আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে নির্বাচন করাকে ভুল মনে করেন না সাকিব আল হাসান। তার মতে, মানুষের মৌলিক অধিকার মূলত দুটি। একটি ভোট দেওয়া এবং অন্যটি পছন্দের রাজনৈতিক দলে যোগ দেওয়া। তিনি তার পছন্দের রাজনৈতিক দলে যোগ দিয়ে তাই ভুল করেননি। অবশ্য অংশ নেওয়া জাতীয়  নির্বাচনে ভোটা দেওয়ার অধিকার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল কিনা তা নিয়ে সাকিবের মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

সংবাদ মাধ্যম ডেইলি সানকে দেওয়া সাক্ষাৎকার সাকিব বলেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ হলো, আমাদের চিন্তা-ভাবনায় পরিবর্তন আনা। গভীরভাবে চিন্তা করলে দেখা যাবে, মানুষের মৌলিক অধিকার মূলত দুটি। একটি ভোট দেওয়া, অন্যটি পছন্দের রাজনৈতিক দলে যোগ দিয়ে রাজনীতি করা। যদি মনে হয় সিস্টেমে সমস্যা আছে, তাহলে এটা কীভাবে পরিবর্তন করবেন? আপনি একা কীভাবে পরিবর্তন করবেন? কতদিন করবেন? এর জন্য সব দিক থেকে সহায়তা দরকার। সবাই একত্রে এগিয়ে আসলে পরিবর্তন হবে।’ 

সাক্ষাৎকারে সাকিব জানিয়েছেন, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পরে ধীরে ধীরে রাজনীতিতে সময় দেওয়া বাড়ানোর পরিকল্পনা ছিল তার। তিনি চেয়েছিলেন, রাজনীতি শিখে তারপর ফুলটাইম কাজ শুরু করবেন। এমপি হয়েই ঝাপিয়ে পড়তে চাননি। এছাড়া সাকিব জানান, এখন যারা রাজনীতিতে আসছে তারাও সারাজীবন ক্ষমতায় থাকবেন না। ১০ কিংবা ২০ বছর পরে তাদেরও সরে যেতে হবে। এটাই রাজনীতির ধর্ম। ভবিষ্যতে কী ঘটবে তা আগ বাড়িয়ে বলে দেওয়ার সুযোগ নেই। 

রাজনীতিতে এসে সাকিবের কী শিক্ষা হয়েছে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমি এখন মানুষের নতুন নতুন চেহারা দেখছি। হয়তো আমি এতোদিন ঘোরের মধ্যে বাস করেছি।’ নতুন বাংলাদেশের কাছে প্রত্যাশা সম্পর্কে সাকিব জানান, কতদূর যেতে পারবে তা নিয়ে সন্দিহান তিনি, ‘আমি নিশ্চিত তারা সৎ উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করছে। তবে সময়ই বলে দেবে, তারা ঠিক কতদূর যেতে পারবে। এর বাইরে এখন কিছু বলতে পারছি না।’ 

সাক্ষাৎকারে সাকিব জানিয়েছেন, তিনি দেশের হয়ে খেলতে চান। বিসিবির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করেছেন। যদিও সীমাবন্ধতার কারণে বিসিবির তাকে খুব একটা সহায়তা করতে পারেনি। এছাড়া ভক্তদের কাছে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে সাকিব বলেছেন, ‘গত ১৮ বছর আমি দেশের হয়ে খেলেছি। ১৮ বছর নাকি রাজনীতির ৬ মাস, কোনটা দিয়ে আমাকে বিচার করবেন, তা আপনাদের ইচ্ছা। আমি মনে করি, বাংলাদেশের হয়ে খেলার সুযোগটা আমার প্রাপ্য।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স ক ব আল হ স ন পছন দ র র জন ত করব ন

এছাড়াও পড়ুন:

খাগড়াছড়িতে পরিত্যক্ত অবস্থায় বন্দুক ও কার্তুজ উদ্ধার

খাগড়াছড়িতে পুলিশের অভিযানে একটি এলজি ও একটি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে।  শুক্রবার সন্ধ্যায় জেলা সদর পৌরসভার কলেজ গেইট মোহাম্মদপুর এলাকার পাহাড় থেকে এসব উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে- কলেজ গেইট মোহাম্মদপুর এলাকায় বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসী অবস্থান করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে খাগড়াছড়ি সদর থানার ওসি আব্দুল বাতেন মৃধার নেতৃত্বে সঙ্গীয় পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছতেই পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে সেখানে স্থানীদের উপস্থিতিতে তল্লাশি চালিয়ে সন্ত্রাসীদের ফেলে যাওয়া একটি এলজি (বন্দুক) ও একটি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।

খাগড়াছড়ি সদর থানার ওসি আব্দুল বাতেন মৃধা জানান, এ ঘটনায় অস্ত্র আইনে মামলা রুজুর প্রস্তুতি চলছে এবং পালিয়ে যাওয়া সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যহত রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ