অভ্যুত্থানের সময় সাফারি পার্কে ঘোরাঘুরির ছবি: ব্যাখ্যা দিলেন সাকিব
Published: 16th, April 2025 GMT
গত বছর জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে নীরব ভূমিকার জন্য ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন বাংলাদেশের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। পুরো দেশ যখন আন্দোলনে উত্তাল, তখন সাকিবকে দেখা গিয়েছিল কানাডায় সাফারি পার্কে ঘুরতে। সেই ছবি ফেসবুকে দিয়েছিলেন সাকিবের স্ত্রী শিশির। দেশের পট পরিবর্তনের পর সেই সময়ে সাকিবের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠে। এরপর আসলে আর দেশেই ফিরতে পারেননি বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের এই সংসদ সদস্য।
কেন সেই সময় এমন নীরব ভূমিকা নিয়েছিলেন, সাফারি পার্কে ঘোরাঘুরির ছবিটা দেওয়া কি ভুল ছিল, এ রকম অনেক কিছু নিয়ে সাকিব কথা বলেছেন সম্প্রতি দেশের একটি ইংরেজি দৈনিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে।
আরও পড়ুনরিশাদের পাকিস্তান জয়... ১৬ মিনিট আগে
সাফারি পার্কে ঘোরাঘুরির ছবি নিয়ে তাঁর ব্যাখ্যা, ‘সত্যি বলতে, আমি তখন বেশ কিছুদিন দেশের বাইরে ছিলাম। প্রথমে যুক্তরাষ্ট্রে মেজর লিগ ক্রিকেট (এমএলসি) খেলতে গেলাম, তারপর কানাডায়। ছবিটি কানাডায় তোলা। আমি নিজে এটি পোস্ট করিনি। তবুও, আমি এর দায়ভার নিচ্ছি। এটা একটা পূর্বপরিকল্পিত পারিবারিক ভ্রমণ ছিল। এখন বুঝতে পারছি, হ্যাঁ, একজন পাবলিক ফিগার হিসেবে আমার আরও সচেতন হওয়া উচিত ছিল। আমি এটা স্বীকার করছি। তবে আমার মনোযোগ সব সময় ক্রিকেটের দিকে ছিল—সংসদ সদস্য হওয়ার আগেও এবং পরেও। আমাকে কখনো রাজনীতিতে জড়িত হতে বলা হয়নি। আমাকে সব সময় বলা হয়েছে, "শুধু ক্রিকেট খেলো।" তাই আমি সেদিকেই মনোযোগ দিয়েছি।’
সাকিব আল হাসানউৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
কমলগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডে ছয় দোকান পুড়ে ছাই, ক্ষতি অর্ধকোটি টাকা
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের সরইবাড়ি এলাকার করিমবাজারে মঙ্গলবার রাত ৩টার দিকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ছয়টি দোকান পুড়ে গেছে। তবে আগুন লাগার কারণ এখনো নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গভীর রাতে একটি দোকানে আগুনের সূত্রপাত হয়, যা মুহূর্তেই আশপাশের দোকানগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। আগুনের তীব্রতায় দোকানের ভেতরের মালামাল ও মূল্যবান সামগ্রী কিছুই রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। খবর পেয়ে কমলগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে দেরি হয়ে যায়, ফলে ছয়টি দোকানই সম্পূর্ণ পুড়ে যায়।
ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ইনচার্জ ফয়েজ আহমদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আগুনের সূত্রপাতের কারণ এখনও জানা যায়নি তবে তদন্তাধীন রয়েছে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাখন চন্দ্র সূত্রধর ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্লাবন পাল। ইউএনও জানান, অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের তালিকা তৈরি করে জেলা প্রশাসনের কাছে সহযোগিতার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন থেকেও যথাসম্ভব সহায়তা দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, অগ্নিকাণ্ডে প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে তারা সরকারের সহযোগিতা কামনা করেছেন।