দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে আরেক ট্রাকের ধাক্কা, নিহত ২
Published: 16th, April 2025 GMT
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকের পেছনে আরেক ট্রাকের ধাক্কায় ২ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন একজন।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) ভোর ৪টার দিকে নোয়াখালী-লক্ষ্মীপুর সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের ফাজিলপুর গ্রামের জসীম উদ্দিনের ছেলে সাকিব (১৮) ও কেন্দুরবাগ এলাকার শাহ আলমের ছেলে সজীব (২০)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, লক্ষ্মীপুর থেকে বালুবাহী একটি ট্রাক নোয়াখালীর চৌমুহনী পৌরসভা এলাকায় যাচ্ছিল। পথে সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকের পেছনে বালুভর্তি ট্রাক ধাক্কা দেয়। এতে ট্রাকটির সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং ধাক্কা দেওয়া ট্রাকটির সামনের কেবিনে বসা দুইজন মারা যান।
আরো পড়ুন:
ফরিদপুরে তরমুজ বোঝাই ট্রাক উল্টে চালক-হেলপার নিহত
ঝালকাঠিতে বাস খাদে, আহত ১৩
চন্দ্রগঞ্জ হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রুহুল আমিন বলেন, ‘‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।’’
ঢাকা/সুজন/রাজীব
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন ন হত
এছাড়াও পড়ুন:
অসময়ে ব্রহ্মপুত্রে ভাঙন, ঝুঁকিতে বসতভিটা
ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বাড়ায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত ১০ দিনে বিলীন হয়েছে সাতটি বসতভিটা, ১১০ বিঘা ফসলি জমিসহ গ্রামীণ সড়ক। এ ছাড়া ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে রসুলপুর মারকাজ জামে মসজিদ, রসুলপুর আলহাজ রোস্তম আলী নূরানি হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও রসুলপুর ঈদগাহ মাঠসহ বসতভিটা। এমন চিত্র কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের রসুলপুর এলাকার।
সরেজমিন দেখা গেছে, বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের রসুলপুর এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বাড়ায় অসময়ে দেখা দিয়েছে ভাঙন। অনেকের বসতভিটা ও ফসলি জমি নদে বিলীন হয়ে গেছে। এবারই প্রথম নয়, কয়েক বছর ধরে বর্ষা মৌসুমে ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনের শিকার হচ্ছেন ওই এলাকার মানুষ। বছরের পর বছর ভাঙনে বসতভিটা ও আবাদি জমি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন অনেকে। এ ছাড়া আগে ভাঙন দেখা দিত বর্ষা মৌসুমে। এখন ভাঙছে শুষ্ক মৌসুমে। পানির স্রোত নেই। অথচ ভাঙছে নদের পার।
ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনের শিকার হয়েছেন বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের রসুলপুর এলাকার নুর আলম, আব্দুল বারেক, রায়হান, আব্দুর রশিদ, হেলাল উদ্দিন, রুহুল আমিন, নায়েব আলী ও সাহেব আলী। তারা অভিযোগ করে বলেন, বিভিন্ন সময় ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলন করা হয়। এ কারণে নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়েছে। অসময়ে দেখা দিয়েছে ভাঙনের তীব্রতা। এতে তাদের ঘরবাড়ি বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙন ঠেকাতে না পারলে মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে বেগমগঞ্জ ইউনিয়ন।
ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম জানান, গত ১০ দিনে ব্রহ্মপুত্রে বিলীন হয়ে গেছে তাঁর বসতবাড়িসহ ৯ জনের সাতটি বসতবাড়ি ও প্রায় ১১০ বিঘা জমি। এখন শুকনো মৌসুম। এই সময়ে ভাঙন রোধে কার্যকরী পদক্ষেপ না নিলে আরও ক্ষতি হবে। তাঁর দাবি, ৩০ হাজার জিওব্যাগ ফেলা হলে ভাঙন রোধ করা সম্ভব হবে। কিন্তু এখানে মাত্র ৫০০ জিওব্যাগ দেওয়া হয়েছে।
কথা হয় কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসানের সঙ্গে। তিনি বলেন, বিষয়টি জেনেছেন তিনি। তাঁর কাছে অনেকে ভাঙন এলাকার ছবিও পাঠিয়েছেন। ভাঙন রোধে ৫০০ জিওব্যাগ ফেলা হয়েছে। পরে আরও ৫০০ জিওব্যাগ বরাদ্দ হয়েছে।