জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ৯৩ লাখ টাকার সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের দায়ে এভিয়েট ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের প্রোপাইটর নুরুল আমিনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। 

ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এর বিচারক জাকারিয়া হোসেন মঙ্গলবার এ রায় দেন। একই সঙ্গে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। অর্থদণ্ড অনাদায়ে তাঁকে আরও পাঁচ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া তথ্য গোপনের অভিযোগে তাঁকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের পাশাপাশি ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। অর্থদণ্ড অনাদায়ে তাঁকে আরও তিন মাস সশ্রম কারাভোগ করতে হবে। একই সঙ্গে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ৯৩ লাখ ২২ হাজার ১৭ টাকার সম্পত্তি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার আদেশ দেওয়া হয়েছে।

দুই ধারার সাজা একসঙ্গে চলবে। এ জন্য তাঁকে সর্বোচ্চ সাজা পাঁচ বছরের কারাভোগ করতে হবে বলে জানিয়েছেন তাঁর আইনজীবী শফিকুল ইসলাম। জনশক্তি রপ্তানিকারক নুরুল আমিন রায় ঘোষণার আগে আদালতে হাজির হন। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।

সম্পদের তথ্য গোপন এবং জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০১১ সালের ৭ আগস্ট রমনা মডেল থানায় মামলা করেন দুদকের তৎকালীন উপপরিচালক আবদুল আজিজ ভূঁইয়া। মামলাটি তদন্ত করে ২০১২ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন আবদুল আজিজ। ২০২১ সালের ৫ অক্টোবর আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে ১৫ সাক্ষীর মধ্যে ১২ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

খুলনার সাবেক সংসদ সদস্য পঞ্চানন বিশ্বাসের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে খুলনা–১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য পঞ্চানন বিশ্বাসের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ মঙ্গলবার তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।

রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, পঞ্চানন বিশ্বাসের বিরুদ্ধে ১ কোটি ৬ লাখ ৭১ হাজার ৪১৪ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া গেছে। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইনে মামলা করা হয়েছে।

পঞ্চানন বিশ্বাস ১৯৯৬ সালে খুলনা-১ আসনের (দাকোপ ও বটিয়াঘাটা) উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে জয়ী হন। এরপর তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন।

২০০১ সালের অষ্টম সংসদ নির্বাচনে পঞ্চানন বিশ্বাস আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন। ওইবার ৭৮ হাজার ৫৫২ ভোট পেয়ে বিএনপি জোটের প্রার্থীকে পরাজিত করেন। ওই নির্বাচনে খুলনা জেলার ছয়টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে তিনি একাই জিতেছিলেন। ২০০৮ সালে তিনি দলীয় মনোনয়ন পাননি।

২০১৪ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে পঞ্চানন বিশ্বাস ৬৬ হাজার ৯০৪ ভোট পেয়ে জয়ী হন।

২০১৮ সালের নির্বাচনে পঞ্চানন বিশ্বাস বিএনপির আমীর এজাজ খানকে হারিয়ে চতুর্থবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে তিনি জাতীয় সংসদের হুইপ মনোনীত হন। তবে ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ তাকে মনোনয়ন দেয়নি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • খুলনার সাবেক সংসদ সদস্য পঞ্চানন বিশ্বাসের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা