বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রায় মোটিফ বানানো চিত্রশিল্পী মানবেন্দ্র ঘোষের বাড়িতে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। হামলার ঘটনায় আওয়ামী লীগ উস্কানি দিয়েছে বলে দাবি করেছেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এ দাবি করেন। 

মানবেন্দ্র ঘোষের বাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, “শিল্পী মানবেন্দ্র ঘোষের বাড়িতে যারা হামলা করেছে তাদের প্রত্যেককে ধরার জন্য পুলিশ কাজ শুরু করেছে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি পুলিশের আইজিকে পরিষ্কার নির্দেশনা দিয়েছেন।” 

অনলাইনে শিল্পীকে আক্রমণের উস্কানি দেওয়া হয় জানিয়ে তিনি লেখেন, “গত কয়েকদিন জুলাইয়ে বিতাড়িত আওয়ামী লীগ অনলাইনে শিল্পী মানবেন্দ্র ঘোষকে আক্রমণের উস্কানি দিচ্ছিলো তাদের ভাষ্যে ‘হাসিনার এফিজি বানানোর অপরাধে’! ”

জড়িতদের প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা হবে বলেও তিনি জানান।  

সংস্কৃতি উপদেষ্টা বলেন, “পাহাড় থেকে সমতল জুড়ে বাংলাদেশ মাত্রই এক অভুতপূর্ব মৈত্রীর উৎসব শেষ করলো। এক অন্যরকম আবেশ সবার মনে। আর এই সময়ই ওরা আক্রমণ করে  এটা মনে করিয়ে দিলো জুলাই চলমান। কিন্তু ওরা জানেনা বাংলাদেশের মানুষ জুলাই বুকে নিয়েই সামনে আগাচ্ছে, বাংলাদেশের জনগণের ঐক্যের সামনে এরা তুচ্ছ।”

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) রাতে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার গড়পাড়া বাজার এলাকায় চিত্রশিল্পী মানবেন্দ্র ঘোষের বাড়িতে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। 

মানবেন্দ্র ঘোষ বলেন, “এ ঘটনার পর আমিসহ পুরো পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।”
এবার ঢাকায় বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুখের আদলে ‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার মোটিফ’ বানানো হয়। ধারণা করা হচ্ছে, মোটিফ তৈরির কাজে যুক্ত থাকার কারণে তার বাড়িতে আগুন দেওয়া হতে পারে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মানবেন্দ্র ঘোষ জানান, তিনি শুধু বাঘের মোটিফ তৈরি করেছেন, শেখ হাসিনার মুখাকৃতি নয়।

ঢাকা/ইভা 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

রমনা বটমূলে গান–কবিতা–উচ্ছ্বাসে ছায়ানটের বর্ষবরণ, বিভাজন ভাঙার প্রত্যয়

পুব আকাশে সবে লাল সূর্য উঠতে শুরু করেছে। মঞ্চে প্রস্তুত শিল্পীরা। সামনে দর্শকসারিতে ভিড় জমে গেছে। শিল্পী সুপ্রিয়া দাশ গেয়ে উঠলেন ‘ভৈরবী’ রাগালাপ। এর মধ্য দিয়ে শুরু হলো বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ বরণের পালা। আজ সোমবার ভোরে রাজধানীর রমনা বটমূলে এর আয়োজন করে ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানট।

রাগালাপের পর ‘নূতন প্রাণ দাও, প্রাণসখা’ সম্মেলক গান শোনান ছায়ানটের শিল্পীরা। ‘তিমির দুয়ার খোলো’ একক গান পরিবেশন করেন শিল্পী দীপ্র নিশান্ত। পাখিডাকা ভোরে, সবুজের আচ্ছাদনে দর্শনার্থীরা যেন মন্ত্রমুগ্ধের মতো উপভোগ করেন এ আয়োজন।

এরপর একে একে ২৫টি রাগালাপ, গান আর আবৃত্তি পরিবেশন করা হয়। সকাল সাড়ে আটটার দিকে ছায়ানটের শিল্পীদের সমবেত কণ্ঠে পরিবেশিত হয় জাতীয় সংগীত। এ সময় কণ্ঠ মেলান উপস্থিত হাজারো দর্শক। এর মধ্য দিয়ে এবারের আয়োজন শেষ হয়।

তবে অনুষ্ঠান শেষের আগে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হত্যাযজ্ঞে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এ সময় ছায়ানটের নির্বাহী সভাপতি সারওয়ার আলী বলেন, ফিলিস্তিনের গাজায় ভয়াবহ মানবতার বিপর্যয় এবং গণহত্যায়, বিশেষ করে শিশু হত্যার তীব্র নিন্দা জানান তাঁরা। ফিলিস্তিনিরা আপন ভূমি রক্ষায় যে সংগ্রাম করছেন, তার প্রতিও সংহতি জানানো হয়।

এবার বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের মূল বার্তা ‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয়’। রমনার বটমূল, ঢাকা, ১৪ এপ্রিল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নেত্রকোনায় বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে যুবদলের হামলা, মূল অভিযুক্ত বললেন, ‘আমাদের ভুল হয়ে গেছে’
  • বাচসাস’র বর্ষবরণ ও কার্যালয় উদ্বোধন
  • দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনে বর্ষবরণ
  • বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে স্বেচ্ছাসেবক দলের বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারীদের মারধরের অভিযোগ
  • বর্ষবরণ শোভাযাত্রায় ডিসি-এসপির সঙ্গে মামলার আসামি আ.লীগ নেতা
  • বর্ণিল ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’
  • দেশজুড়ে বর্ষবরণের আনন্দ শোভাযাত্রা
  • কুড়িগ্রামে বর্ষবরণে নানা আয়োজন
  • রমনা বটমূলে গান–কবিতা–উচ্ছ্বাসে ছায়ানটের বর্ষবরণ, বিভাজন ভাঙার প্রত্যয়