আমি শিষ্টাচারবহির্ভূত আচরণ শুরু করলে নিতে পারবেন না: হাসনাত আবদুল্লাহ
Published: 16th, April 2025 GMT
পাঁচই অগাস্ট পট পরিবর্তনের পরপরই আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি উঠলেও পরে তা নিয়ে ঐকমত্য তৈরি না হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে আবারও কথা বলেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আওয়ামী লীগের প্রশ্নে অনেকেই ছাড় দেওয়ার চেষ্টা করছে অভিযোগ করে তাদের দ্রুত আওয়ামী লীগ প্রশ্নে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আহ্বান জানান হাসনাত আবদুল্লাহ।
জাতীয় নাগরিক পার্টির এই নেতা লিখেছেন, “যেদিন থেকে আমাদের আওয়ামীবিরোধী অবস্থান এবং কম্প্রোমাইজের (আপস) রাজনীতির বিরোধিতাকে ‘শিষ্টাচারবহির্ভূত’ বলা শুরু হয়েছে, সেদিন থেকেই আওয়ামী লীগের মিছিল বড় হতে শুরু করেছে।”
যারা কম্প্রোমাইজের রাজনীতি করছেন, তাদের সতর্ক করছি- অতিশিগগিরই আওয়ামী লীগ নিয়ে সিদ্ধান্তে আসুন উল্লেখ করে তিনি লেখেন, “না হলে আপনারা করবেন কম্প্রোমাইজের রাজনীতি আর আমি করব শিষ্টাচারবহির্ভূত আচরণ। আমি শিষ্টাচারবহির্ভূত আচরণ শুরু করলে নিতে পারবেন না। সাবধান হয়ে যান।”
মঙ্গলবার ফেসবুকে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের একটি বিক্ষোভ মিছিলের ভিডিও ছড়িয়েছে। আওয়ামী লীগের অনেক সমর্থক ওই ভিডিও ফেসবুকে শেয়ার করে লিখেছেন, ঢাকার বাড্ডা এলাকায় স্থানীয় একজন সাবেক ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে ওই মিছিল হয়েছে। এরপর সন্ধ্যায় ফেসবুকে ওই পোস্ট দিয়েছেন হাসনাত আবদুল্লাহ।
এর আগেও ঢাকা সেনানিবাস থেকে আওয়ামী লীগ পুনর্বাসনের পরিকল্পনা হচ্ছে দাবি করে ফেসবুকে এক স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন হাসনাত আব্দুল্লাহ।
ঢাকা/ইভা
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর শ ষ ট চ রবহ র ভ ত ফ সব ক আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
নিউজ করায় তান্ডব সিনেমা থেকে বাদ, নায়িকা বললেন অপেশাদার আচরণ
সম্প্রতি অপেশাদার আচরণের মুখে পড়েছেন অভিনেত্রী নিদ্রা দে নেহা। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দীর্ঘ স্ট্যাটাস দিয়ে জানিয়েছেন তিনি। যে স্ট্যাটাসে অভিনেত্রী অভিনয় ছাড়ারও ইঙ্গিত দিয়েছেন। সে ইঙ্গিতের সূত্র ধরে তার সঙ্গে যোগাযোগ করলে নেহা জানান, অভিনয় ছাড়ার ঘোষণা নয়। পুরোপুরি পেশাদার না হলে তাদের সঙ্গে কাজ না করার ইঙ্গিতই দিয়েছেন তিনি। কাউকে বিষয়টি ভুল ব্যাখ্যা না করতেও অনুরোধ জানিয়েছেন।
কিছুদিন আগে তান্ডব সিনেমায় শাকিব খানের সঙ্গে কাজ করার খবর আসে তার। সে খবরটি প্রকাশের পরই সিনেমায় থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে তাকে। সিনেমাটিতে একদিনের শুটিংয়েও অংশ নিয়েছিলেন তিনি। এভাবে বাদ দেওয়াটাকে অপেশাদার আচরণ বলেই মন্তব্য অভিনেত্রীর। নেহা বললেন, ছবিটির নাম আমি আর বলতে চাইছি না। একদিন শুটিংও করেছি। আমার বাবা ক্যানসারের রোগী। চিকিৎসার জন্য তাকে মুম্বাই নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কাজটির জন্য আমি সব বাদ দিই। ফ্লাইটের টিকিট বাতিল করে তাদের মে পর্যন্ত টানা দুই মাসের ডেট দিই। ঈদের আগে একদিন শুটিংও করি। এরমধ্যে এক পত্রিকার রিপোর্টার আমার কাছে নতুন কাজ সম্পর্কে জানতে চাইলে ছবিটির কথা বলি। এরপর নিউজ হলো। আমাকে নায়িকা বানিয়ে দেওয়া হলো। আমি তখনও নিউজটি দেখিনি। কিন্তু ছবি সংশ্লিষ্টরা মনে করলেন আমি নিউজ করিয়েছি। আমার সঙ্গে চেচামেচি করলেন। আমি বললাম, করাইনি। এরপর যা ঘটার ঘটল।
নেহা বলেন, আমার কাজের সংখ্যা কম কিন্তু যেকটা করেছি সবগুলো গুণগত মানসম্পন্ন। একজন অভিনয়শিল্পী কেমন অভিনয় করে তার কাজই বলে দেয়। উদাহরণস্বরুপ ওয়েব সিরিজ ‘আধুনিক বাংলা হোটেল’-এর ‘হাসের সালুন’-র কথা বলি। সেখানে আমার চরিত্রের দৈর্ঘ্য কম। কিন্তু ১০ মিনিটের ওই কাজের জন্য বিদেশি গণমাধ্যমে পর্যন্ত আমাকে নিয়ে লেখালেখি হয়েছে।কোয়ালিটি না থাকলে তো তারা ডাকতেন না।
নেহার মত সিনেমার খবরটি জানালেও তাকে বাদ দেওয়ার মত কাজ তারা করতে পারেন না। এটা পুরোপুরি অপেশাদারিত্ব। কারণ তারা অফিসিয়ালি কখনও বলেনি বিষয়টি গোপন রাখতে। অভিনেত্রীর ভাষ্য, যদি আমি নিউজ করিও তবুও তো তারা আমার সঙ্গে এরকম করতে পারেন না। কেননা আমাকে তো বলা হয়নি যে নিউজ করা যাবে না। সাধারণত কাজের ক্ষেত্রে টিম যদি কোনোকিছু গোপন রাখার প্রয়োজন বোধ করে তবে আর্টিস্টের সঙ্গে বসে আলোচনা করে। কিন্তু আমাকে এ ব্যাপারে কিছু বলা হয়নি। চুক্তিপত্রে সাইন করার কথা ছিল। হয়তো সেখানে লেখা থাকত। কিন্তু তাড়াহুড়া করে কাজটি শুরু করা হয়। সাইন করার সময়টা-ই ছিল না। ঈদের পর চুক্তিপত্রে স্বাক্ষরের কথা ছিল। এছাড়া তাদের পক্ষ থেকে কেউ আমাকে কাজটির কথা গোপন রাখতে বলেওনি।’