হজরত ওমর (রা.)-এর বর্ণনায় একটি হাদিসে রাসুল (সা.) একদিন প্রাচীনকালের একটি ঘটনা বলেছেন। তিন ব্যক্তি একটি গুহায় আশ্রয় নিয়ে সেখানে অবস্থান করছিল। হঠাৎ পাহাড়ের ওপর থেকে বিরাট এক পাথরের চাই গড়িয়ে পড়ে গুহার মুখ বন্ধ হয়ে যায়। তিনজন এবার নিজেদের সৎকর্মের অছিলায় আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করলেন, যেন তিনি তাদের এই বিপদ থেকে উদ্ধার করেন।
তাদের মধ্যে দ্বিতীয়জন বললেন, ‘আল্লাহ, আমার চাচার একটা মেয়ে ছিল। সে ছিল আমার সবচেয়ে প্রিয়। আমি এতই যে ভালোবাসতাম—একজন পুরুষ কোনো নারীকে যতটা ভালোবাসতে পারে, ততটা। তাকে আমি নিজের কাছে একান্তে পাওয়ার ইচ্ছা করেছিলাম। সে রাজি হয়নি। বছরখানেক পড়ে প্রচণ্ড অভাবের মুখে পড়ে একদিন সে আমার কাছে এলো। আমি তাকে এই শর্তে এক শ বিশটি স্বর্ণমুদ্রা দিয়েছিলাম, যেন নির্জনে সে আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে।
সে তা-ই করল। তাকে আমি একদম হাতের মুঠোয় পেয়ে গেলাম। সে আমাকে বলল, ‘আল্লাহকে ভয় করো, আমার সতীত্ব অবৈধভাবে হরণ কোরো না।’
আরও পড়ুনগায়েবি সাহায্য০৮ এপ্রিল ২০২৫মেয়েটি ছিল খোদাভীরু ও পরহেজগার। প্রথমে সে তাতে সায় দেয়নি। কিন্তু দারিদ্র্য ও সম্বলহীনতা তাকে সীমাহীন দুর্বল করে ফেলে। অভাব তাকে নিরুপায় অবস্থায় এমন করতে বাধ্য করে। সে আমাকে আল্লাহর কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। আমার অন্তরে আল্লাহভীতি উসকে দেয় এবং ইমান জাগিয়ে তোলে। এই উপলব্ধি এনে দেয় যে, যদি সে তাকে কামনা করি, তবে যেন বৈধভাবে বিবাহ করে নিই, পাপ থেকে বিরত থাকি। আমি তখন অনুতপ্ত হই, আল্লাহ, আপনার কাছে তাওবা করে। এই সৎকর্মের মাধ্যমে আপনার কাছে মুক্তি প্রার্থনা করি।
তাদের প্রার্থনায় গুহার মুখ খুলে যায়, পাথরের চাঁই সরে যায়। এবং তারা মুক্তি পায়।
সূত্র: সহিহ বুখারি, হাদিস: ৩,৪৬৫; সহিহ মুসলিম, হাদিস: ২,৭৩৪; সুনানে নাসায়ি, হাদিস: ৮,৪৬১; মুসনাদে আহমাদ, ২/১১৬
আরও পড়ুনমহানবীর (সা.) সময়ে স্বাবলম্বী নারীদের পেশা০৯ এপ্রিল ২০২৫
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আল ল হ
এছাড়াও পড়ুন:
আল্লাহর ভয়
হজরত ওমর (রা.)-এর বর্ণনায় একটি হাদিসে রাসুল (সা.) একদিন প্রাচীনকালের একটি ঘটনা বলেছেন। তিন ব্যক্তি একটি গুহায় আশ্রয় নিয়ে সেখানে অবস্থান করছিল। হঠাৎ পাহাড়ের ওপর থেকে বিরাট এক পাথরের চাই গড়িয়ে পড়ে গুহার মুখ বন্ধ হয়ে যায়। তিনজন এবার নিজেদের সৎকর্মের অছিলায় আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করলেন, যেন তিনি তাদের এই বিপদ থেকে উদ্ধার করেন।
তাদের মধ্যে দ্বিতীয়জন বললেন, ‘আল্লাহ, আমার চাচার একটা মেয়ে ছিল। সে ছিল আমার সবচেয়ে প্রিয়। আমি এতই যে ভালোবাসতাম—একজন পুরুষ কোনো নারীকে যতটা ভালোবাসতে পারে, ততটা। তাকে আমি নিজের কাছে একান্তে পাওয়ার ইচ্ছা করেছিলাম। সে রাজি হয়নি। বছরখানেক পড়ে প্রচণ্ড অভাবের মুখে পড়ে একদিন সে আমার কাছে এলো। আমি তাকে এই শর্তে এক শ বিশটি স্বর্ণমুদ্রা দিয়েছিলাম, যেন নির্জনে সে আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে।
সে তা-ই করল। তাকে আমি একদম হাতের মুঠোয় পেয়ে গেলাম। সে আমাকে বলল, ‘আল্লাহকে ভয় করো, আমার সতীত্ব অবৈধভাবে হরণ কোরো না।’
আরও পড়ুনগায়েবি সাহায্য০৮ এপ্রিল ২০২৫মেয়েটি ছিল খোদাভীরু ও পরহেজগার। প্রথমে সে তাতে সায় দেয়নি। কিন্তু দারিদ্র্য ও সম্বলহীনতা তাকে সীমাহীন দুর্বল করে ফেলে। অভাব তাকে নিরুপায় অবস্থায় এমন করতে বাধ্য করে। সে আমাকে আল্লাহর কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। আমার অন্তরে আল্লাহভীতি উসকে দেয় এবং ইমান জাগিয়ে তোলে। এই উপলব্ধি এনে দেয় যে, যদি সে তাকে কামনা করি, তবে যেন বৈধভাবে বিবাহ করে নিই, পাপ থেকে বিরত থাকি। আমি তখন অনুতপ্ত হই, আল্লাহ, আপনার কাছে তাওবা করে। এই সৎকর্মের মাধ্যমে আপনার কাছে মুক্তি প্রার্থনা করি।
তাদের প্রার্থনায় গুহার মুখ খুলে যায়, পাথরের চাঁই সরে যায়। এবং তারা মুক্তি পায়।
সূত্র: সহিহ বুখারি, হাদিস: ৩,৪৬৫; সহিহ মুসলিম, হাদিস: ২,৭৩৪; সুনানে নাসায়ি, হাদিস: ৮,৪৬১; মুসনাদে আহমাদ, ২/১১৬
আরও পড়ুনমহানবীর (সা.) সময়ে স্বাবলম্বী নারীদের পেশা০৯ এপ্রিল ২০২৫