শিল্পী মানবেন্দ্র ঘোষের বাড়িতে যারা হামলা করেছে তাদের প্রত্যেককে ধরার জন্য পুলিশ কাজ শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।

বুধবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে দেওয়া এক পোস্টে এ কথা জানান তিনি।

স্ট্যাটাসে সংস্কৃতি উপদেষ্টা লিখেছেন, শিল্পী মানবেন্দ্র ঘোষের বাড়িতে যারা হামলা করেছে তাদের প্রত্যেককে ধরার জন্য পুলিশ কাজ শুরু করেছে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি পুলিশের আইজিকে পরিষ্কার নির্দেশনা দিয়েছেন।

তিনি আরও লিখেন, গত কয়েকদিন জুলাইয়ে বিতাড়িত আওয়ামী লীগ অনলাইনে শিল্পী মানবেন্দ্র ঘোষকে আক্রমণের উসকানি দিচ্ছিলো তাদের ভাষ্যে ‘হাসিনার এফিজি বানানোর অপরাধে’! এদের প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা হবে।

মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, পাহাড় থেকে সমতলজুড়ে বাংলাদেশ মাত্রই এক অভূতপূর্ব মৈত্রীর উৎসব শেষ করলো। এক অন্যরকম আবেশ সবার মনে। আর এই সময়ই ওরা আক্রমণ করে এটা মনে করিয়ে দিলো জুলাই চলমান। কিন্তু ওরা জানে না বাংলাদেশের মানুষ জুলাই বুকে নিয়েই সামনে আগাচ্ছে, বাংলাদেশের বাংলাদেশের জনগণের ঐক্যের সামনে এরা তুচ্ছ।

প্রসঙ্গত, পহেলা বৈশাখে ফ্যাসিস্টের মুখাকৃতি বানানোর সন্দেহের জেরে মানিকগঞ্জের চিত্রশিল্পী মানবেন্দ্র ঘোষের বাড়ি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার রাতে উপজেলার গড়পাড়া বাজার এলাকায় চিত্রশিল্পী মানবেন্দ্র ঘোষের বাড়িতে আগুন দেওয়া হয় বলে দাবি করেছেন শিল্পী মানবেন্দ্রের পরিবার।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স স ক ত ব ষয়ক উপদ ষ ট উপদ ষ ট

এছাড়াও পড়ুন:

চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ১০০ কোটি টাকা পৌরকর আদায়

প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (চবক) কাছ থেকে ১০০ কোটি টাকা পৌরকর আদায় করেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) বিকেলে চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এসএম মুনিরুজ্জামান চসিক মেয়রের কাছে ১০০ কোটি টাকার চেক হস্তান্তর করেন।

চসিক সূত্রে জানা যায়, ডা. শাহাদাত হোসেন মেয়রের দায়িত্ব নেওয়ার পর বকেয়া পৌর কর পরিশোধের জন্য চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেন। বন্দর কর্তৃপক্ষের সাড়া না পেয়ে মন্ত্রণালয়ের দ্বারস্থ হন মেয়র। এর প্রেক্ষিতে সম্প্রতি চসিককে আপাতত ১০০ কোটি টাকা পরিশোধ করার নির্দেশনা দিয়ে বন্দরের চেয়ারম্যানকে দাপ্তরিক পত্র দেয় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়।

আরো পড়ুন:

পরিবেশ উপদেষ্টা
সেন্টমার্টিনে পর্যটননির্ভর বিকল্প কর্মসংস্থানের উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার

হিলি চেকপোস্ট পরিদর্শন করলেন ভারতের সহকারী হাই কমিশনার

চসিকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানান, ১৯৯৪-৯৫ অর্থবছর থেকে বন্দর কর্তৃপক্ষ কখনোই পঞ্চবার্ষিকী কর পুনর্মূল্যায়নের আলোকে চসিকের প্রস্তাবিত পৌরকরের পুরোটা পরিশোধ করেনি। সাবেক মেয়রদের অনেকে এ বিষয়ে উদ্যোগ নিয়েও ব্যর্থ হন। কেউ অজ্ঞাত কারণে বন্দর কর্তৃপক্ষকে ছাড়ও দেন। অবশেষে ৩০ বছর পর বর্তমান মেয়রের উদ্যোগে চসিকের প্রস্তাবিত পৌরকরের প্রায় পুরোটাই পরিশোধ করল বন্দর কর্তৃপক্ষ। পৌরকর পাওয়ায় একদিকে চসিকের যেমন রাজস্ব বাড়ল, অন্যদিকে নিজস্ব ফান্ডের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে গতি বাড়বে।

চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, “স্বাধীনতার পর এই প্রথম চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনকে বন্দর পুরো পৌরকর পরিশোধ করল। বন্দর থেকে বড় অঙ্কের পৌরকর আদায় হওয়ায় চসিকের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে গতি বাড়বে। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে আমরা যে বিপুল অঙ্কের ভর্তুকি দেই, সেটা আরো বাড়ানো যাবে।” 

ঢাকা/নূরুজ্জামান/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ