গরমে ত্বকের শুষ্ক ভাব এড়াতে কী করবেন
Published: 16th, April 2025 GMT
অনেক সময় ত্বকে ভিটামিন ই- এর অভাব দেখা দিলে ত্বক শুষ্ক, রুক্ষ হয়ে ওঠে। গরমকালেও এ সমস্যা দেখা দিতে পারে। শুরু থেকেই তাই এ সমস্যার যত্ন নেওয়া জরুরি।
এই সময়ে ত্বকের রুক্ষ, শুষ্ক ভাব এড়াতে কী করবেন
ত্বকের রুক্ষ, শুষ্ক ভাব দূর করতে চাইলে প্রতিদিন পরিমিত পরিমাণে পানি খেতে হবে, যাতে শরীরে ডিহাইড্রেশন না হয়। এছাড়াও গরমকালেও যাদের ত্বক খুব রুক্ষ এবং শুষ্ক হয়ে থাকে, তারা কয়েকটি উপকরণ ব্যবহার করলে উপকার পাবেন। যেমন-
অ্যালোভেরা জেল
ত্বকের যত্নে অ্যালোভেরা জেল খুবই উপকারী। সব মৌসুমেই এই উপকরণ ব্যবহার করতে পারেন। অ্যালোভেরা জেলে থাকা অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপকরণ ত্বকে রুক্ষ, শুষ্ক ভাব দূর করে। এর পাশাপাশি,ত্বকের সব ধরনের জ্বালা-যন্ত্রণা, র্যাশও কমাতে সাহায্য করে।
ওটস
গরমের সময় যাদের ত্বক খুব রুক্ষ, শুষ্ক হয়ে যায়, তারা ওটস ব্যবহার করতে পারেন। পানিতে ভিজিয়ে রাখা ওটস ত্বকে ভালো করে ব্যবহার করলে স্ক্রাবিংয়ের কাজও হয়। এর ফলে ত্বক হয় মোলায়েম এবং উজ্জ্বল।
মধু
মধুও ত্বকের জন্য খুব উপকারী। এটি ত্বকের মোলায়েম, আর্দ্র ভাব বজায় রাখতে সাহায্য করে। গরমের দিনে যাদের ত্বক রুক্ষ, শুষ্ক হয়ে যায়, তারা সরাসর মধু ব্যবহার করতে পারেন ত্বকে। এছাড়া ঘরোয়া ফেসপ্যাক, ফেসস্ক্রাব বানালে মধু মিশিয়ে নিতে পারেন।
অ্যাভোকাডো
অ্যাভোকাডো পেস্ট ত্বকে ব্যবহার করলেও মোলায়েম ভাব বজায় থাকবে। গোসলের ১৫-২০ আগে ত্বকে অ্যাভোকাডো পেস্ট লাগিয়ে ত্বক হবে উজ্জ্বল, মসৃণ।
অলিভ অয়েল
ত্বকের রুক্ষতা-শুষ্কভাব দূর করতে গরমকালেও ত্বকে তেল মালিশ করতে পারেন । এক্ষেত্রে অলিভ অয়েল ব্যবহার করা ভালো। তবে ত্বক বেশি সংবেদনশীল হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
নারকেল তেল
ত্বকের রুক্ষ, শুষ্ক ভাব দূর করতে নারকেল তেলের জুড়ি নেই। ত্বকের যেসব অংশ বেশি রুক্ষ, শুষ্ক হয়ে যায়, সেখানে নারকেল তেল ব্যবহার করলে উপকার পাবেন। তবে ত্বক বেশি তৈলাক্ত হলে তেল ব্যবহারের ব্যাপারে সতর্ক থাকুন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব যবহ র করল ত বক র র ক ষ ব যবহ র কর ভ ব দ র কর শ ষ ক হয় উপক র র করত
এছাড়াও পড়ুন:
শিম্পাঞ্জি মানুষের মতো প্রকৌশলবিদ্যার চর্চাও করে
শিম্পাঞ্জি বুদ্ধিমান প্রাণী বলে বেশ আলোচিত। শিম্পাঞ্জি বেঁচে থাকার তাগিদে বিভিন্ন সরঞ্জাম তৈরি করতে পারে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে রীতিমতো মানব প্রকৌশলীর মতো আচরণ করে শিম্পাঞ্জি। নিজেদের কাজের জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে এমন গাছপালা বেছে নেয়, যা নমনীয় উপকরণ সরবরাহ করে। তানজানিয়ার গোম্বে স্ট্রিম ন্যাশনাল পার্কে শিম্পাঞ্জিদের দীর্ঘদিন পর্যবেক্ষণ করে এ তথ্য জানিয়েছেন গবেষকেরা। শিম্পাঞ্জির এই প্রকৌশলচর্চার খবর ‘আইসায়েন্স’ সাময়িকীতে প্রকাশও করেছেন তাঁরা।
‘আইসায়েন্স’ সাময়িকীতে প্রকাশিত গবেষণা ফলাফলে বলা হয়েছে, শিম্পাঞ্জি সরঞ্জাম তৈরিতে বিশেষ ধরনের সহজাত প্রকৌশলক্ষমতা ব্যবহার করে, যা অনেকটা আদি মানুষের সরঞ্জাম বিবর্তনের প্রতিফলনের মতোই। শিম্পাঞ্জি নিজেদের প্রয়োজনে বিভিন্ন ক্ষণস্থায়ী সরঞ্জাম তৈরি করে। এ জন্য প্রয়োজনীয় প্রযুক্তিগত দক্ষতা ও প্রকৌশলগত নির্ভুলতা সম্পর্কে ধারণা রয়েছে শিম্পাঞ্জির। মানবসভ্যতার শুরুতে এমন প্রযুক্তিগত বিবর্তন কেমন ছিল, তা জানতে শিম্পাঞ্জির প্রকৌশলচর্চা নিয়ে কাজ করছেন গবেষকেরা।
আরও পড়ুনশিম্পাঞ্জি কি সত্যিই মানুষের মতো কথা বলতে পারে৩১ জুলাই ২০২৪গবেষণার ফলাফলে দেখা গেছে, শিম্পাঞ্জি যে গাছপালা কখনো ব্যবহার করে না, তা নিয়ে যন্ত্র বানাতে আগ্রহী নয়। নিজেদের পছন্দের উপকরণ দিয়ে প্রকৌশল চর্চা করে তারা। গবেষণায় উইপোকা ধরার সময় শিম্পাঞ্জি কীভাবে কাজ করে, তা নিয়ে বিপুল তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। এ বিষয়ে বিজ্ঞানী আলেজান্দ্রা পাস্কুয়াল-গারিডো বলেন, ‘প্রথমবারের মতো আমরা শিম্পাঞ্জির প্রকৌশলচর্চা নিয়ে বিপুল তথ্য সংগ্রহ করেছি। বন্য শিম্পাঞ্জি উইপোকা ধরার সরঞ্জাম তৈরির জন্য নির্দিষ্ট যান্ত্রিক কৌশল ব্যবহার করে সরঞ্জাম তৈরির উপকরণ নির্বাচন করে।’
গবেষকদের তথ্যমতে, সরঞ্জাম ভাগাভাগির মাধ্যমে অর্জিত শিক্ষাও পরস্পরের সঙ্গে ভাগাভাগি করে শিম্পাঞ্জি। শিম্পাঞ্জি সম্ভবত একধরনের লোক পদার্থবিদ্যা অনুসরণ করে। যার অর্থ শিম্পাঞ্জি বস্তুর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে সহজাত ধারণা ধারণ করে। এ বিষয়ে বিজ্ঞানী পাস্কুয়াল-গারিডো বলেন, ‘বায়োমেকানিকসের সমন্বয়ে গঠিত এ অভিনব পদ্ধতিটি আমাদের শিম্পাঞ্জির সরঞ্জাম নির্মাণের পেছনের জ্ঞানীয় প্রক্রিয়া ও কার্যকর বৈশিষ্ট্য জানতে সহায়তা করছে। শিম্পাঞ্জির ওপর এমন গবেষণার ফলাফল মানুষ অতীতে কীভাবে সরঞ্জাম ব্যবহারের ক্ষমতা অর্জন করেছে, তা জানতে নতুন তথ্য দিতে পারে।’
সূত্র: এনডিটিভি