ধর্ষণের অভিযোগে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. সুজন চৌধুরীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) যবিপ্রবি রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীব স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের বিষয়টি জানানো হয়। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ড.

সুজন চৌধুরীর বিরুদ্ধে পাওয়া অভিযোগ এবং বিভাগীয় একাডেমিক কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী যবিপ্রবি আইন অনুযায়ী তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরি থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। একইসঙ্গে সাময়িক বরখাস্ত চলাকালে সবার নিরাপত্তার স্বার্থে ড. সুজনকে প্রশাসনিক, একাডেমিকসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার জন্য এবং কর্মস্থলে না আসার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। 

আরো পড়ুন:

থাইল্যান্ডের নারীকে ধর্ষণ ও মারধরের অভিযোগে মামলা, অভিযুক্ত গ্রেপ্তার

নড়াইলে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ

সম্প্রতি যবিপ্রবি শিক্ষক ড. সুজন চৌধুরীর বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালে ধর্ষণ মামলা হয়েছে। এছাড়া তাকে উপযুক্ত শাস্তি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরি থেকে অপসারণের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিকট লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন ভুক্তভোগী ওই নারী।

অভিযোগ রয়েছে, ড. সুজন চৌধুরী জুলাইয়ে ছাত্র জনতার অভ্যুথানের বিরোধিতা ও অবমাননা করেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজ বিভাগের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস কাণ্ডে জড়িত ছিলেন এবং নারী শিক্ষার্থীদের হয়রানি করেছেন।

জুলাই আন্দোলনে তিনি শিক্ষার্থীদের প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দিয়ে আন্দোলনের বিরোধিতা করেন। পরবর্তীতে নিজ বিভাগের শিক্ষার্থীরা তাকে সকল প্রকার একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অপসারণের দাবি তুলে আন্দোলন করেন।

ঢাকা/ইমদাদুল/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স জন চ ধ র

এছাড়াও পড়ুন:

খাগড়াছড়িতে পরিত্যক্ত অবস্থায় বন্দুক ও কার্তুজ উদ্ধার

খাগড়াছড়িতে পুলিশের অভিযানে একটি এলজি ও একটি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে।  শুক্রবার সন্ধ্যায় জেলা সদর পৌরসভার কলেজ গেইট মোহাম্মদপুর এলাকার পাহাড় থেকে এসব উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে- কলেজ গেইট মোহাম্মদপুর এলাকায় বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসী অবস্থান করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে খাগড়াছড়ি সদর থানার ওসি আব্দুল বাতেন মৃধার নেতৃত্বে সঙ্গীয় পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছতেই পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে সেখানে স্থানীদের উপস্থিতিতে তল্লাশি চালিয়ে সন্ত্রাসীদের ফেলে যাওয়া একটি এলজি (বন্দুক) ও একটি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।

খাগড়াছড়ি সদর থানার ওসি আব্দুল বাতেন মৃধা জানান, এ ঘটনায় অস্ত্র আইনে মামলা রুজুর প্রস্তুতি চলছে এবং পালিয়ে যাওয়া সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যহত রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ