অনিয়ম, দুর্নীতি, গ্রাহকদের সেবা বঞ্চিত করা এবং অতিরিক্ত ফি আদায়সহ বিভিন্ন অভিযোগ খতিয়ে দেখতে রাজশাহীর গোদাগাড়ী সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। 

বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আমির হোসাইনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি এনফোর্সমেন্ট টিম এই অভিযান চালায়।

এদিন দেশের ৩৫টি সাবরেজিস্ট্রি অফিসে একযোগে দুদকের অভিযান চালানো হয়। সংশ্লিষ্ট জেলার সমন্বিত কার্যালয় থেকে ৩৫টি এনফোর্সমেন্ট টিম এসব অভিযান পরিচালনা করে। গোদাগাড়ীতে অভিযান চালানো এনফোর্সমেন্ট টিমে আমির হোসাইন ছাড়াও আরেক সহকারী পরিচালক তানভীর আহমেদ সিদ্দীক ও উপসহকারী পরিচালক মাহবুবুর রহমান ছিলেন।

গোদাগাড়ী সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরেই দলিল সম্পাদন হওয়ার পরে রীতিমতো চেয়ার-টেবিল পেতে এক কর্মচারী প্রকাশ্যেই টাকা আদায় করে থাকেন। সাব-রেজিস্ট্রার সাদেকুল ইসলাম টাকা ছাড়া একটি দলিলেও সই করেন না বলে অভিযোগ রয়েছে।

দুদকের ওই দল এ দিন অফিসে সাব-রেজিস্ট্রার সাদেকুল ইসলামকে পায়নি। অফিসে ছিলেন অফিস সহকারী লাইলুন নাহার। তার কাছ থেকেই নানা তথ্য নেন দুদক কর্মকর্তারা। এ দিন দলিলের সার্টিফায়েড কপি সরবরাহ করতে সেবাপ্রার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের চিত্র দেখতে পেয়েছেন দুদক কর্মকর্তারা।

দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আমির হোসাইন জানান, দলিল সম্পাদনে অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ তারা পেয়েছেন। এ জন্য গত তিন দিনে সম্পাদন করা সব দলিলের কপি চাওয়া হয়েছে। তারা সেবাগ্রহীতাদের সঙ্গে কথা বলে সবকিছু জানবেন। এরপর এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন পাঠানো হবে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে।

ঢাকা/কেয়া/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সহক র

এছাড়াও পড়ুন:

খাগড়াছড়িতে পরিত্যক্ত অবস্থায় বন্দুক ও কার্তুজ উদ্ধার

খাগড়াছড়িতে পুলিশের অভিযানে একটি এলজি ও একটি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে।  শুক্রবার সন্ধ্যায় জেলা সদর পৌরসভার কলেজ গেইট মোহাম্মদপুর এলাকার পাহাড় থেকে এসব উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে- কলেজ গেইট মোহাম্মদপুর এলাকায় বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসী অবস্থান করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে খাগড়াছড়ি সদর থানার ওসি আব্দুল বাতেন মৃধার নেতৃত্বে সঙ্গীয় পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছতেই পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে সেখানে স্থানীদের উপস্থিতিতে তল্লাশি চালিয়ে সন্ত্রাসীদের ফেলে যাওয়া একটি এলজি (বন্দুক) ও একটি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।

খাগড়াছড়ি সদর থানার ওসি আব্দুল বাতেন মৃধা জানান, এ ঘটনায় অস্ত্র আইনে মামলা রুজুর প্রস্তুতি চলছে এবং পালিয়ে যাওয়া সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যহত রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ