রাজধানীর আগারগাঁও ও উত্তরায় ফুটপাত ও রাস্তা দখলমুক্ত করতে দুটি পৃথক অভিযানে প্রায় পাঁচশ’ অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)।
বুধবার দুপুরে আগারগাঁওয়ের শেরেবাংলা নগর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন ডিএনসিসির আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ও ডিএনসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহীদুল ইসলাম।

অভিযানে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের দক্ষিণ-পশ্চিম পাশের প্রথম গেট সংলগ্ন রাস্তার পশ্চিম দিকে ঢাকা-আরিচা সড়ক পর্যন্ত রাস্তার উভয় পাশের রাস্তা ও ফুটপাতের প্রায় দুই শতাধিক অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করা হয়। এর ফলে প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তা ও ফুটপাত দখলমুক্ত হয়েছে। অভিযানে উচ্ছেদ করা দোকানের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন খাবারের হোটেল, অবৈধ টং দোকান এবং হকারদের বিভিন্ন সামগ্রীর দোকান।

এছাড়া রাজধানীর উত্তরা ১০ নম্বর সেক্টর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন ডিএনসিসির অঞ্চল-১ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ছাদেকুর রহমান এবং ডিএনসিসির সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা খানম। অভিযানে উত্তরা ১০ নম্বর সেক্টর সুইস গেট থেকে কামারপাড়া পর্যন্ত রানাভোলা সড়কের কাঁচা অংশ অবৈধভাবে গড়ে তোলা প্রায় দুই শতাধিক দোকান উচ্ছেদ করা হয়। উচ্ছেদের ফলে প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তা ও ফুটপাত দখলমুক্ত হয়েছে। অভিযানে উচ্ছেদ করা দোকানের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন খাবারের হোটেল, অবৈধ টং দোকান, বাঁশের আড়ত, নার্সারি, হকারদের বিভিন্ন সামগ্রীর দোকান।

উল্লেখ্য, ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ নগরবাসীর সঙ্গে গণশুনানিতে অংশ নিয়ে ঘোষণা দিয়েছিলেন পহেলা বৈশাখের পর ফুটপাত ও রাস্তা দখলমুক্ত করতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করবে ডিএনসিসি। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ডিএনসিসির বিভিন্ন এলাকায় অভিযান শুরু হয়েছে। রাস্তা ও ফুটপাত দখলমুক্ত করতে এই অভিযান চলবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ড এনস স ড এনস স র দখলম ক ত ও ফ টপ ত

এছাড়াও পড়ুন:

ডিএনসিসি প্রশাসকের গণশুনানিতে দু’পক্ষের মারামারি

হাতাহাতি থেকে মারামারিতে রূপ নিল ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসকের গণশুনানি। প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজের সামনে মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের অনিয়মের বিষয়ে কথা শুরু করতেই আরেকজন তাঁর মাইক্রোফোন কেড়ে নিলে এই হাতাহাতির সূত্রপাত। পরে তা মারামারির পর্যায়ে গড়ায়। একপর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসকের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। 

জানা যায়, নিয়মিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের সূচনা কমিউনিটি সেন্টারে গণশুনানির আয়োজন করে ডিএনসিসি। বাসিন্দারা এলাকার নানা সমস্যা নিয়ে কথা বলতে থাকেন। প্রশাসকও সেগুলো মনোযোগ দিয়ে শুনতে থাকেন এবং নোট নেন। পাশাপাশি তাদের সমস্যা সমাধানের বিষয়ে কথা বলেন। এক পর্যায়ে একজন মাইক্রোফোন নিয়ে মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের প্রসঙ্গ উত্থাপন করার পর পরই পাশ থেকে আরেকজন তাতে বাধা দেন। বাধা উপেক্ষা করে আবারও বলা শুরু করলেই তার মাইক্রোফোনটি কেড়ে নেওয়া হয়। শুরু হয়ে যায় দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি, ধাওয়া-ধাওয়ি, কিলঘুসি। এক পর্যায়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

গণশুনানিতে ভুক্তভোগীরা খেলার মাঠ, পার্ক, রাস্তা, খাল দখলমুক্ত করা, দরিদ্রদের জন্য টিসিবি কার্ড বিতরণের দাবি ছাড়াও ব্যাটারি রিকশার দৌরাত্ম্য, কিশোর গ্যাং, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, ডাকাতিসহ নানা সমস্যার কথা তুলে ধরেন। 

প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ‘ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন খাল, মাঠ, পার্ক, রাস্তা ও ফুটপাত দখলমুক্ত করতে অভিযান শুরু হয়েছে। দখলদারদের বিরুদ্ধে নিয়মিতভাবে অভিযান চলতে থাকবে। দ্রুত সময়ের মধ্যে মোহাম্মদপুর হাইক্কার খালের সব অবৈধ স্থাপনা ও ভবন উচ্ছেদ করা হবে। আমি নিজে উপস্থিত থাকব। অবৈধ দখলদারদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ডিএনসিসি প্রশাসকের গণশুনানিতে দু’পক্ষের মারামারি
  • মিরপুরে ফুটপাত দখলমুক্তে ডিএনসিসির টানা তিন দিনের অভিযান
  • রাজধানীতে ফুটপাত ও রাস্তা থেকে চারশ’ দোকান উচ্ছেদ