Prothomalo:
2025-04-18@23:22:10 GMT

হাঙর কতটা ভয়ানক

Published: 16th, April 2025 GMT

স্টিভেন স্পিলবার্গের বিখ্যাত ‘জস’–এর মতো সিনেমায় হাঙরকে রক্তপিপাসু দানব হিসেবে দেখেছেন অনেকেই। নিজের চোখে না দেখলেও বিভিন্ন সিনেমা ও কল্পকাহিনির কারণে যুগ যুগ ধরে হাঙর সম্পর্কে মানুষের মনে ভীতি জন্মেছে। তবে আসলেই কি হাঙর ভয়ানক?

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ওশেন সার্ভিসের বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, বাস্তবে হাঙর সিনেমার মতো অতটা ভয়ানক নয়। হাঙর অন্যান্য শিকারি মাছের মতোই নিজের খাদ্যের চাহিদা মেটায়। আকারে বড়, শক্তিশালী চোয়ালের কারণে হাঙর বেশ ভয়ংকর প্রাণী। পৃথিবীতে প্রায় ৪০০টিরও বেশি প্রজাতির হাঙর রয়েছে। যদিও এদের মধ্যে মাত্র কয়েক প্রজাতির মানুষকে আক্রমণের নজির রয়েছে। গ্রেট হোয়াইট, বুল শার্ক ও টাইগার শার্ক মানুষকে আক্রমণ করার জন্য বেশি পরিচিত। সাধারণ পরিসংখ্যান বলছে, হাঙরের আক্রমণের কারণে মানুষের মৃত্যুর ঘটনা অন্য অনেক প্রাণীর তুলনায় বেশ কম।

আরও পড়ুনহাঙরসহ সামুদ্রিক প্রাণীর সংখ্যা দ্রুত কমছে, কারণ কী২১ ডিসেম্বর ২০২৪

হাঙরের হিংস্রতা মূলত তাদের শিকারের আচরণের ওপর নির্ভরশীল। হাঙর দক্ষ শিকারি ও শিকার ধরার কৌশল প্রজাতিভেদে ভিন্ন হয়। কিছু হাঙর দ্রুতগতিতে আক্রমণ করে। আবার কোনো কোনো প্রজাতি ওত পেতে থাকে। হাঙরের ঘ্রাণশক্তি অত্যন্ত প্রখর। এরা দূর থেকে অন্য প্রাণীর উপস্থিতি বা রক্তের গন্ধ বুঝতে পারে। যদিও এর মানে এই নয় যে হাঙর রক্ত দেখলেই উন্মত্তের মতো ঝাঁপিয়ে পড়ে। হাঙরের শিকারের তালিকায় মানুষ নেই। সাধারণভাবে মানুষকে স্বাভাবিক শিকার হিসেবে দেখে না হাঙর। হাঙর অনেক সময় ভুল করে মানুষকে আক্রমণ করে। অনেক সময় হাঙর সার্ফার বা সাঁতার কাটা মানুষকে সিল বা কচ্ছপের মতো শিকার ভেবে ভুল করে আক্রমণ করে। কোনো কারণে হাঙর কোণঠাসা বা ভয় অনুভব করলে আত্মরক্ষার জন্য আক্রমণ করে।

হাঙরের খাদ্যাভ্যাস প্রজাতিভেদে ভিন্ন হয়ে থাকে। ছোট হাঙর সাধারণত ছোট মাছ, কাঁকড়া ও বিভিন্ন সামুদ্রিক অমেরুদণ্ডী প্রাণী খায়। বড় হাঙর সিল, ডলফিন, বড় মাছ এমনকি মৃত তিমিও আহার করে। হ্যামারহেড হাঙর সামুদ্রিক ঘাস খায়।

সূত্র: বিবিসি ও ন্যাশনাল ওশেন সার্ভিসেস

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

জিনদের আহার্য

মহানবী (সা.) একবার তার সাহাবি আবু হুরায়রা (রা.)-কে বললেন কিছু পাথর নিয়ে আসতে। তবে হাড় বা গোবর আনতে নিষেধ করলেন। আবু হুরায়রা (রা.) কাপড়ে করে কিছু পাথর এনে সেগুলো নবীজি (সা.)-এর পাশে রেখে চলে গেলেন। নবীজি (সা.) কাজ সেরে ফিরে আসার পর আবু হুরাইরা জিজ্ঞেস করলেন, আল্লাহর রাসুল, হাড় ও গোবরে সমস্যা কী? তিনি উত্তরে বললেন, সেগুলো জিনদের খাবার। নাসিবিন শহরে (সিরিয়া ও ইরাকের মধ্যে আলজাযিরার একটি নগরী) জিনদের একটি প্রতিনিধি দল এসেছিল। তারা সবাই খুব ভালো জিন। আমার কাছে খাবার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছিল। আমি আল্লাহর কাছে তাদের জন্য দোয়া করি। তাই তারা যে হাড় বা গোবরের পাশ দিয়ে যাবে, তাতেই নিজেদের জন্য খাবার খুঁজে পাবে। (বুখারি, হাদিস: ৩,৫৭৮)

আরও পড়ুনইবলিস কি জিন নাকি ফেরেশতা১৬ মার্চ ২০২৫

তাই কেউ যদি বিসমিল্লাহ বলে খাবার খায় এবং হাড় থেকে মাংস খাওয়ার পর নাপাক স্থানে না ফেলে, মুমিন জিনেরা সেই হাড় হাতে নিলে তাতে গোশত ফিরে আসবে। (তিরমিজি, হাদিস: ৩,২৫৮)

আর দুষ্ট জিন ও শয়তানরা খায় এমন খাবার, যাতে আল্লাহর নাম উচ্চারণ করা হয় না। যেসব খাবারের শুরুতে বিসমিল্লাহ বলা হয়, সেগুলো তারা ছুঁয়েও দেখে না।

গোবরে জিনদের পশুদের জন্য খাবার জমা হয়। তার মানে জিনদের পোষা প্রাণী আছে এবং তারা তাতে আরোহণ করে। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘গোবর বা হাড় নাপাকি পরিষ্কারের কাজে ব্যবহার করো না। কারণ এগুলো তোমাদের ভাই জিনদের খাবার।’ (তিরমিজি, হাদিস: ১৮)

আরও পড়ুনকোরআন শুনে একদল জিন ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন০৬ আগস্ট ২০২৩

সম্পর্কিত নিবন্ধ