প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে ডিসেম্বরের মধ্যে বিএনপি নির্বাচন চেয়েছে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। আজ বুধবার দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার সামনে বিফ্রিংয়ে তিনি এ কথা জানান। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপির প্রতিনিধি দলের বৈঠক শেষে এ বিফ্রিং হয়।

নির্বাচনসহ নানা ইস্যুতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড.

মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করতে আজ বুধবার দুপুর ১২টার দিকে যমুনায় যায় বিএনপির প্রতিনিধি দলটি। বৈঠক শেষে দুপুর ২টার দিকে প্রতিনিধি দল যমুনা থেকে বের হয়ে আসে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে ছিলেন- দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ, জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, নজরুল ইসলাম খান ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

ব্রিফিংয়ে আসিফ নজরুল বলেন, বিএনপি ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হলে ভালো হয় বলে জানিয়েছে। তারা বলেছেন, আমাদের উপদেষ্টাদের অস্পষ্ট কথা থাকে, আমাদের সরকারের কোনো কোনো উপদেষ্টা অন্যরকম কথা বলেন। যে যেটা বলুক না কেন, আমাদের প্রধান উপদেষ্টা জাতির উদ্দেশে বারবার যে কথা বলেছেন, সেটাই আমাদের অবস্থান। অন্য কেউ যদি বেফাঁস কথা বলেন তারা যেন বিভ্রান্ত না হন।

আজকের আলোচনায় কয়েকটি বিষয় স্পষ্ট করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ডিসেম্বর থেকে জুন মাস, মানে আমরা ইচ্ছা করেই দেরি করে মে মাসে নির্বাচন করব, এমনটা নয়। ডিসেম্বর থেকে জুন মানে হচ্ছে ডিসেম্বরের পর থেকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচন করা। আমরা অকারণে এক মাস, দুই মাস বেশি থাকলাম, মোটেও এমনটা নয়। ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচন হবে।

আইন উপদেষ্টা বলেন, আমাদের ঐকমত্য কমিশনের যে প্রস্তাব সেটার ক্ষেত্রে বিএনপি অত্যন্ত পজিটিভ। তারা ২-৩ দিনের মধ্যে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বসবে। জুলাই ঘোষণাপত্র খুব দ্রুত সময় হয়ে যাবে, তারা আমাদেরকে আশ্বাস দিয়েছে। আমাদের কাছে মনে হয়েছে বিএনপি সংস্কারের ব্যাপারে অত্যন্ত আন্তরিক।

আসিফ নজরুল বলেন, আলোচনা অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে হয়েছে। বিএনপি মন খুলে কথা বলেছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কিছু কিছু সিদ্ধান্ত তাদের প্রতিকূলে গেছে বলে তারা বলেছেন। আমরা তাদেরকে উদাহরণ দিয়েছি, অনেকগুলো সিদ্ধান্ত তাদের অনুকূলে গেছে। রাজনৈতিক ও হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারে বিলম্ব হচ্ছে। গত তিন মাসে ৭ হাজারের অধিক মামলা প্রত্যাহার হয়েছে। বিএনপি আরেকটা ট্রাইব্যুনাল গঠনের কথা বলেছে। আমরা বলেছি যে, আমরা এই লক্ষ্যে কাজ করছি।

তিনি বলেন, উনারা (বিএনপি নেতারা) বলেছেন যে, গত ১৫ বছর যাবত বিএনপি নির্যাতিত হয়েছে। আমরা শ্রদ্ধাবোধ দেখিয়েছি। তারা বলেছে বিএনপি সংস্কারপন্থি দল, আমরা এটা অ্যাগ্রি (রাজি) করেছি।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ড ইউন স ব এনপ ম র জ ফখর ল ইসল ম আলমগ র আইন উপদ ষ ট ড স ম বর র বল ছ ন আম দ র ব এনপ সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

বিএনপি ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চেয়েছে: আইন উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চেয়েছে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার সামনে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপির প্রতিনিধিদলের বৈঠক শেষে এ ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়।

নির্বাচনসহ নানা ইস্যুতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করতে বুধবার দুপুর ১২টার দিকে যমুনায় প্রবেশ করে বিএনপির প্রতিনিধিদল। মিটিং শেষে দুপুর ২টার দিকে যমুনা থেকে বের হন তারা। 

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলে ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ, জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, নজরুল ইসলাম খান ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন হবে। যে যাই বলুক, জুনের পরে নির্বাচন যাবে না।

তিনি বলেন, সংস্কারের ব্যাপারে বিএনপি অত্যন্ত আন্তরিক। বিএনপি নেতাদের সঙ্গে খোলামেলা পরিবেশে কথা হয়েছে।

আসিফ নজরুল বলেন, বিএনপি ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হলে ভালো হয় বলে জানিয়েছে। তারা বলেছেন, আমাদের উপদেষ্টাদের অস্পষ্ট কথা থাকে। আমাদের সরকারের কোনো কোনো উপদেষ্টা অন্যরকম কথা বলেন। যে যেটাই বলুক না কেন, আমাদের প্রধান উপদেষ্টা জাতির উদ্দেশে বারবার যে কথা বলেছেন, সেটাই আমাদের অবস্থান। অন্য কেউ যদি বেফাঁস কথা বলেন, তারা যেন বিভ্রান্ত না হন।

আজকের আলোচনায় কয়েকটি বিষয় স্পষ্ট করা হয়েছে, জানিয়ে তিনি বলেন, ডিসেম্বর থেকে জুন মাস, মানে আমরা ইচ্ছা করেই দেরি করে মে মাসে নির্বাচন করব, এমনটা নয়। ডিসেম্বর থেকে জুন মানে হচ্ছে— ডিসেম্বরের পর থেকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচন করা। আমরা অকারণে এক মাস, দুই মাস বেশি থাকলাম, মোটেও এমনটা নয়। ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচন হবে।

আইন উপদেষ্টা বলেন, আমাদের ঐকমত্য কমিশনের যে প্রস্তাব, সেটার ক্ষেত্রে বিএনপি অত্যন্ত পজিটিভ। তারা দুই-তিন দিনের মধ্যে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বসবে। জুলাই ঘোষণাপত্র খুব দ্রুত সময় হয়ে যাবে, তারা আমাদেরকে আশ্বাস দিয়েছেন। আমাদের কাছে মনে হয়েছে, বিএনপি সংস্কারের ব্যাপারে অত্যন্ত আন্তরিক।

অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে আলোচনা হয়েছে, জানিয়ে আসিফ নজরুল বলেন, বিএনপি মন খুলে কথা বলেছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কিছু কিছু সিদ্ধান্ত তাদের প্রতিকূলে গেছে বলে তারা বলেছেন। আমরা তাদেরকে উদাহরণ দিয়েছি, অনেকগুলো সিদ্ধান্ত তাদের অনুকূলে গেছে। রাজনৈতিক ও হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারে বিলম্ব হচ্ছে। গত তিন মাসে ৭ হাজারের অধিক মামলা প্রত্যাহার হয়েছে। বিএনপি আরেকটা ট্রাইব্যুনাল গঠনের কথা বলেছে। আমরা বলেছি যে, আমরা এ লক্ষ্যে কাজ করছি।

তিনি বলেন, উনারা (বিএনপি নেতারা) বলেছেন যে, গত ১৫ বছর যাবত বিএনপি নির্যাতিত হয়েছে। আমরা শ্রদ্ধা দেখিয়েছি। তারা বলেছে, বিএনপি সংস্কারপন্থি দল, আমরা এটাতে অ্যাগ্রি করেছি।

ঢাকা/হাসান/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শ্রমিক সংকটে বিপদে কৃষক বন্যার শঙ্কা বাড়াচ্ছে উদ্বেগ
  • ১৫ বছর পর আজ বাংলাদেশ–পাকিস্তান পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ে বৈঠক
  • বিএনপি ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চেয়েছে: আইন উপদেষ্টা