স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, হত্যার পর ঝলসানো হয় মুখ
Published: 16th, April 2025 GMT
পাবনার চাটমোহর উপজেলায় ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিখোঁজের পরদিন গতকাল মঙ্গলবার উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের একটি ভুট্টাক্ষেত থেকে মুখ ঝলসানো অবস্থায় শিশুটির বিবস্ত্র লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ভুক্তভোগীর বাড়ি নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলায়। সে ছিল স্থানীয় একটি হেফজখানার প্রথম শ্রেণির ছাত্রী।
স্বজনরা জানান, সোমবার পহেলা বৈশাখ বিকেলে দাদাবাড়ি যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয় শিশুটি। এর পর আর ফেরেনি। বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করেও তাকে পাওয়া যায়নি। মঙ্গলবার সকালে চাটমোহরের হরিপুর এলাকায় ভুট্টাক্ষেতের মধ্যে লাশ পড়ে থাকতে দেখে থানায় খবর দিলে পুলিশ তা উদ্ধার করে। এ সময় তার মুখে পোড়া ক্ষতচিহ্ন এবং পরনের প্যান্ট গলায় পেঁচানো ছিল।
পুলিশের ধারণা, ধর্ষণ ও শ্বাসরোধে হত্যার পর শিশুটির মুখ ঝলসে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয়দের ধারণা, তার মুখ এসিড দিয়ে পোড়ানো হয়েছে।
চাটমোহর থানার ওসি মঞ্জুরুল আলম বলেন, শিশুটির স্বজন লাশ দেখে পরিচয় শনাক্ত করেছেন। লাশ উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
এদিকে ফেনীতে থাইল্যান্ডের নাগরিক এক নারীকে ধর্ষণ ও মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ওই নারীর করা মামলায় মোখসুদুর রহমান নামে এক ব্যক্তিকে সোমবার গ্রেপ্তারের পর কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মোখসুদুর ফেনী সদর উপজেলার শর্শদি ইউনিয়নের নোয়াবাদ মুসলিম মেম্বার ভূঁইয়াবাড়ির আব্দুর রবের ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, জন্মসূত্রে ভারতীয় হলেও থাইল্যান্ডের নাগরিক ওই নারী ২০২০ সাল থেকে হংকংয়ের একটি মুদি দোকানে ব্যবসা করেন। সেখানেই মোখসুদুরের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। এর পর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং এক পর্যায়ে মোখসুদুর তাঁকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেন। পরে মোখসুদুর বাংলাদেশে চলে এলেও তাদের মধ্যে যোগাযোগ ছিল। বিয়ের কথা বলা হলে গত বছরের ২২ মার্চ তিনি প্রথমবার বাংলাদেশে আসেন। একইভাবে মোখসুদুর গত বছরের ১২ অক্টোবর আবার ওই নারীকে বাংলাদেশে নিয়ে এসে ধর্ষণ করেন।
সবশেষ ১৩ এপ্রিল ওই নারী বাংলাদেশে এসে মোখসুদুরের ফেনীর বাড়িতে গেলে তাঁকে মারধর করে ঘর থেকে বের করে দেওয়া হয়। এ সময় তাঁর মোবাইল ফোন ভেঙে ফেলেন মোখসুদুর।
ফেনী মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ সামসুজ্জামান জানান, ভুক্তভোগী ওই নারীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় প্রতিবন্ধী তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গত রোববারের এ ঘটনায় উলফাত মোল্লা নামে এক দোকানিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অভিযোগ উঠেছে, প্রভাবশালী একটি মহল ভুক্তভোগীর পরিবারকে আইনগত পদক্ষেপ না নিতে চাপ দেয় এবং ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে। ঘটনার রাতেই অভিযুক্ত উলফাতকে নিয়ে বাজারের সভাপতি কামরুল ইসলাম সাবু ও স্থানীয় মাতবর লাভলু, নাজির, তাইজেল, জাকির, বোরাকসহ ১০-১২ জন বাজারের মধ্যে সালিশ বৈঠকে বসেন। তারা সবার সম্মতিতে উলফাতকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন।
ভুক্তভোগীর চাচা বলেন, ‘ওই বৈঠকে আমাদের ডাকা হয়নি। ইজ্জত তো চলেই গেছে; টাকা দিয়ে কী হবে?’ এ ব্যাপারে মাতবর নাজিরের কাছে জানতে চাইলে তিনি সালিশ বৈঠকের বিষয়টি অস্বীকার করেন।
লোহাগড়া থানার ওসি আশিকুর রহমান জানান, উলফাতকে সোমবার সন্ধ্যায় আটক করা হয়। ভুক্তভোগীর পরিবার লিখিত অভিযোগ না করায় তাকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলায় চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মোজাম্মেল হোসেন নামে এক মুদি দোকানিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত জানুয়ারি মাসে মেয়েটিকে কয়েক দফায় ধর্ষণ করে মোজাম্মেল। এ ঘটনায় মঙ্গলবার তার বিরুদ্ধে কলমাকান্দা থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগীর বাবা। এর পর মোজাম্মেলকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। কলমাকান্দা থানার ওসি মুহাম্মদ ফিরোজ হোসেন এসব তথ্য জানিয়েছেন।
মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলায় ভাড়া বাসায় আলু তোলার কাজে নিয়োজিত নারী শ্রমিককে ধর্ষণের অভিযোগে বাবু মোল্লা নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত রোববার রাতে তাকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। সোমবার বাবুকে মুন্সীগঞ্জ আমলি আদালত-৪ এ তোলা হলে বিচারক নুসরাত শারমিন কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বাবু উপজেলার বালিগাঁও গ্রামের শামসুল মোল্লার ছেলে। টঙ্গিবাড়ী থানার ওসি মহিদুল ইসলাম জানান, ২০ মার্চ ধর্ষণের ঘটনার পর মামলা হলে বাবু পালিয়ে যায়।
(প্রতিবেদনে তথ্য দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধি)
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর এ ঘটন য় উপজ ল য় ওই ন র র কর ছ স মব র উলফ ত
এছাড়াও পড়ুন:
পানসে এল ক্লাসিকোয় হঠাৎ উত্তাপ
ম্যাচের আগে বার্সেলোনা কোচ জয়ের বিষয়ে আত্মবিশ্বাস দেখাবেন, রিয়াল মাদ্রিদকে সম্মান করবেন এমনই হওয়ার কথা। হয়েছিলও তাই। হানসি ফ্লিক বলেছিলেন, ‘রিয়াল মাদ্রিদ দুর্দান্ত দল। কোচ আনচেলত্তি সবকিছু জিতেছেন। তিনি একজন ভদ্রলোক। তার জন্য আমার অগাধ শ্রদ্ধা আছে।’
ফুরফুরে মেজাজে ছিল ফ্লিকের দল বার্সাও। ঐতিহাসিক কোয়াড্রপুল (চার শিরোপা) জেতার পথে দাপটের সঙ্গে এগিয়ে চলেছেন তারা। মৌসুমে দুটি এল ক্লাসিকোয় জিতেছে বার্সা। এমবাপ্পে-ভিনি বনাম রাফিনিয়া-ইয়ামালদের লড়াইও এখনো জমেনি। ওই হিসেবে কোপা দেল রে’র ক্লাসিকো পানসে স্বাদের আভাস দিচ্ছিল। কিন্তু ম্যাচের আগে হুট করে সব উল্টে পাল্টে গেছে। আগুন লেগে গেছে ক্লাসিকোয়।
কোপা দেল রে ফাইনালের রেফারি রিকার্দো দে বুর্গোস বেনগোচিয়া ও ভিএআর হিসেবে আছেন পাবলো গঞ্জালেস। তাদের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলেছে রিয়াল। যে কারণে ম্যাচ পূর্ব অনুশীলন কিংবা সংবাদ সম্মেলন করেনি। অবস্থা এমন গুঞ্জন রটে যায় যে- ফাইনাল বর্জন করতে যাচ্ছে রিয়াল।
পেছনে অবশ্য কারণও আছে। রেফারি বেনগোচিয়া এক সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। দাবি করেন যে, স্কুলে তার ছেলেকে ‘চোরের ছেলে’ বলা হয়। তাকে নির্মমভাবে অপদস্ত করা হয়েছে। তার ইমেজ সংকটে ফেলা হয়েছে। রিয়াল মাদ্রিদ গ্রুপের সংবাদ মাধ্যমে তার মুণ্ডোপাত করা হয়েছে।
এরপর রিয়াল পক্ষপাতিত্ব হবে এমন অভিযোগ এনে রেফারি পরিবর্তনের জন্য স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনে আবেদন করেন। এর প্রেক্ষিতে রিয়াল মাদ্রিদকে নিয়ে ক্ষেপেছে বার্সেলোনা। অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ নিন্দা করেছে লস ব্লাঙ্কোসদের। লা লিগা প্রেসিডেন্ট হাভিয়ের তেবাস এক হাত নিয়েছেন রিয়ালের প্রেসিডেন্ট ফ্লোরিন্তিনো পেরেজের।
ফ্লিক রিয়ালের সমালোচনা করে বলেন, ‘এটা তো নৈতিক লড়াই হলো না। এটা ফুটবল, একটা খেলা। এর সঙ্গে সম্পৃক্ত সকলকে রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব।’ অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদের পক্ষ থেকে পেরেজকে কটাক্ষ করে টুইট করা হয়েছে, ‘এটা মেনে নেওয়া যায় না। স্প্যানিশ ফুটবলের ভাবমূর্তি এভাবে নষ্ট করবেন না।’
লা লিগা প্রেসিডেন্ট তেবাস তো মনে জমা ক্ষোভের সবটা ঝাপি খুলে দিয়েছেন এক্সে (টুইটার), ‘তেবাসকে তিনি (পেরেজ) পছন্দ করেন না, কারণ আমি তার চাওয়া পূরণ করি না। সেফেরিনকে (উয়েফা প্রেসিডেন্ট) তার পছন্দ নয়, কারণ তিনি তার কথা শোনেন না। টিভি ধারাভাষ্যকারদের তার পছন্দের নয়, কারণ উনি (পেরেজ) যা শুনতে চান তারা তা বলেন না। এখন তিনি রেফারিদের পেছনে লেগেছেন।’