ আলী ও মোছা.
পায়ুপথে বাতাস প্রবেশ করানোর কারণে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে পল্লবী থানা–পুলিশ। এ ঘটনায় একজন অজ্ঞাতনামাসহ চারজনের বিরুদ্ধে পল্লবী থানায় ওই হত্যা মামলা করেছেন শিশুটির মা আয়শা। আসামিদের একজন কিশোর হওয়ায় শিশু আইন ২০১৩ অনুসারে, তার নাম উল্লেখ করা হলো না। বাকি দুই আসামি রাজু (২০) ও মো. সুজন খান (৩৬)।
রাজধানীর পল্লবী থানার সিঁড়িতে বসে কাঁদছেন শিশুটির মা আয়শাউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প য় পথ
এছাড়াও পড়ুন:
পেনাল্টি পেতে ‘মাটিতে পড়ে অভিনয় করেছে এমবাপ্পে’
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে নাটকীয় এক মুহূর্তে পেনাল্টি দাবি করেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। তবে সেই দাবি নস্যাৎ হয়ে যাওয়ার পর কী ঘটেছিল মাঠে? ম্যাচ শেষে জানালেন আর্সেনালের মিডফিল্ডার ডেকলান রাইস নিজেই।
প্রথমার্ধে তখনো ৩-০ গোলে এগিয়ে আর্সেনাল। বুকোয়ো সাকার মিস করা পেনাল্টির ঠিক পরেই ডি-বক্সে রাইসের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কিতে পড়ে যান এমবাপ্পে। রেফারি সঙ্গে সঙ্গেই পেনাল্টির বাঁশি বাজিয়ে রাইসকে একটি হলুদ কার্ড দেখান। তবে দীর্ঘ ভিএআর পর্যবেক্ষণের পর দুই সিদ্ধান্তই প্রত্যাহার করা হয়। পেনাল্টি বাতিলের সঙ্গে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন রাইসও।
ম্যাচ শেষে টিএন্ডটি স্পোর্টসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাইস বলেন, ‘আমি জানতাম ওটা পেনাল্টি নয়। ওর শরীরে আমার হাত ছিল, কিন্তু একজন মিডফিল্ডার হিসেবে এটা করতেই হয়। আমি সৎ একজন মানুষ, তাই সঙ্গে সঙ্গেই এমবাপ্পেকে বলেছিলাম, এটা কোনো পেনাল্টি ছিল না। ও নিজেই মাটিতে পড়ে অভিনয় করেছে। শেষ পর্যন্ত আমরা কাজটা ঠিকঠাক শেষ করেছি, এবং এটা ক্লাবের ইতিহাসে স্মরণীয় এক রাত।’
রাইসের এই সততাই হয়তো তাকে ম্যাচসেরার পুরস্কার এনে দিয়েছে। দুই লেগ মিলিয়ে ৫-১ ব্যবধানে এগিয়ে সেমিফাইনালে পা রাখে আর্সেনাল, যেখানে তারা মুখোমুখি হবে ফরাসি জায়ান্ট পিএসজির। অন্যদিকে আরেক সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে বার্সেলোনা ও ইন্টার মিলান।