দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের পেছনে আরেক ট্রাকের ধাক্কা, নিহত ২
Published: 16th, April 2025 GMT
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে বালুভর্তি করা দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের পেছনে বালুভর্তি আরেকটি ট্রাকের ধাক্কায় ২ জন নিহত হয়েছেন। বুধবার ভোরের দিকে উপজেলার নাজিরপুর গ্রামের নোয়াখালী-লক্ষীপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের জালালের গ্যারেজের সামনে এ দুর্ঘটনায় আরও একজন আহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন- উপজেলার জিরতলী ইউনিয়নের ফাজিলপুর গ্রামের জসিম উদ্দিনের ছেলে মো.
চন্দ্রগঞ্জ হাইওয়ে থানার ওসি মো. রুহুল আমিন বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
হাইওয়ে পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, চালক তার বন্ধু ও হেলপারসহ বালুভর্তি একটি ট্রাক লক্ষীপুর থেকে নোয়াখালীর চৌমুহনী পৌরসভা এলাকায় যাচ্ছিল। এসময় দ্রুতগামী ট্রাকটি নোয়াখালী-লক্ষীপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের বেগমগঞ্জ উপজেলার নাজিরপুর গ্রামের জালাল মিয়ার গ্যারেজ এলাকায় সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা আরেকটি বালুভর্তি ডাম্প ট্রাককে পেছন ধাক্কা দেয়। এতে ট্রাকের সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই ট্রাকের হেলপার সজিব ও চালকের বন্ধু সাকিব গুরুতর আহত হয়। পরে ভোর ৫টার দিকে চন্দ্রগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশ ও চৌমুহনী ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় আহতদের ট্রাক কেটে বের করে বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। দুর্ঘটনার পর ট্রাকের চালক আহত অবস্থায় পালিয়ে যায়।
চন্দ্রগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমিন বলেন, পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় আইনগত প্রক্রিয়া চলছে। নিহতদের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব গমগঞ জ দ র ঘটন ব ল ভর ত উপজ ল হ ইওয়
এছাড়াও পড়ুন:
অসময়ে ব্রহ্মপুত্রে ভাঙন, ঝুঁকিতে বসতভিটা
ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বাড়ায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত ১০ দিনে বিলীন হয়েছে সাতটি বসতভিটা, ১১০ বিঘা ফসলি জমিসহ গ্রামীণ সড়ক। এ ছাড়া ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে রসুলপুর মারকাজ জামে মসজিদ, রসুলপুর আলহাজ রোস্তম আলী নূরানি হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও রসুলপুর ঈদগাহ মাঠসহ বসতভিটা। এমন চিত্র কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের রসুলপুর এলাকার।
সরেজমিন দেখা গেছে, বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের রসুলপুর এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বাড়ায় অসময়ে দেখা দিয়েছে ভাঙন। অনেকের বসতভিটা ও ফসলি জমি নদে বিলীন হয়ে গেছে। এবারই প্রথম নয়, কয়েক বছর ধরে বর্ষা মৌসুমে ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনের শিকার হচ্ছেন ওই এলাকার মানুষ। বছরের পর বছর ভাঙনে বসতভিটা ও আবাদি জমি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন অনেকে। এ ছাড়া আগে ভাঙন দেখা দিত বর্ষা মৌসুমে। এখন ভাঙছে শুষ্ক মৌসুমে। পানির স্রোত নেই। অথচ ভাঙছে নদের পার।
ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনের শিকার হয়েছেন বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের রসুলপুর এলাকার নুর আলম, আব্দুল বারেক, রায়হান, আব্দুর রশিদ, হেলাল উদ্দিন, রুহুল আমিন, নায়েব আলী ও সাহেব আলী। তারা অভিযোগ করে বলেন, বিভিন্ন সময় ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলন করা হয়। এ কারণে নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়েছে। অসময়ে দেখা দিয়েছে ভাঙনের তীব্রতা। এতে তাদের ঘরবাড়ি বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙন ঠেকাতে না পারলে মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে বেগমগঞ্জ ইউনিয়ন।
ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম জানান, গত ১০ দিনে ব্রহ্মপুত্রে বিলীন হয়ে গেছে তাঁর বসতবাড়িসহ ৯ জনের সাতটি বসতবাড়ি ও প্রায় ১১০ বিঘা জমি। এখন শুকনো মৌসুম। এই সময়ে ভাঙন রোধে কার্যকরী পদক্ষেপ না নিলে আরও ক্ষতি হবে। তাঁর দাবি, ৩০ হাজার জিওব্যাগ ফেলা হলে ভাঙন রোধ করা সম্ভব হবে। কিন্তু এখানে মাত্র ৫০০ জিওব্যাগ দেওয়া হয়েছে।
কথা হয় কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসানের সঙ্গে। তিনি বলেন, বিষয়টি জেনেছেন তিনি। তাঁর কাছে অনেকে ভাঙন এলাকার ছবিও পাঠিয়েছেন। ভাঙন রোধে ৫০০ জিওব্যাগ ফেলা হয়েছে। পরে আরও ৫০০ জিওব্যাগ বরাদ্দ হয়েছে।