বুলিং নিয়ে কি আগের চেয়ে অনেক বেশি সোচ্চার কিশোর–কিশোরীরা?
Published: 16th, April 2025 GMT
বছর আঠারোর এক চাচাতো ভাইকে জিজ্ঞাসা করলাম, কী রে ‘অ্যাডলেসেন্স’ সিরিজটা দেখেছিস নাকি? তার উত্তর ‘ইয়াপ’। আমার সেই ভাই থাকে খুলনায়। সেখানকার একটি কলেজ থেকে এবার এইচএসসি পাস করেছে। মেসেঞ্জারে কথা এগোতে চাইলাম, তার খুব একটা আগ্রহ আছে বলে মনে হলো না। এরপর জানাল, চার পর্বের সিরিজের দুই পর্ব দেখেছে। বাকিটায় আগ্রহ পাচ্ছে না। সে খুবই নিরীহভাবে জানতে চাইল, এটা নিয়ে এত কেন হইচই হচ্ছে? ঘটনাটা যেন ওর কাছে খুবই ডালভাত মনে হয়েছে। বলল, ‘আমাদের স্কুলে তো এমন অনেক ঘটনাই ঘটে।’ কী ঘটে? আমার আগ্রহ দেখে সে হোয়াটসঅ্যাপে ফোন করল। এরপর বেশ কয়েকটি ঘটনার বর্ণনা দিল। শুনে আমি অবাক হলাম—এমনও ঘটে!
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করি ১৫ বছর ধরে; কিন্তু এই মাধ্যম নিয়ে আমি যে খুব সরগর, তা কিন্তু নয়। অথচ এটাই এখন এই কিশোরদের আরেক দুনিয়া, যার সঙ্গে বাস্তব জগতের বিশেষ পার্থক্য নেই। আমার ওই চাচাতো ভাই জানাল, সে তার এক সহপাঠীর সঙ্গে প্রায় পাঁচ বছর কথা বলে না। কেন জানেন? তার একটি ছবিতে পাঁচ বছর আগে নাকি সেই সহপাঠী ফেসবুকে একটি বাজে কমেন্ট করেছিল। কী কমেন্ট জানতে চাইলাম। বলল, ‘ও আমার ছবির নিচে লিখেছিলো “বলদ বলদ লাগছে।”’ এটুকু কমেন্টে তুই সিরিয়াস হয়ে গেলি? চাচাতো ভাই বিষ্ময়ের সঙ্গে বলল, ‘এমন একটা পাবলিক প্লেসে লিখল আর তুমি এইটুকু কমেন্ট বলছ!’
আরও পড়ুনজেন-জিরা এখন মা–বাবা, অভিভাবক হিসেবে তাঁরা কেমন ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫সবকিছুতেই অকপট কিশোরেরা.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: কম ন ট
এছাড়াও পড়ুন:
ভিডিও বানাতে গিয়ে অনৈতিক সম্পর্ক, হত্যা করলেন স্বামীকে
ভারতের সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার রবিনার সঙ্গে সুরেশের দেড় বছর আগে ইনস্টাগ্রামে পরিচয় হয়। এরপর একসঙ্গে তাঁরা ভিডিও বানানো শুরু করেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রবিনার সময় কাটানো আসক্তির পর্যায়ে চলে যায়। এ নিয়ে প্রায়ই স্ত্রী রবিনার সঙ্গে প্রাভিনের ঝগড়া হতো। প্রাভিন সন্দেহ করতেন, সুরেশের সঙ্গে রবিনার অনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে।
গত ২৫ মার্চ প্রাভিন বাড়িতে ফিরে তাঁর সেই আশঙ্কার প্রমাণ পান। তিনি রবিনা ও সুরেশকে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখে নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারান। তাঁদের মধ্যে কথা–কাটাকাটি শুরু হয়। এ ঘটনার পর থেকে প্রাভিনের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। এর তিন দিন পর প্রাভিনের মরদেহ পাওয়া যায় বাড়ি থেকে প্রায় ছয় কিলোমিটার দূরের একটি নালায়।
ওই এলাকার সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, মোটরসাইকেলে তিনজন ছিলেন, কিন্তু ফেরার সময় তাঁদের মধ্যে একজন অনুপস্থিত। এরপর পুলিশ তাঁদের শনাক্ত করে। জিজ্ঞাসাবাদের পর রবিনা ও সুরেশ হত্যাকাণ্ডে নিজেদের দোষ স্বীকার করেন।
সুরেশ পুলিশকে জানিয়েছেন, ওই দিন রবিনা ভিডিও বানানো শেষে ভিওয়ানির প্রেমনগরে প্রাভিনের বাড়িতে যান। সুরেশ সেখানে রবিনার সঙ্গে দেখা করতে আসেন। প্রাভিন বাড়িতে ফিরে অন্তরঙ্গ অবস্থায় তাঁদের দেখতে পান। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এরপর প্রাভিনকে শ্বাস রোধ করে হত্যা করা হয়।
হত্যার পর সারা দিন রবিনা স্বাভাবিক আচরণ করেন। আত্মীয়রা জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, প্রাভিন কোথায় তা তিনি জানেন না। এরপর রাত নামার অপেক্ষা করেন রবিনা। রাতে সুরেশ মোটরসাইকেল নিয়ে এলে তাঁরা দুজন মিলে প্রাভিনের মরদেহ নিয়ে বেরিয়ে পড়েন।
২৬ মার্চ রাত সাড়ে ১২টার দিকে সুরেশ ও রবিনা মোটরসাইকেলের মাঝখানে প্রাভিনের মরদেহ বসিয়ে প্রায় ছয় কিলোমিটার দূরের একটি নালায় ফেলে দেন। তিন দিন পর পুলিশ সেই নালা থেকে প্রাভিনের মরদেহ উদ্ধার করে এবং তদন্ত শুরু হয়।