প্রচার সংখ্যা কারচুপি এবং অসত্য তথ্য দেওয়ার অভিযোগে দৈনিক ভোরের কাগজের সরকারি মিডিয়া তালিকাভুক্তি বাতিল করেছে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর (ডিএফপি)। সম্প্রতি পত্রিকাটির সম্পাদক ও প্রকাশকের কাছে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী ২০ জানুয়ারি ভোরের কাগজের ঢাকা অফিস ও প্রেস পরিদর্শন করে ডিএফপির তিন সদস্যের একটি টিম। পরিদর্শনের সময় অফিস গেটে ‌‘মালিকের নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত কারণে অফিস বন্ধ’ সংক্রান্ত একটি নোটিশ দেখা যায় এবং অফিসটি বন্ধ পাওয়া যায়।

এতে আরও বলা হয়, পরে আন্দোলনরত কর্মচারীদের অভিযোগের ভিত্তিতে অধিকতর তদন্তে নামে ডিএফপি। তদন্তে দেখা যায়, প্রিন্টার্স লাইনে উল্লেখিত হামরাই প্রিন্টিং প্রেসে পত্রিকাটির ছাপা বন্ধ রয়েছে। কোথায় ছাপা হচ্ছে, সে বিষয়ে ডিএফপিকে কোনো তথ্য সরবরাহ করেনি কর্তৃপক্ষ। প্রায় তিন মাস পর ১১ মার্চ পত্রিকাটি হামরাই প্রেসে পুনরায় ছাপা শুরু করে। এর ধারাবাহিকতায় ২১ মার্চ ডিএফপির দুই সদস্যের একটি টিম পত্রিকাটির অফিস ও প্রেস আবারও পরিদর্শন করে। তখনও অফিসটি বন্ধ এবং প্রেসে কোনো ছাপা কার্যক্রম চলমান ছিল না। কোনো প্রিন্ট অর্ডার পাওয়া যায়নি, কেবল কিছু ছাপা কাগজ প্রেসে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল। প্রেস ম্যানেজারের বরাতে জানা যায়, প্রতিদিন ২০০ থেকে ৩০০ কপি পত্রিকা ছাপা হয়। বিল পরিশোধ করা হয় হাতে হাতে বা বিকাশের মাধ্যমে। তবে কোনো রসিদ বা কাগজপত্র দেখাতে পারেননি তিনি।

চিঠিতে আরও বলা হয়, এ পরিস্থিতি ‘সংবাদপত্র ও সাময়িকীর মিডিয়া তালিকাভুক্তি ও নিরীক্ষা নীতিমালা, ২০২২’-এর ৫.

২৩ (খ) ধারা এবং ‘ছাপাখানা ও প্রকাশনা (ঘোষণা ও নিবন্ধন) আইন, ১৯৭৩’-এর ১০ ধারার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। সেই সঙ্গে মিডিয়া তালিকাভুক্তি নীতিমালার ৮.৩ ধারা অনুসারে প্রচার সংখ্যা কারচুপি ও অসত্য তথ্য দেওয়ার কারণে ভোরের কাগজ-এর মিডিয়া তালিকাভুক্তি বাতিল করা হলো। এছাড়া এখন থেকে ভোরের কাগজ আর কোনো সরকারি মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর, সংস্থা কিংবা স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান থেকে বিজ্ঞাপন বা নিউজপ্রিন্ট কোটার জন্য বিবেচিত হবে না বলে চিঠিতে জানানো হয়েছে। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স ব দপত র ড এফপ

এছাড়াও পড়ুন:

খাগড়াছড়িতে পরিত্যক্ত অবস্থায় বন্দুক ও কার্তুজ উদ্ধার

খাগড়াছড়িতে পুলিশের অভিযানে একটি এলজি ও একটি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে।  শুক্রবার সন্ধ্যায় জেলা সদর পৌরসভার কলেজ গেইট মোহাম্মদপুর এলাকার পাহাড় থেকে এসব উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে- কলেজ গেইট মোহাম্মদপুর এলাকায় বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসী অবস্থান করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে খাগড়াছড়ি সদর থানার ওসি আব্দুল বাতেন মৃধার নেতৃত্বে সঙ্গীয় পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছতেই পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে সেখানে স্থানীদের উপস্থিতিতে তল্লাশি চালিয়ে সন্ত্রাসীদের ফেলে যাওয়া একটি এলজি (বন্দুক) ও একটি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।

খাগড়াছড়ি সদর থানার ওসি আব্দুল বাতেন মৃধা জানান, এ ঘটনায় অস্ত্র আইনে মামলা রুজুর প্রস্তুতি চলছে এবং পালিয়ে যাওয়া সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যহত রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ