ফিলিস্তিনে চলমান ইসরায়েলের আগ্রাসনের প্রতিবাদে রংপুর মহানগরে দোকান বন্ধ রেখে আধাবেলা ধর্মঘট পালন করেছেন ব্যবসায়ীরা। 

বুধবার (১৬ এপ্রিল) সকাল থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত নগরীর সকল বিপণিবিতান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা। পরে নগরীর সুপার মার্কেট চত্বরে সমাবেশে অনুষ্ঠিত হয়। এতে যোগ দিতে ফিলিস্তিনে গণহত্যা বিরোধী নানা ব্যানার ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে জড়ো হন ব্যবসায়ী, পেশাজীবী ও সাধারণ মানুষ।

রংপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি ও জেলা-মহানগর দোকান মালিক সমিতির যৌথ উদ্যোগে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন রংপুর চেম্বারের সভাপতি আকবর আলী। বক্তব্য দেন- মহানগর দোকান মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তানবীর হোসেন আশরাফীসহ অন্য নেতারা।

আরো পড়ুন:

রাজশাহীতে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ

হাসপাতালে পবিপ্রবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু, তদন্ত কমিটি গঠন

বক্তারা বলেন, ফিলিস্তিনে শিশু, নারী, সাংবাদিক ও নিরীহ মানুষদের নির্বিচারে হত্যা করে মানবতার বিরুদ্ধে নিকৃষ্টতম অপরাধ করছে ইসরায়েল। এর বিরুদ্ধে বিশ্ব মুসলিম রাষ্ট্রগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে জোরালো প্রতিবাদ ও কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। জাতিসংঘকে  বর্বরতা বন্ধে দ্রুত হস্তক্ষেপ গ্রহণ করার আহ্বান জানানো হয় সমাবেশ থেকে।

তারা আরো বলেন, বিশ্ব মানবতার ফেরিওয়ালারা আজ নীরব দর্শক হয়ে দাঁড়িয়ে আছে, যখন ফিলিস্তিনে প্রতিদিনই রক্ত ঝরছে। এই ন্যায়বিচারহীনতার বিরুদ্ধে সোচ্চার না হলে মানবতা ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাবে। তাই বিশ্ব মুসলিম রাষ্ট্রগুলোকে ঐক্যবদ্ধ থেকে প্রতিবাদ করার আহ্বান জানান তারা।

সমাবেশে অংশগ্রহণকারীরা ফিলিস্তিনে শহীদদের জন্য দোয়া করেন এবং ইসরাইলি সব পণ্য বয়কটের ডাক দেন। 

ঢাকা/আমিরুল/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

জিনদের আহার্য

মহানবী (সা.) একবার তার সাহাবি আবু হুরায়রা (রা.)-কে বললেন কিছু পাথর নিয়ে আসতে। তবে হাড় বা গোবর আনতে নিষেধ করলেন। আবু হুরায়রা (রা.) কাপড়ে করে কিছু পাথর এনে সেগুলো নবীজি (সা.)-এর পাশে রেখে চলে গেলেন। নবীজি (সা.) কাজ সেরে ফিরে আসার পর আবু হুরাইরা জিজ্ঞেস করলেন, আল্লাহর রাসুল, হাড় ও গোবরে সমস্যা কী? তিনি উত্তরে বললেন, সেগুলো জিনদের খাবার। নাসিবিন শহরে (সিরিয়া ও ইরাকের মধ্যে আলজাযিরার একটি নগরী) জিনদের একটি প্রতিনিধি দল এসেছিল। তারা সবাই খুব ভালো জিন। আমার কাছে খাবার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছিল। আমি আল্লাহর কাছে তাদের জন্য দোয়া করি। তাই তারা যে হাড় বা গোবরের পাশ দিয়ে যাবে, তাতেই নিজেদের জন্য খাবার খুঁজে পাবে। (বুখারি, হাদিস: ৩,৫৭৮)

আরও পড়ুনইবলিস কি জিন নাকি ফেরেশতা১৬ মার্চ ২০২৫

তাই কেউ যদি বিসমিল্লাহ বলে খাবার খায় এবং হাড় থেকে মাংস খাওয়ার পর নাপাক স্থানে না ফেলে, মুমিন জিনেরা সেই হাড় হাতে নিলে তাতে গোশত ফিরে আসবে। (তিরমিজি, হাদিস: ৩,২৫৮)

আর দুষ্ট জিন ও শয়তানরা খায় এমন খাবার, যাতে আল্লাহর নাম উচ্চারণ করা হয় না। যেসব খাবারের শুরুতে বিসমিল্লাহ বলা হয়, সেগুলো তারা ছুঁয়েও দেখে না।

গোবরে জিনদের পশুদের জন্য খাবার জমা হয়। তার মানে জিনদের পোষা প্রাণী আছে এবং তারা তাতে আরোহণ করে। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘গোবর বা হাড় নাপাকি পরিষ্কারের কাজে ব্যবহার করো না। কারণ এগুলো তোমাদের ভাই জিনদের খাবার।’ (তিরমিজি, হাদিস: ১৮)

আরও পড়ুনকোরআন শুনে একদল জিন ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন০৬ আগস্ট ২০২৩

সম্পর্কিত নিবন্ধ