খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ৩৭ জন শিক্ষার্থীর বহিষ্কারের প্রতিবাদে এবং উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) মানববন্ধন করা হয়েছে।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ মানববন্ধন করেন কুবি শিক্ষার্থীরা।

এ সময় গণিত বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ হান্নান রহিম বলেন, “কুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীদেরকে যে বহিষ্কার আদেশ দিয়েছে, তার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর যে বর্বরোচিত হামলা হয়েছে, তা আমরা সবাই জানি। সেখানে কারা হামলা করেছে, তাও সবার জানা। তারপরও কুয়েটের উপাচার্যের এমন পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ কোনোভাবেই কাম্য নয়।”

আরো পড়ুন:

কুবি শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ

কুবি শিক্ষার্থীদের ভাবনায় ফ্যাসিবাদমুক্ত নববর্ষ

তিনি আরো বলেন, “কুয়েট কি বাংলাদেশের গাজা? গাজায় যেমন বর্বরোচিত হামলা চলছে, কিন্তু ভুক্তভুগীরা বিচার পাচ্ছে না। ঠিক তেমনি কুয়েটেরও একই অবস্থা। আমরা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কুয়েটের শিক্ষার্থীদের পাশে আছি। কুয়েট প্রশাসনের কাছে দাবি, দ্রুততম সময়ের মধ্যে সুষ্ঠু তদন্ত করে বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার করতে হবে এবং কুয়েটের উপাচার্যকে পদত্যাগ করতে হবে।”

ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবির বলেন, “কুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর হামলাকারীর দায় স্বীকারের পরো তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। উল্টো সাধারণ শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার করা হয়েছে। কুয়েটের উপাচার্যের এমন পক্ষপাতদুষ্ট আচরণের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। আমি কুয়েট প্রশাসনের কাছে দাবি জানাবো, এমন বিচারের নামে প্রহসন বন্ধ করুন।”

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী জামাল হোসেন রাজু বলেন, “আমরা দেখছি ঢাবি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যেভাবে ফ্যাসিস্ট  আচরণ করছে, কুয়েট উপাচার্য একই আচরণ করছে। আমরা আশা করবো, তিনি তার ফ্যাসিস্ট আচরণ পরিহার করবে। নতুন বাংলাদেশের সঙ্গে মানিয়ে নেবেন, অন্যথায় পদত্যাগ করবেন। আমরা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে এর তীব্র নিন্দা জানাই।”

ঢাকা/এমদাদুল/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপ চ র য

এছাড়াও পড়ুন:

আবারও রাজপথে শিক্ষার্থীরা

সুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা তৃতীয় দিনের মতো রাজপথে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন। বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ৯টায় শহরের আলফাত স্কয়ারে এসে অবস্থান নিয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেন তারা। দুপুর ১২টা পর্যন্ত তাদের এই কর্মসূচি চলে। এ সময় ‘ওয়ার্ড ক্লাসে অবহেলা মানি না, মানব না’, ‘ওয়ার্ড ছাড়া মেডিকেল চলবে না, চলবে না’ প্রভৃতি স্লোগানে সমাবেশস্থল মুখর করে তোলেন শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, মেডিকেল থেকে বের হওয়ার সময় হয়ে গেছে অনেকের। অথচ ক্লিনিক্যাল ক্লাসের ব্যবস্থা হচ্ছে না। ২০২২ সালে এই হাসপাতাল পরিপূর্ণ হওয়ার কথা থাকলেও সময় বাড়িয়ে ২০২৫-এর জুন পর্যন্ত নেওয়া হয়। এখন বলা হচ্ছে ২০২৬ সালে কাজ শেষ হবে। সুনামগঞ্জ হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজের বিশাল কমপ্লেক্সের কাজ প্রায় শেষ। সামান্য কাজের জন্য বারবার সময় চাওয়া হয়, যা তাদের জন্য ক্ষতিকর। সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের অবস্থাও ভালো নয়। এ ছাড়া ১৫ কিলোমিটার দূরে সুনামগঞ্জ শহরে এসে ক্লিনিক্যাল ক্লাস করার জন্য কোনো পরিবহনের ব্যবস্থা নেই তাদের। এ অবস্থায় নিরুপায় হয়ে বিপন্ন শিক্ষাজীবন রক্ষায় আন্দোলনে নেমেছেন তারা। ওয়ার্ড ও হাসপাতাল চালু, নিজস্ব পরিবহনের ব্যবস্থা করা এবং সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের প্রয়োজনীয় উন্নয়ন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। 
বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধনে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বক্তব্য দেন মো. সৌরভ, সায়েমা আমির, নুরমিন নাহার আফিন্দি প্রমুখ। শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা বঞ্চনার শিকার হয়ে যৌক্তিক দাবি নিয়ে পথে নেমেছি। এই দাবি মানা না হলে ক্লাসে ফেরার সুযোগ নেই আমাদের। ক্লাসে গিয়েও তেমন উপকার হবে না আমাদের। এর আগে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ও স্বাস্থ্যসেবা সচিব বরাবর স্মারকলিপি দেয় আন্দোলনকারীরা। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সামাজিক অপরাধ কমছে না কেন
  • শিশু বিকাশ কেন্দ্রের সেবা কি বন্ধের পথে?
  • সেলিম মাহমুদসহ রবিনটেক্সের গ্রেপ্তার শ্রমিকদের মুক্তি দাবি
  • প্রধান শিক্ষকের অপসারণ দাবি শিক্ষার্থীদের
  • আবারও রাজপথে শিক্ষার্থীরা
  • অল্প বয়সেই সন্তান জেদী হয়ে উঠেছে?
  • পবিপ্রবির শিক্ষার্থীর মৃত্যু স্বাভাবিক নয়, বলছেন চিকিৎসকরা
  • বন্ধু কি আপনাকে ঈর্ষা করেন? যেভাবে বুঝবেন
  • মনে হচ্ছে মাঠ প্রশাসন নিরপেক্ষ আচরণ করছে না, এ অবস্থায় নির্বাচন সম্ভব নয়: নাহিদ ইসলাম