রাজধানীর পল্লবী থানাধীন মিরপুর-১১ নম্বর থেকে কোটি টাকার ইয়াবাসহ সাথী আক্তার রিক্তা (২৮) নামের এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)। 

বুধবার (১৬ এপ্রিল) সকালে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর থেকে গণমাধ্যমকে জানানো হয়েছে, সাথী আক্তার রিক্তা ও তার স্বামী সানজিদ হোসেন ভাড়া বাসায় মাদকের কারবার করে আসছিলেন। তারা দুজন প্রায়ই কক্সবাজারের টেকনাফে গিয়ে ইয়াবার বড় চালান সংগ্রহ করে এনে ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় পাইকারি দরে সরবরাহ করেন।

ডিএনসির ঢাকা দক্ষিণ কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মানজুরুল ইসলাম জানিয়েছেন, মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) বিকেল ৫টার দিকে ১ কোটি ২ লাখ টাকা দামের ৩৪ হাজার ২০০ পিস ইয়াবাসহ সাথী আক্তার রিক্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে, তার স্বামী সানজিদ হোসেন পালিয়ে গেছেন। তাকে ধরতে অভিযান চালানো হচ্ছে।

তিনি আরো জানান, ইয়াবার একটি বড় চালান টেকনাফ থেকে ঢাকায় এসেছে, এমন তথ্যের ভিত্তিতে মিরপুর-১১ নম্বরের একটি বাসায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় ৩৪ হাজার ২০০ পিস ইয়াবাসহ সাথী আক্তার রিক্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সাথী আক্তার রিক্তা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মাদক কারবারের তথ্য স্বীকার করেছেন। 

সাথী আক্তার রিক্তা ও সানজিদ হোসেনের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হবে বলে জানিয়েছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।

ঢাকা/এমআর/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

মেয়েকে ধর্ষণে বাবার ফাঁসি

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে বাবা আলতাপ হোসেনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ হাবিবুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডিত আলতাপ হোসেন (৪৬) সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ গ্রামের মৃত সাদেক আলী মৃধার ছেলে। তিনি চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার চিৎলা হুদাপাড়া গ্রামে শ্বশুর বাড়িতে বসবাস করতেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি পার্শ্ববর্তী গাংনী ইউনিয়নে ভুক্তভোগী কিশোরীর বিয়ে হয়। বিয়ের কয়েকদিন পর পেটে ব্যথা ও বমি বমি ভাব হলে পরীক্ষা করা হয়। এতে ২-৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি ধরা পড়ে। 

ভুক্তভোগী জানায়, ২০২৩ সালের ৫ ডিসেম্বর তার মা বোনের বাড়িতে গেলে ওইদিন রাতে বাবা ঘরে একা পেয়ে তাকে ধর্ষণ করে। হত্যার ভয় দেখিয়ে পরবর্তী ২-৩ মাসে আরও ৭-৮ বার ধর্ষণ করে তার বাবা। ২০২৪ সালের ৭ মার্চ ভুক্তভোগী কিশোরীর মা বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০(সংশোধিত ২০২০)-এর ৯(১) ধারায় মামলা করেন।

তদন্ত শেষে আলমডাঙ্গা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বাবর আলী গত ২০২৪ সালের ১১ ডিসেম্বর অভিযুক্ত আলতাপের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর ৮ স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে মামলায় রায় ঘোষণা করেন আদালত।

চুয়াডাঙ্গা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (স্পেশাল পিপি)  এম এম শাহজাহান মুকুল বলেন, কিশোরী ধর্ষণ মামলায় বাবা আলতাপ হোসেনকে মৃত্যুদণ্ড ও ২ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত। জরিমানার আদেশ তার (দণ্ডিত ব্যক্তির) জীবদ্দশায় অথবা মৃত্যুর পরবর্তী পর্যায়ে প্রথম দায়-দেনা হিসেবে বিবেচিত হয়েছে, আদালত এটা রায়ে উল্লেখ করেছেন।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ