ময়মনসিংহে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের ২ নম্বর ওয়ার্ড কমিটিতে বিতর্কিতদের পদ দেওয়ার অভিযোগে ৮ সদস্য অনাস্থা প্রস্থাব দিয়েছেন। 

মঙ্গলবার দুপুরে এই অনাস্থা প্রস্তাবের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নবগঠিত কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. হান্নান মিয়া।  

এই অনাস্থা প্রস্তাবে স্বাক্ষর করেছেন নবগঠিত কমিটির ৮ সদস্য। তারা হলেন- যুগ্ম আহবায়ক মো.

খোকন মিয়া, খরিল মিয়া, রাসেল মিয়া, আনোয়ার হোসেন, সদস্য- জুয়েল মিয়া, জিয়াউর রহমান ও মো: লিমন।

অনাস্থা প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়, নবগঠিত কমিটির আহ্বায়ক সনিরুল হাসান খান তোয়া কখনো বিএনপি বা স্বেচ্ছাসেবক দলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিল না। সে বিগত সময়ে অন্যদলের নেতাদের সঙ্গে চলাফেরা করত। আমরা তোয়াকে কখনো দলীয় কর্মকাণ্ডে পাইনি। অথচ তাকে স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক করা হয়েছে। এ কারণে আমরা কমিটির আহ্বায়কের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করছি।    

নবগঠিত কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. হান্নান মিয়া ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দল না করেও পদ পাওয়া যায়, এটা তোয়া প্রমাণ করেছে। অথচ ৫ আগস্টের আগে তাদেরকে কখনো দলে দেখিনি। তোয়া ছাড়াও এই কমিটিতে কৃষকদলের ওয়ার্ডের আহ্বায়ক প্রকৌশলী সবুজকে কোনো যাচাই-বাছাঁই না করেই স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য করা হয়েছে। 

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ময়মনসিংহ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মো. আমিনুল ইসলাম ফয়সাল। 

তিনি বলেন, এই কমিটির বিষয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দও অবগত। যাচাই-বাঁছাই করে নিয়ম মেনে কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির আহ্বায়ক তোয়াকে নিয়ে জাতীয় পার্টির এক নেতার সঙ্গে যে ছবি প্রকাশ হয়েছে সেটা সামাজিক ছবি, দলীয় কর্মকাণ্ডের নয়।

এই বিষয়ে জানতে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও নবগঠিত কমিটির আহ্বায়ক সনিরুল হাসান খান তোয়াকে ফোন করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ময়মনস হ অন স থ সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

১০ অর্থনৈতিক অঞ্চল বাতিল করল সরকার

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বা বিডার গভর্নিং বডি দশটি অর্থনৈতিক অঞ্চল বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন।

ঢাকায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানিয়েছেন। 

শিক মাহমুদ বিন হারুন বলেন, একশটির মধ্য থেকে গভর্নিং বডির সিদ্ধান্তে ১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলকে চূড়ান্তভাবে বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। যেসব অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরির সিদ্ধান্ত বাতিল হয়েছে তার মধ্যে পাঁচটি সরকারি ও পাঁচটি বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চল হওয়ার কথা ছিলো।

বাতিল হওয়া সরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো হলো- সোনাদিয়া ইকো ট্যুরিজম পার্ক (কক্সবাজার), সুন্দরবন ট্যুরিজম পার্ক (বাগেরহাট), গজারিয়া অর্থনৈতিক অঞ্চল (মুন্সিগঞ্জ), শ্রীপুর অর্থনৈতিক অঞ্চল (গাজীপুর) এবং ময়মনসিংহ অর্থনৈতিক অঞ্চল (ময়মনসিংহ)।

আর বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চলের মধ্যে রয়েছে গার্মেন্টস শিল্প পার্ক, বিজিএমইএ (মুন্সিগঞ্জ), ছাতক ইকোনমিক জোন (সুনামগঞ্জ), ফমকম ইকোনমিক জোন (বাগেরহাট), সিটি স্পেশাল ইকোনমিক জোন (ঢাকা) এবং সোনারগাঁও অর্থনৈতিক অঞ্চল (নারায়ণগঞ্জ)।

প্রসঙ্গত, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে মোট একশটি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত হয়েছিলো।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ময়মনসিংহে বাবা-ছেলেকে হত্যার পর মাজার ও বাড়ি ভাঙচুর, নেপথ্যে কী
  • পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন জেলায় সড়ক-মহাসড়ক অবরোধ, যানজটে ভোগান্তি
  • ফুলবাড়িয়ায় বাবা-ছেলেকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তা‌র ৩
  • ময়মনসিংহে সালিসে না যাওয়ায় বাবা-ছেলেকে হত্যার ঘটনায় ৮৭ জনের নামে মামলা
  • সালিশে না আসায় বাবা-ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা
  • সালিসে না আসায় বাবা-ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা
  • কয়েকশত লোক বাড়ি হামলা করে বাবা ও ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা
  • ১০ অর্থনৈতিক অঞ্চল বাতিল করল সরকার
  • দুই হাত কেটে ফেলেও বাঁচানো গেল না সাদাফকে