বিসিবিতে হঠাৎ দুদক, তিন বিষয়ে তদন্ত
Published: 15th, April 2025 GMT
আগে থেকে খবরটা জানা ছিল না বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) দায়িত্বশীলদের। মিরপুরে বিসিবি কার্যালয়ে আজ দুপুরে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কর্মকর্তাদের আকস্মিক আগমন তাই কিছুটা হলেও হতচকিত করেছে বোর্ড কর্মকর্তাদের।
মূলত তিনটি অভিযোগের ভিত্তিতে বিসিবির কাছে তথ্যাদি চাইতে বিসিবি কার্যালয়ে যায় দুদকের প্রতিনিধিদল। বিসিবির আয়োজনে মুজিব শতবর্ষ উদ্যাপনের খরচের হিসাব, তৃতীয় থেকে দশম আসর পর্যন্ত বিপিএলের টিকিট বিক্রির হিসাব ও তৃতীয় বিভাগ বাছাই ক্রিকেটের এন্ট্রি ফির অনিয়ম নিয়েই আপাতত তাঁদের তদন্ত। দুদক কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের বলেছেন, এই তিনটি বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁরা বিসিবির কাছে তথ্যাদি জানতে চেয়েছেন।
আরও পড়ুনর্যাঙ্কিংয়েও সুখবর, ক্যারিয়ার-সর্বোচ্চ অবস্থানে নিগার, শারমিন ও রাবেয়া৩২ মিনিট আগেবিসিবির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে নিজেদের চাহিদা জানানোর পর সংবাদমাধ্যমকে দুদকের সহকারী পরিচালক আল আমিন বলেন, ‘মুজিব বর্ষের অনুষ্ঠান আয়োজনে প্রায় ২৫ কোটি টাকা খরচ দেখানো হয়েছিল। তবে অভিযোগ আছে, এর মধ্যে মাত্র ৭ কোটি টাকার খরচ দেখানো হয়। বাকি ১৯ কোটি টাকার মতো খরচের হিসাব দেওয়া হয়নি।’ এ ব্যাপারে বিসিবির ফাইন্যান্স বিভাগের কাছে তথ্যাদি চেয়েছেন তাঁরা। এ ছাড়া টিকিট বিক্রি থেকে প্রায় ২ কোটি টাকা আয় হয়েছে বলেও জেনেছে দুদক, যেটার হিসাব দেখানো হয়নি। সেটিসহ ২০ কোটি টাকার বেশি গরমিল থাকতে পারে।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বিসিবি কার্যালয়.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: কর মকর ত
এছাড়াও পড়ুন:
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপির বৈঠক আজ
নির্বাচনি রোডম্যাপের দাবিতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করবে বিএনপি।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ বৈঠক হবে। এতে বিএনপির প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার কাছে সুনির্দিষ্ট করে জানতে চাওয়া হবে, কবে নাগাদ নির্বাচন হবে এবং নির্বাচনের রোডম্যাপ বা পথনকশা কবে ঘোষণা করা হবে। উপদেষ্টার বক্তব্যে সন্তুষ্ট হতে না পারলে বিএনপি রাজপথের কর্মসূচিতে যেতে পারে।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) রাতে এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভা হয়। সেখানে এসব বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
নির্বাচন নিয়ে অধ্যাপক ইউনূস একাধিকবার বলেছেন, আগামী নির্বাচন এ বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। তবে বিএনপি জোর দিয়ে বলছে, সরকারকে আরো সুনির্দিষ্ট করে বলতে হবে।
ফেব্রুয়ারির শুরুতে বিএনপি নেতারা বলেছিলেন, প্রধান উপদেষ্টা তাদের জানিয়েছেন, এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হবে। তবে দলটির নেতারা এখন মনে করছেন, সরকার তার অবস্থান পরিবর্তন করেছে।
গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই জাতীয় নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছে বিএনপি।
বিএনপির মিত্র রাজনৈতিক দলগুলোও দ্রুত নির্বাচনের পক্ষে। তবে, জামায়াতে ইসলামী প্রয়োজনীয় সংস্কারের পর নির্বাচন চায়।
আর জুলাই-অগাস্টের গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্র নেতাদের নতুন দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) চায় জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সংস্কারের রোডম্যাপ ও গণপরিষদ নির্বাচন।
ঢাকা/হাসান/ইভা