সিএপিএম আইবিবিএল ফান্ডের আর্থিক হিসাবে নিরীক্ষকের আপত্তি
Published: 16th, April 2025 GMT
বিনিয়োগের ক্ষেত্রে মিউচুয়াল ফান্ড বিধান লঙ্ঘন করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সিএপিএম আইবিবিএল ইসলামিক মিউচুয়াল ফান্ড। এছাড়া, বোনাস শেয়ার বিক্রি থেকে অর্জিত মুনাফাকে সঠিকভাবে আর্থিক হিসাবে দেখায়নি ফান্ডটির অ্যাসেট ম্যানেজার। এ ফান্ডের সর্বশেষ প্রকাশিত আর্থিক হিসাবে এমন অডিট আপত্তি জানিয়েছে নিরীক্ষক।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
মিউচুয়াল ফান্ড রুলস-২০০১ এর ৫৬ ধারা অনুযায়ী, যে কোনো ফান্ড থেকে মোট সম্পদের সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ কোনো একটি খাতে বিনিয়োগ করা যাবে বলে জানিয়েছে নিরীক্ষক। কিন্তু, সিএপিএম আইবিবিএল ইসলামিক মিউচুয়াল ফান্ড থেকে ওষুধ ও রসায়ন খাতে ৩০.
নিরীক্ষক জানিয়েছে, এ ফান্ড ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ইউনিলিভার কনজুমারের ৬ হাজার বোনাস শেয়ার পেয়েছে, যা ফান্ডের নীতিমালা (পলিসি) অনুযায়ী আগে থেকেই পোর্টফোলিওতে থাকা ইউনিলিভারের শেয়ারের দরের সঙ্গে সমন্বয় করে গড় ক্রয় মূল্য কমিয়ে আনা হয়। তারা একই বছরে ৮ হাজার ৫০০টি ইউনিলিভারের শেয়ার বিক্রি করে। তবে, এক্ষেত্রে তারা ওই পলিসি অনুসরণ করেনি। যদি ফান্ডটির নীতিমালা অনুযায়ী বোনাস শেয়ার বিবেচনা করা হতো, তাহলে সিকিউরিটিজ বিক্রি থেকে নিট লাভ এবং প্রভিশনের আগে নিট মুনাফা ৯৪ লাখ টাকা বৃদ্ধি পেত।
২০১৮ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া সিএপিএম আইবিবিএল ফান্ডের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ৬৬.৮৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে শেয়ারবাজারের বিভিন্ন শ্রেণির (উদ্যোক্তা বা পরিচালক ব্যতিত) বিনিয়োগকারীদের মালিকানা ৩৩.৪৪ শতাংশ। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) কোম্পানির ইউনিট দর দাঁড়িয়েছে ৮.১০ টাকায়।
ঢাকা/এনটি/রফিক
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
খাগড়াছড়িতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ শিক্ষার্থীসহ ৬ জনকে অপহরণের অভিযোগ
খাগড়াছড়িতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) পাঁচ শিক্ষার্থীসহ ছয়জনকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। আজ বুধবার সকাল সাতটার দিকে পানছড়ি-খাগড়াছড়ি সড়কের গিরিফুল এলাকা থেকে তাঁদের অপহরণ করা হয়। এই অপহরণের ঘটনায় প্রসীত খিসা সমর্থিত ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টকে (ইউপিডিএফ) দায়ী করেছে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি)।
জেএসএস-সন্তু লারমা-সমর্থিত পিসিপির কেন্দ্রীয় সভাপতি নিপুণ ত্রিপুরা প্রথম আলোকে বলেন, বিজু উদ্যাপন শেষে ক্যাম্পাসে ফেরার সময় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ পাহাড়ি শিক্ষার্থীকে অপহরণ করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে পিসিপির চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সদস্য ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী রিশান চাকমা রয়েছেন। অন্য শিক্ষার্থীরা হলেন চারুকলা ইনস্টিটিউটের মৈত্রীময় চাকমা ও অলড্রিন ত্রিপুরা, নাট্যকলা বিভাগের দিব্যি চাকমা এবং প্রাণিবিদ্যা বিভাগের লংঙি ম্রো। তাঁরা সবাই ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অপহরণকারীরা তাঁদের বহনকারী টমটম (অটোরিকশা) চাককেও অপহরণ করেছে। তবে তাঁর নাম জানা যায়নি। এ ঘটনার জন্য নিপুণ ত্রিপুরা ইউপিডিএফ-প্রসীত পক্ষকে দায়ী করেছেন।
পিসিপির কেন্দ্রীয় সভাপতি নিপুণ ত্রিপুরা আরও বলেন, ‘গতকাল বাঘাইছড়িতে বিজু উৎসব শেষ করে খাগড়াছড়ি হয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ফেরার কথা ছিল রিশান চাকমাসহ পাঁচ শিক্ষার্থীর। কিন্তু বাসে টিকিট না পাওয়ায় গতকাল মঙ্গলবার রাতে সদর উপজেলার কুকিছড়া এলাকায় মৈত্রীময় চাকমার এক আত্মীয়ের বাড়িতে রাত যাপন করেন তাঁরা। সকাল সাতটার গাড়িতে তাঁদের চট্টগ্রামে ফেরার কথা। কিন্তু গিরিফুল এলাকা থেকে তাঁদের তুলে নেওয়া হয়। এ সময় শিক্ষার্থীদের বহনকারী টমটমচালককেও অপহরণ করা হয়। এ ঘটনার জন্য আমরা ইউপিডিএফ-প্রসীত পক্ষকে দায়ী করছি। তারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে।’
তবে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইউপিডিএফের খাগড়াছড়ি জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা। তিনি বলেন, ‘অপহরণের সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এ ধরনের প্রতিহিংসাপরায়ণ রাজনীতি আমরা করি না। আমরা সব সময় ভ্রাতৃঘাতী সংঘাত বন্ধের পক্ষে। কোনো মহল ষড়যন্ত্রমূলকভাবে অপহরণের ঘটনা ঘটিয়ে আমাদের ওপর দায় চাপাচ্ছে।’
অপহরণের বিষয়টি পুলিশও স্বীকার করেছে। অপহৃত শিক্ষার্থীদের উদ্ধারেরও চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘চবির পাঁচ শিক্ষার্থীসহ ছয়জনকে অপহরণের বিষয়টি কিছুক্ষণ আগে শুনেছি। এ ঘটনায় পাহাড়ের আঞ্চলিক একটি সংগঠন জড়িত থাকতে পারে। আমরা প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাদের অবস্থান শনাক্ত করে উদ্ধারের চেষ্টা করছি।’