কমিউনিটি ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী হিসেবে যোগ দিয়েছেন কিমিয়া সাদাত। ব্যাংকটির অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পাশাপাশি তিনি ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। পরবর্তীতে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন সাপেক্ষে তিনি পূর্ণাঙ্গ ব্যবস্থাপনা পরিচালক পরিচালক হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হবেন। 

কমিউনিটি ব্যাংকে যোগদানের পূর্বে কিমিয়া সাদাত মেঘনা ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ব্যাংকটির কর্পোরেট ব্যাংকিং-এর পাশাপাশি তিনি ইসলামিক ব্যাংকিং, এজেন্ট ব্যাংকিং, ক্যাশ ম্যানেজমেন্ট সলিউশনস, স্ট্রাকচার্ড ফিন্যান্স ইউনিট, অফশোর ব্যাংকিং ইউনিট, ফরেন রেমিটেন্স ও এফআই রিলেশনশিপ, ব্র্যান্ড ও পাবলিক রিলেশনশিপ ইত্যাদি ডিপার্টমেন্টের নেতৃত্বে ছিলেন। তার নেতৃত্বে মেঘনা ব্যাংক দেশের শীর্ষস্থানীয় কর্পোরেট হাউসগুলোর মধ্যে অন্যতম পছন্দনীয় ব্যাংক হিসেবে স্বীকৃত। 

তিনি ‘এশিয়ান ব্যাংকিং অ্যান্ড ফিন্যান্স হোলসেল ব্যাংকিং অ্যাওয়ার্ড ২০২১’-এর মাধ্যমে ব্যাংকের জন্য প্রথম আন্তর্জাতিক পুরস্কার অর্জনে ব্যাংকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

দেশি ও বহুজাতিক ব্যাংকিং-এ ২২ বছরের বেশি অভিজ্ঞতাসম্পন্ন এই ব্যাংকার মেঘনা ব্যাংক ছাড়াও ইস্টার্ন ব্যাংক, দি সিটি ব্যাংক ও এইচএসবিসি বাংলাদেশে কাজ করেছেন। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ডিপার্টমেন্ট অফ ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং থেকে এমবিএ ডিগ্রির পাশাপাশি ইন্টারন্যাশনাল ফিনান্সিয়াল কন্সাল্ট্যান্টস (আইএফসি, কানাডা) থেকে তিনি সার্টিফাইড ফিনান্সিয়াল কনসালটেন্ট (সিএফসি) সনদপ্রাপ্ত। কর্পোরেট ব্যাংকিং-এর পাশাপাশি তিনি এসএমই ক্রেডিট, ইমারজিং কর্পোরেট, ইসলামিক ব্যাংকিং, অফশোর ব্যাংকিং, ফরেন রেমিটেন্স, এজেন্ট ব্যাংকিং, এফআই রিলেশনশিপ, স্ট্রাকচার্ড ফিনান্স, ক্যাশ ম্যানেজমেন্ট ও রিকভারি সলিউশনস, ব্র্যান্ড ও পাবলিক রিলেশনশিপসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। 

ঢাকা/এনএইচ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ল শনশ প কর প র ট

এছাড়াও পড়ুন:

১৫ সেনা কর্মকর্তাকে ট্রাইব্যুনালে আনা হয়েছে, নিরাপত্তা জোরদার

মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক তিন মামলায় ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে। আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টার পর তাঁদের আনা হয়।

সেনা কর্মকর্তাদের আনা উপলক্ষে ট্রাইব্যুনাল এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সেনা, বিজিবি, পুলিশ, র‍্যাব, এপিবিএন সদস্যরা ট্রাইব্যুনাল এলাকায় সকাল থেকে অবস্থান নিয়ে আছেন।

যে তিন মামলায় সেনা কর্মকর্তাদের ট্রাইব্যুনালে আনা হয়েছে, এর মধ্যে দুটি গুমের ঘটনায় করা মামলা। এর একটি হলো বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে টাস্কফোর্স ফর ইন্টারোগেশন সেলে (টিএফআই সেল) গুম করে রাখার ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা। এই মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আসামি ১৭ জন। এ মামলার ১০ আসামি গ্রেপ্তার আছেন। তাঁরা হলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, মো. কামরুল হাসান, মো. মাহাবুব আলম এবং কে এম আজাদ; কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন ও আনোয়ার লতিফ খান (অবসর প্রস্তুতিমূলক ছুটিতে); লে. কর্নেল মো. মশিউর রহমান, সাইফুল ইসলাম সুমন ও মো. সারওয়ার বিন কাশেম। তাঁদের আজ ট্রাইব্যুনালে আনা হয়েছে।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেলে (জেআইসি) গুম করে রাখার ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের আরেকটি মামলার আসামি ১৩ জন। এর মধ্যে ১০ আসামি পলাতক। তিন আসামি গ্রেপ্তার আছেন। তাঁরা হলেন প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) সাবেক তিনজন পরিচালক মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভির মাজাহার সিদ্দিকী। তাঁদের আজ ট্রাইব্যুনালে আনা হয়েছে।

এ ছাড়া জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর রামপুরা ও বনশ্রী এলাকায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের একটি মামলায় আসামি চারজন। এর মধ্যে দুজন গ্রেপ্তার আছেন। তাঁরা হলেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সাবেক কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ রেদোয়ানুল ইসলাম ও মেজর মো. রাফাত-বিন-আলম। তাঁদের আজ ট্রাইব্যুনালে আনা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে ট্রাইব্যুনালে আনা হয়েছে, নিরাপত্তা জোরদার