নাটোরের বড়াইগ্রামে ধর্ষণের পর নির্মম হত্যার শিকার শিশুর পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটিকে ৫০ হাজার টাকার আর্থিক সহায়তা পাঠিয়েছেন তিনি। 

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১টার দিকে পরিবারটিকে এই সহায়তা পাঠান তারেক রহমান। পাশাপাশি এই ঘটনায় ন্যায়বিচার পেতে শিশুর পরিবারটিকে আইনি সহায়তা দেওয়ারও আশ্বাস দেন তিনি।

মঙ্গলবার রাতে তারেক রহমানের নির্দেশে নাটোর জেলা বিএনপির সদস্য এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আব্দুল কাদের মিয়ার নেতৃত্বে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল ওই শিশুর বাড়িতে যান।

সেখানে গিয়ে শিশুটির পরিবারকে তারেক রহমানের পাঠানো ৫০ হাজার টাকার আর্থিক সহায়তা তুলে দেন। এছাড়া, আইনিসহ সব ধরনের সহায়তারও আশ্বাস দেন। 

এসময় নিহত শিশুর মা মোমেনা খাতুন অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

প্রসঙ্গত, পয়লা বৈশাখে উপলক্ষে বেড়াতে বের হয়ে ধর্ষণের শিকার হয় প্রবাসী জাহিরুল ইসলামের ৭ বছরের শিশুকন্যা। ধর্ষণের পর তাকে হত্যা করে মুখমণ্ডল অ্যাসিডে ঝলসে দেওয়ার পর পাবনার হরিপুরের একটি ভুট্টা খেতে লাশ ফেলে যায় দুর্বৃত্তরা।

বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান বলেছেন, ‘‘শিশুটির বাড়ি বড়াইগ্রাম উপজেলায় (নাটোর) হলেও লাশটি উপজেলার সীমান্তবর্তী পাবনার চাটমোহর এলাকায় পাওয়া গেছে। ফলে এই অপরাধটির মামলা চাটমোহর থানায় নেওয়া হবে। তবে দুর্বৃত্তদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনতে বড়াইগ্রাম থানা পুলিশও যথাযথ দায়িত্ব পালন করবে।’’

তিনি আরও বলেন, ‘‘ইতোমধ্যে দুর্বৃত্তদের অনুসন্ধানে পুলিশের তদন্ত দল মাঠে নেমেছে। প্রাথমিকভাবে শিশুটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তবে প্রকৃত কারণ লাশের ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে।’’

ঢাকা/আরিফুল/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ত র ক রহম ন র পর ব র

এছাড়াও পড়ুন:

খাগড়াছড়িতে পরিত্যক্ত অবস্থায় বন্দুক ও কার্তুজ উদ্ধার

খাগড়াছড়িতে পুলিশের অভিযানে একটি এলজি ও একটি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে।  শুক্রবার সন্ধ্যায় জেলা সদর পৌরসভার কলেজ গেইট মোহাম্মদপুর এলাকার পাহাড় থেকে এসব উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে- কলেজ গেইট মোহাম্মদপুর এলাকায় বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসী অবস্থান করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে খাগড়াছড়ি সদর থানার ওসি আব্দুল বাতেন মৃধার নেতৃত্বে সঙ্গীয় পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছতেই পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে সেখানে স্থানীদের উপস্থিতিতে তল্লাশি চালিয়ে সন্ত্রাসীদের ফেলে যাওয়া একটি এলজি (বন্দুক) ও একটি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।

খাগড়াছড়ি সদর থানার ওসি আব্দুল বাতেন মৃধা জানান, এ ঘটনায় অস্ত্র আইনে মামলা রুজুর প্রস্তুতি চলছে এবং পালিয়ে যাওয়া সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যহত রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ