অনার অব কিংস (এইচওকে) মেজর ইস্ট লীগ স্প্রিং ২০২৫ প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ থেকে প্রতিনিধিত্ব করবে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ই-স্পোর্টস সংগঠন ভেনম ই-স্পোর্টস।

আগামী ১৭ এপ্রিল থেকে ৪ মে মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে মেজর ইস্ট লীগ স্প্রিং ২০২৫ প্রতিযোগিতাটি, এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ইতোপূর্বে, ভেনম ই-স্পোর্টসের অনার অব কিংস (এইচওকে) দল ভেনম আনলীশ সোর্ড (ভেনম ইউএস) অনার অফ কিংস ওপেন (এইচওকে) সিরিজ স্প্লিট ৩ - সাউথ এশিয়া ক্যাটাগরি থেকে অনার অফ কিংস (এইচওকে) মেজর ইস্ট লীগে স্থান করে নিয়েছে। অনার অফ কিংস (এইচওকে) ওপেন সিরিজ স্প্লিট ৩ গত ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়। 

অনার অব কিংস (এইচওকে) মেজর ইস্ট লীগ স্প্রিং ২০২৫ প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ ছাড়াও  অংশগ্রহণ করবে মিশর, জাপান, চীন, ইরাক, ফিলিপাইন ও দক্ষিণ কোরিয়া।

এ প্রতিযোগিতায় ভেনম আনলীশ সোর্ড দল শীর্ষ আন্তর্জাতিক দল নংশিম রেডফোর্স, জেন.

জি ইস্পোর্টস, ক্রেজি রেকুন, আর৮ ইস্পোর্টস, স্কারজ, এবং দ্য ভিসিয়াস ই-স্পোর্টসের বিরুদ্ধে লড়াই করবে।

নিজেদের দক্ষতা প্রমাণ করতে ভেনম আনলীশ সোর্ড দলে খেলোয়াড় হিসেবে রয়েছেন তাহমিদ জাকী আনকান, নাফিস আহমেদ রাফি, আসহীর জাকী আন্তার, শরজিল শাহরিয়ার মাহিন, কাহান চাকমা এবং কামরুল হাসান রাকিব।

অনার অব কিংস (এইচওকে) মেজর ইস্ট লীগ স্প্রিং ২০২৫ প্রতিযোগিতাটি এইচওকে গ্লোবাল ই-স্পোর্টস এর অফিসিয়াল ইউটিউব, ফেসবুক, টিকটক এবং টুইচ চ্যানেলে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।

ভেনম ইস্পোর্টস সংগঠনটি ইতোমধ্যে এরিনা অব ভেলর (এওভি) বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ, মোবাইল লিজেন্ডস: বাং বাং (এমএলবিবি) বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ এবং এমএলবিবি সাউথ এশিয়ান রিজিওনাল চ্যাম্পিয়নশিপ শিরোপা ছিনিয়ে এনেছে।

সংগঠনটির পরিচালনায় রয়েছেন শাহরিয়ার চৌধুরী, নাঈম ইসলাম খান, আশরাফুল ইসলাম, তানভীর হোসেন মাহি, আবদুল্লাহ আল নোমান এবং মেহেদী মির্জা।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশের গেমিং ভক্তরা ভেনম ইস্পোর্টসের সাফল্যের জন্য উন্মুখ হয়ে আছেন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ই স প র টস

এছাড়াও পড়ুন:

প্রথম প্রান্তিকে চীনের প্রবৃদ্ধি ৫.৪%

বছরের প্রথম প্রান্তিকে চীনের প্রত্যাশাতীত প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এই সময় দেশটিতে মানুষের ভোগ যেমন বেড়েছে, তেমনি শিল্পোৎপাদনও বেড়েছে। যদিও দেশটির নীতিনির্ধারকেরা ট্রাম্পের পাল্টা শুল্কের প্রতিক্রিয়া কী হবে, তা নিয়ে চিন্তিত। বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই শুল্ক গত কয়েক বছরে চীনের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি।

ডোনাল্ড ট্রাম্প ২ এপ্রিল পাল্টা শুল্ক ঘোষণার পর ৯ এপ্রিল তা স্থগিত করেন। কিন্তু চীনের শুল্ক স্থগিত করেননি তিনি। শুধু তাই নয়, চীনের পণ্যে শুল্ক আরও বাড়িয়ে ১৪৫ শতাংশে উন্নীত করেছেন। চীনও মার্কিন পণ্যে প্রতিশোধমূলক শুল্ক আরোপ করেছে ১২৫ শতাংশ।

চীনের সরকারি পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, বছরের প্রথম অর্থাৎ জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে চীনের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫ দশমিক ৪ শতাংশ, যদিও রয়টার্সের জরিপে বিশ্লেষকদের প্রত্যাশার ছিল যে প্রবৃদ্ধি হবে ৫ দশমিক ১ শতাংশ। গত বছরের শেষ প্রান্তিকেও চীনের প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৫ দশমিক ৪ শতাংশ।

তবে চীনের প্রবৃদ্ধি এই গতি থাকবে না বলেই ধারণা করছেন বিশ্লেষকেরা। ওয়াশিংটনের উচ্চ শুল্কের কারণে চীনের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি অর্থাৎ রপ্তানি মার খাবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। ফলে চীনের নেতারা বড় ধরনের চাপে পড়বেন বলেই ধারণা করা হচ্ছে। রপ্তানি মার খেলে কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে এবং অনেক মানুষের চাকরি যাবে, এই পরিস্থিতি সামলানো নেতাদের পক্ষে কঠিন হয়ে যাবে।

সরকারি পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে রয়টার্সের সংবাদে বলা হয়েছে, অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের প্রকৃতি কিছুটা অসম। বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবাহ বেড়েছে এবং কারখানার কার্যক্রমেও এসেছে গতি; কিন্তু বেকারত্বের উচ্চহার ও মূল্যহ্রাসের কারণে চাহিদা নিয়ে শঙ্কা আছে।

মার্চে চীনের রপ্তানি বৃদ্ধির পেছনে কিছু কাঠামোগত কারণ আছে। বিষয়টি হলো, ট্রাম্পের শুল্কের হাত থেকে বাঁচতে চীনের রপ্তানিকারকেরা মার্চে দ্রুততার সঙ্গে অনেক পণ্য জাহাজিকরণ করেছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, শুল্ক–ঝড়ের প্রভাব অনুভূত হওয়ার আগে চীনের জিডিপির পালে কিছুটা হাওয়া লেগেছে। মূলত অভ্যন্তরীণ চাহিদার বেড়ে যাওয়ায় এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।

কয়েক বছর ধরেই চীনের প্রবৃদ্ধির গতি কম। অর্থনীতি চাঙা করতে চীনের সরকার বেশ কয়েকবার প্রণোদনা দিয়েছে। বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, সেই প্রণোদনা অনেকটা কাজে আসছে। কিন্তু যেভাবে ট্রাম্প চীনের পণ্যে শুল্ক আরোপ করে যাচ্ছেন, তাতে আরও প্রণোদনা প্রয়োজন হতে পারে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকেরা।

আগের প্রান্তিকের ভিত্তিতে দেখা যাচ্ছে, আগের প্রান্তিকের তুলনায় বছরের প্রথম প্রান্তিকে চীনের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১ দশমিক ২ শতাংশ; অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে যা ছিল ১ দশমিক ৬ শতাংশ। মার্চে দেশটির খুচরা বিক্রয়ের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫ দশমিক ৯ শতাংশ; জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে যা ছিল ৪ শতাংশ।

এদিকে রয়টার্সের জরিপে দেখা গেছে, ২০২৫ সালে চীনের প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৪ দশমিক ৫ শতাংশ। ২০২৪ সালে যেখানে তাদের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫ শতাংশ। চলতি বছর চীনের সরকারি পূর্বাভাস ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির। অর্থাৎ দেশটি সেই লক্ষ্যমাত্রা এবার অর্জন করতে পারবে না বলেই ধরে নেওয়া যায়।

এদিকে বহুজাতিক বিনিয়োগ ব্যাংক ইউবিএস ২০২৫ সালে চীনের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে ৩ দশমিক ৪ শতাংশ, যদিও আগের তাদের পূর্বাভাস ছিল ৪ শতাংশ। মূলত শুল্ক–যুদ্ধের প্রভাব বিবেচনা করে তারা প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস হ্রাস করেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • প্রথম প্রান্তিকে চীনের প্রবৃদ্ধি ৫.৪%
  • শিল্পে গ্যাসের নতুন মূল্যহার বৈষম্যমূলক
  • কুয়েট শিক্ষার্থীদের নামে মামলা এবং বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবি গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের
  • শিক্ষার্থীদের অধিকার নিয়ে জবি উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে ছাত্র অধিকার পরিষদ
  • আন্তর্জাতিক ইস্পোর্টস ইভেন্টে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবে ভেনম ইস্পোর্টস
  • পঞ্চগড়ে বর্ষবরণে শিশু-কিশোরদের ঘুড়ি উৎসব
  • নানা আয়োজনে উদীচীর চৈত্রসংক্রান্তি উদ্‌যাপন
  • সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১৪ টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত, অপেক্ষা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের
  • সয়াবিন তেলের লিটারে ১৪ টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত, অপেক্ষা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের