খুলনায় আটক আওয়ামী লীগ নেতাকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ
Published: 16th, April 2025 GMT
খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদক এবং মহানগর হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি বীরেন্দ্রনাথ ঘোষকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার রাত একটার দিকে তাঁকে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়।
এর আগে গতকাল রাত পৌনে ১১টার দিকে নগরের সদর থানার সাহেবের কবরখানা এলাকা থেকে বীরেন্দ্রনাথ ঘোষকে আটক করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৈমুর ইসলাম আজ বুধবার সকালে বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা বীরেন্দ্রনাথ ঘোষের বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ রয়েছে। সেসব অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য জিজ্ঞাসাবাদ করতে তাঁকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছিল। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাঁকে আবার পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনখুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ নেতাকে ‘জিজ্ঞাসাবাদের জন্য’ আটক১০ ঘণ্টা আগেগতকাল আটকের পর তৈমুর ইসলাম বলেছিলেন, বীরেন্দ্রনাথ ঘোষের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ রয়েছে। বর্তমান সরকারের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে তাঁর প্রকৃত অবস্থান জানতেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ জন্য আটক করা হয়েছে। তাঁকে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতা হিসেবে আটক করা হয়নি, তাঁকে আটক করা হয়েছে আওয়ামী লীগ নেতা হিসেবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
কমলগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডে ছয় দোকান পুড়ে ছাই, ক্ষতি অর্ধকোটি টাকা
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের সরইবাড়ি এলাকার করিমবাজারে মঙ্গলবার রাত ৩টার দিকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ছয়টি দোকান পুড়ে গেছে। তবে আগুন লাগার কারণ এখনো নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গভীর রাতে একটি দোকানে আগুনের সূত্রপাত হয়, যা মুহূর্তেই আশপাশের দোকানগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। আগুনের তীব্রতায় দোকানের ভেতরের মালামাল ও মূল্যবান সামগ্রী কিছুই রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। খবর পেয়ে কমলগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে দেরি হয়ে যায়, ফলে ছয়টি দোকানই সম্পূর্ণ পুড়ে যায়।
ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ইনচার্জ ফয়েজ আহমদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আগুনের সূত্রপাতের কারণ এখনও জানা যায়নি তবে তদন্তাধীন রয়েছে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাখন চন্দ্র সূত্রধর ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্লাবন পাল। ইউএনও জানান, অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের তালিকা তৈরি করে জেলা প্রশাসনের কাছে সহযোগিতার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন থেকেও যথাসম্ভব সহায়তা দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, অগ্নিকাণ্ডে প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে তারা সরকারের সহযোগিতা কামনা করেছেন।