জ্ঞাত আয় বহির্ভূত ৯৩ লাখ টাকার সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের মামলায় এভিয়েট ইন্টারন্যাশনাল লি. এর প্রোপাইটর নুরুল আমিনকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক জাকারিয়া হোসেনের আদালত এ রায় দেন।

জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের দায়ে তাকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। অর্থদণ্ড অনাদায়ে তাকে আরও ৫ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

এছাড়াও তথ্য গোপনের অভিযোগে তাকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের পাশাপাশি ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। অর্থদণ্ড অনাদায়ে তাকে আরও তিন মাস সশ্রম কারাভোগ করতে হবে। একইসাথে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত ৯৩ লাখ ২২ হাজার ১৭ টাকার সম্পত্তি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার আদেশ দেওয়া হয়েছে।

আদালতসূত্রে জানা যায়, তার বিরুদ্ধে দুই ধারার সাজা একত্রে চলবে। এজন্য তাকে সর্বোচ্চ সাজা পাঁচ বছরের কারাভোগ করতে হবে বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী শফিকুল ইসলাম। রায় ঘোষণার আগে নুরুল আমিন আদালতে হাজির হন। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

মামলার সূত্রে জানা যায়, দুদক নুরুল আমিনকে ২০০৯ সালের ২৯ জুলাই সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিলের নোটিশ পাঠায়। নুরুল আমিন ২০১০ সালের ২২ আগস্ট সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল করে। হিসাব বিবরণীতে মোট ৭ কোটি ৫৩ লাখ ৮৬ হাজার ১২৭ টাকার সম্পদ দাখিল করা হয়। যার মধ্যে ৬ কোটি ৭৬ লাখ ১৪ হাজার ৮২৭ টাকার স্থাবর এবং ৭৭ লাখ ৭১ হাজার ৩০০ টাকার অস্থাবর সম্পদ। পরে দুদক পর্যালোচনা করে দেখতে পায়, নুরুল আমিন দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ৯২ লাখ ৮১ হাজার ১৭ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেন।

সম্পদের তথ্য গোপন এবং জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০১১ সালের ৭ আগস্ট রমনা মডেল থানায় মামলা করে দুদকের তৎকালীন উপপরিচালক আবদুল আজিজ ভূঁইয়া মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে ২০১২ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি আদালতে চার্জশিট দখল করেন আবদুল আজিজ। ২০২১ সালের ৫ অক্টোবর আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে ১৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ১২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন র ল আম ন ব বরণ বছর র

এছাড়াও পড়ুন:

পোপের শেষকৃত্যে কারা যোগ দিয়েছেন

সেন্ট পিটার্স স্কোয়ারে পোপের শেষকৃত্যানুষ্ঠানে বিশ্ব নেতৃবৃন্দ, ক্যাথলিক কর্মকর্তাগণ এবং সারা বিশ্ব থেকে জমায়েত হওয়া শোকাহত হাজার হাজার মানুষ আজ যোগ দিবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

শুক্রবার রাতে রোমের ফিউমিসিনো বিমানবন্দরে পৌঁছান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া। ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কি এবং তার স্ত্রী ওলেনা জেলেনস্কাও রোমে এসেছেন।

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ইতোমধ্যেই ভ্যাটিকান পৌঁছেছেন। 

অনেক সরকার প্রধান ও রাজ পরিবারও তাদের উপস্থিতি নিশ্চিত করেছেন।

এছাড়াও আজ সেন্ট পিটার্স স্কোয়ারে অনেক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের উপস্থিতি আশা করা হচ্ছে, যার মধ্যে রয়েছেন প্রাক্তন মার্কিন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন এবং প্রাক্তন ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন, প্রধানমন্ত্রী কাইর স্টারমার, ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লেইন, ফিলিপাইনের রাষ্ট্রপতি ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ের স্টারমার, প্রিন্স উইলিয়াম, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, স্পেনের রাজা ষষ্ঠ ফিলিপ এবং রানি লেটিজিয়া, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা ডা সিলভা।

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের পর এই শেষকৃত্য অনুষ্ঠানটি বিশ্ব নেতাদের উল্লেখযোগ্য জমায়েত ঘটবে।

বৈশ্বিক অনেক ইস্যুতে বিভিন্ন সময়ে মতামত দেয়া নিয়ে বিশ্ব নেতাদের অনেকের সাথে পোপের মতবিরোধ হয়েছে। তাদের মধ্যেও কয়েকজন তার শেষকৃত্যে যোগ দিচ্ছেন।

ব্যাসিলিকার দিকে মুখ করে স্কোয়ারের ডান দিকে বসবেন অতিথিরা। সেখানে আর্জেন্টিনা ও ইটালির সরকার প্রধানরা সামনের সাড়িতে বসবেন।

ফরাসি ভাষার বর্ণমালার ক্রমানুসারে সরকার প্রধানরা এই অনুষ্ঠানে আসন গ্রহণ করবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ