ঢাকাসহ দেশের ৩৫টি সাবরেজিস্ট্রি অফিসে অভিযান পরিচালনা করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

আজ বুধবার দুপুরে এই অভিযান শুরু হয়। দুদকের উপপরিচালক মো. আকতারুল ইসলাম অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মো. আকতারুল ইসলাম বলেন, অভিযান শেষে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

রাজশাহীতে মেয়েকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদে বাবাকে খুনের ঘটনায় আরও ২ জন গ্রেপ্তার

রাজশাহীতে মেয়েকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় বাবাকে খুনের ঘটনায় করা মামলায় আরও দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলা ও রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার দুজন হলেন রাজশাহী নগরের তালাইমারী শহীদ মিনার এলাকার বিশাল (২৫) ও নাহিদ (২৫)। ওই মামলায় বিশাল ২ ও নাহিদ ৬ নম্বর আসামি। আজ শুক্রবার সকালে র‍্যাব-৫–এর অধিনায়কের কার্যালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুনমেয়েকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদে বাবা খুন: প্রধান আসামি ও এক সহযোগী গ্রেপ্তার১৯ এপ্রিল ২০২৫

এর আগে ১৮ এপ্রিল রাতে নওগাঁ সদর উপজেলা থেকে মামলার প্রধান আসামি নান্টু (২৮) এবং তাঁর সহযোগী ও মামলার ৩ নম্বর আসামি খোকন মিয়াকে (২৮) গ্রেপ্তার করা হয়। একই দিন বিকেলে রুমেল (২৫) নামের আরেক আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ মামলায় আজ সকাল পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হলো।

এর আগে ১৬ এপ্রিল মেয়েকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় বাবা আকরাম আলী (৪৫) ও ভাই ইমাম হাসানকে মারধর করা হয়। আহত অবস্থায় আকরামকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর রাতেই তাঁর মৃত্যু হয়। তিনি রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য ছিলেন। তাঁর মেয়ে রাফিয়া আলফি এবার এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে। বাবার লাশ রেখে পরদিন সকালে সে পরীক্ষায় বসে।

আরও পড়ুনরাজশাহীতে মেয়েকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদে বাবা খুনের মামলায় প্রধান আসামির সহযোগী গ্রেপ্তার১৮ এপ্রিল ২০২৫

এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির ছেলে হাসান ইমাম পরদিন দুপুরে নগরের বোয়ালিয়া মডেল থানায় সাতজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও চার-পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলার আসামিরা হলেন তালাইমারী শহীদ মিনার এলাকার নান্টু (২৮), বিশাল (২৮), খোকন মিয়া (২৮), তাসিন হোসেন (২৫), অমি (২০), নাহিদ (২৫) ও শিশির (২০)।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি আসামি নান্টু তাঁর স্ত্রীকে মারধর করেন। ওই নারী আকরাম আলীর স্ত্রীর আত্মীয়। মারধরের প্রতিবাদ করেছিলেন আকরামের স্ত্রী। এতে ক্ষিপ্ত হন নান্টু। তিনি আকরামের মেয়ে ও ছেলের ক্ষতি করার হুমকি দেন। এর পর থেকে নান্টু বখাটেদের দিয়ে আকরাম আলীর মেয়ে রাকিয়াকে উত্ত্যক্ত করাতেন। একপর্যায়ে নান্টু নিজেই রাফিয়াকে গালিগালাজ করেন। আকরাম এ বিষয়ে নান্টুর মা-বাবার কাছে নালিশ করেন। ১৬ এপ্রিল রাত ১০টার দিকে নান্টু ও তাঁর সহযোগীরা নগরের তালাইমারী শহীদ মিনার এলাকায় আকরাম ও তাঁর ছেলে হাসান ইমামের ওপর হামলা করেন। এ সময় ইটের আঘাতে গুরুতর জখম হন আকরাম। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে রাত ১১টার দিকে তিনি মারা যান।

আরও পড়ুনউত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় বাবা খুন, লাশ রেখে এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্রে মেয়ে১৭ এপ্রিল ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ