বাগেরহাটে এসএসসি পরীক্ষা চলাকালে কক্ষে বই, খাতা ও মোবাইল ফোন পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ৯ শিক্ষককে পরীক্ষার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। 

মঙ্গলবার ইংরেজি প্রথম পত্রের পরীক্ষা চলাকালীন মোরেলগঞ্জ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের ১০১, ১১০ ও ২১০ নম্বর কক্ষে টেবিলের উপরে ও নিচে ব্যাগ, বই, খাতা ও মোবাইল ফোন পাওয়া যায়। এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব মো.

শহিদুল ইসলামের সই করা আদেশে ৯ শিক্ষককে ২০২৫ ও ২০২৬ সালের জন্য পরীক্ষায় দায়িত্ব পালন থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। ওই কেন্দ্রটিতে ১১টি বিদ্যালয়ের ৪৭৪ জন ছাত্র-ছাত্রী পরীক্ষা দিচ্ছেন।

অব্যাহতিপ্রাপ্ত ৯ শিক্ষক হলেন- চিপা বারইখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. মাসুম বিল্লাহ ও নিমাই চন্দ্র রায়। জিউধরা সেরজন স্মৃতি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শাহানাজ আক্তার, তাপস কুমার মজুমদার, শহিদুল ইসলাম ও সোহেলী পারভিন। শহীদ শেখ রাসেল মুজিব উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পলি দেবনাথ, নাসির উদ্দিন খান ও অম্বিকাচরণ লাহা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. শফরুল ইসলাম।

এ বিষয়ে কেন্দ্র সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. হাবিবুল্লাহ বলেন, পাবলিক পরীক্ষা চলাকালীন সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ৩টি কক্ষে বই ও মোবাইল ফোন পাওয়া গেছে। ওই কক্ষগুলোতে দায়িত্বে থাকা ৯ শিক্ষককে ২ বছরের জন্য পরীক্ষার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।  


 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: পর ক ষ ব গ রহ ট ৯ শ ক ষকক পর ক ষ

এছাড়াও পড়ুন:

মানবিক বিবেচনায় পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ সেই ১৩ শিক্ষার্থীর

কক্সবাজারের উখিয়া হলদিয়াপালং আদর্শ বিদ্যাপীঠের এসএসসি পরীক্ষার্থী ১৩ শিক্ষার্থীকে মানবিক বিবেচনায় পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দিয়েছে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড। 

সোমবার (১৪ এপ্রিল) এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।

উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, “জেলা প্রশাসনের সহায়তায় ওই ১৩ শিক্ষার্থীকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। যদিও তারা প্রথম পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি। কারণ, তারা পরীক্ষা শুরুর মাত্র ৩০ মিনিট আগে বিষয়টি জানায়। এরপরও মানবিক বিবেচনায় চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড প্রবেশপত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”

ইউএনও জানান, বিদ্যালয়ের একটি অভ্যন্তরীণ সিন্ডিকেটের কারণে শিক্ষার্থীরা সময়মতো প্রবেশপত্র পায়নি। এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) থেকে শিক্ষার্থীরা ইংরেজি দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে।

উল্লেখ্য, প্রবেশপত্র না পাওয়ায় গত শনিবার চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষার প্রথম দিন ১৩ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অবহেলায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয় বলে অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় পরীক্ষার দিন সকালে ক্ষুব্ধ অভিভাবক ও এলাকাবাসী বিদ্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ ও ভাঙচুর চালান। পরে পুলিশ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে আটক করে।

ঢাকা/তারেকুর/টিপু 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • এসএসসির পরীক্ষা হলে বই ও মোবাইলফোন, ৯ শিক্ষকে অব্যাহতি
  • দ্বিতীয় দিনের পরীক্ষায় ১৮ পরিদর্শক ও ৮৩ পরীক্ষার্থী বহিষ্কৃত
  • পরীক্ষার শুরুর ২০ মিনিটের মধ্যে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ
  • শেরপুরে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের সেবায় ছাত্রদল
  • নাঙ্গলকোটে এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ
  • ঝালকাঠিতে ৬ এসএসসি পরীক্ষার্থী বহিষ্কার, ৯ শিক্ষককে অব্যাহতি
  • এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে দায়িত্ব অবহেলা, ৩ শিক্ষককে অব্যাহতি
  • মানবিক বিবেচনায় পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ সেই ১৩ শিক্ষার্থীর
  • এসএসসি পরীক্ষার্থীদের পাশে থাকতে ছাত্রদলের জরুরি নির্দেশনা