রিশাদকে লাহোরের মালিক—আমি তোমাকে ভালোবাসি
Published: 16th, April 2025 GMT
প্রথম ম্যাচে একাদশে সুযোগ মেলেনি। বেঞ্চে বসে দলের হার দেখেছেন। এরপরের গল্পটা সবার জানা। রিশাদ হোসেন লাহোর কালান্দার্সের একাদশে সুযোগ পেয়েছেন। টানা দুই ম্যাচে ৩টি করে উইকেট নিয়ে দলকে জিতিয়েছেন।
আর তাতে এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টে যৌথভাবে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারিও তিনি। এমন পারফরম্যান্সে প্রশংসায় ভাসছেন রিশাদ। দলের অধিনায়ক শাহিন শাহ আফ্রিদি থেকে লাহোরের অন্যতম মালিক ও প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা সামিন রানা—সবার মুখে রিশাদস্তুতি।
আফ্রিদি রিশাদকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে। ম্যাচ জয়ের পর কথা বলতে গিয়ে এই বাঁহাতি পেসার বলেছেন, ‘রিশাদ বাংলাদেশের হয়ে ভালো খেলে এসেছে, সে তাদের ভবিষ্যৎ তারকা। মাঝের ওভারগুলোয় সে দারুণ করছে। তাদের মিডল অর্ডারকে দাঁড়াতে দেয়নি।’
প্রশংসা না করেও বা উপায় কী! একটু আগেই তো রিশাদের দারুণ ঘূর্ণি দেখেছেন। লাহোরের ২০১ রান তাড়া করতে নেমে ৭ ওভার শেষে করাচি যখন ৩ উইকেটে ৪৫, তখন রিশাদকে আক্রমণে আনেন আফ্রিদি।
প্রথম ওভারেই রিশাদ ১ রান খরচায় নেন ২ উইকেট! শান মাসুদ ও ইরফান খানকে ফেরান। নিজের দ্বিতীয় ওভারেও স্পিন ফাঁসে ফেরান আব্বাস আফ্রিদিকে। এ ওভারে ৩ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট। অর্থাৎ ২ ওভার শেষে রিশাদের বোলিং বিশ্লেষণ ছিল ২-০-৪-৩! শেষ দুই ওভারে উইকেট পাননি। তৃতীয় ওভারে দেন ১১, চতুর্থ ওভারে ১২। সব মিলিয়ে ৪ ওভারে ২৬ রান খরচায়—৩ উইকেট।
এরপর সংবাদ সম্মেলনেও ইংল্যান্ডের উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান স্যাম বিলিংসের কথাতেও ছিলেন রিশাদ। তিনি বলেছেন এভাবে, ‘রিশাদের কথা বলতেই হয়। তরুণ একটা ছেলে যেভাবে বোলিং করল! এবারই প্রথম আমি তার বোলিং সরাসরি দেখছি ও একসঙ্গে খেলছি। সে অবিশ্বাস্য, দুর্দান্ত।’
কালও ৩ উইকেট নিয়েছেন রিশাদ.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
ভিডিও বানাতে গিয়ে অনৈতিক সম্পর্ক, হত্যা করলেন স্বামীকে
ভারতের সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার রবিনার সঙ্গে সুরেশের দেড় বছর আগে ইনস্টাগ্রামে পরিচয় হয়। এরপর একসঙ্গে তাঁরা ভিডিও বানানো শুরু করেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রবিনার সময় কাটানো আসক্তির পর্যায়ে চলে যায়। এ নিয়ে প্রায়ই স্ত্রী রবিনার সঙ্গে প্রাভিনের ঝগড়া হতো। প্রাভিন সন্দেহ করতেন, সুরেশের সঙ্গে রবিনার অনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে।
গত ২৫ মার্চ প্রাভিন বাড়িতে ফিরে তাঁর সেই আশঙ্কার প্রমাণ পান। তিনি রবিনা ও সুরেশকে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখে নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারান। তাঁদের মধ্যে কথা–কাটাকাটি শুরু হয়। এ ঘটনার পর থেকে প্রাভিনের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। এর তিন দিন পর প্রাভিনের মরদেহ পাওয়া যায় বাড়ি থেকে প্রায় ছয় কিলোমিটার দূরের একটি নালায়।
ওই এলাকার সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, মোটরসাইকেলে তিনজন ছিলেন, কিন্তু ফেরার সময় তাঁদের মধ্যে একজন অনুপস্থিত। এরপর পুলিশ তাঁদের শনাক্ত করে। জিজ্ঞাসাবাদের পর রবিনা ও সুরেশ হত্যাকাণ্ডে নিজেদের দোষ স্বীকার করেন।
সুরেশ পুলিশকে জানিয়েছেন, ওই দিন রবিনা ভিডিও বানানো শেষে ভিওয়ানির প্রেমনগরে প্রাভিনের বাড়িতে যান। সুরেশ সেখানে রবিনার সঙ্গে দেখা করতে আসেন। প্রাভিন বাড়িতে ফিরে অন্তরঙ্গ অবস্থায় তাঁদের দেখতে পান। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এরপর প্রাভিনকে শ্বাস রোধ করে হত্যা করা হয়।
হত্যার পর সারা দিন রবিনা স্বাভাবিক আচরণ করেন। আত্মীয়রা জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, প্রাভিন কোথায় তা তিনি জানেন না। এরপর রাত নামার অপেক্ষা করেন রবিনা। রাতে সুরেশ মোটরসাইকেল নিয়ে এলে তাঁরা দুজন মিলে প্রাভিনের মরদেহ নিয়ে বেরিয়ে পড়েন।
২৬ মার্চ রাত সাড়ে ১২টার দিকে সুরেশ ও রবিনা মোটরসাইকেলের মাঝখানে প্রাভিনের মরদেহ বসিয়ে প্রায় ছয় কিলোমিটার দূরের একটি নালায় ফেলে দেন। তিন দিন পর পুলিশ সেই নালা থেকে প্রাভিনের মরদেহ উদ্ধার করে এবং তদন্ত শুরু হয়।