রাজধানীর বংশালে বাসায় ঢুকে বিপ্লব গাজী (৩২) নামে এক যুবককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার সন্ধ্যায় তার লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড হাসপাতাল) মর্গে পাঠায় পুলিশ। কী কারণে তাকে হত্যা করা হয় তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তিনি মিটফোর্ড এলাকায় বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের সিনিয়র মেডিকেল প্রমোশন অফিসার ছিলেন। 

বংশাল থানার ওসি রফিকুল ইসলাম সমকালকে বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বাসায় থাকা টাকা লুটের উদ্দেশ্যে তাকে হত্যা করা হয়। তদন্তে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে। ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। সেগুলো পর্যালোচনা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই নয়ন আলী বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছেন।

বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের সংশ্লিষ্ট এরিয়া ম্যানেজার আলী হোসেন বলেন, বংশালের সমাজকল্যাণ গলির ৬০/৯ নম্বর বাসার দোতলার একটি ঘরে একা থাকতেন বিপ্লব গাজী। সর্বশেষ রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে এক সহকর্মীর সঙ্গে তার কথা হয়। কারও সঙ্গে তার বিরোধ ছিল না। হত্যার কারণ সম্পর্কে আমরা কিছু বলতে পারছি না। তিনি অবিবাহিত ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি রাজশাহীর দুর্গাপুরে। বাবা প্রয়াত সোলায়মান গাজী।  

নিহতের ভাই নয়ন আলী এজাহারে উল্লেখ করেন, রোববার রাত পৌনে ১০টা থেকে সোমবার সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে কোনো এক সময় তার ভাইকে মাথা, বুক ও থুতনির নিচে ধারালো অস্ত্রের আঘাত এবং গলায় লুঙ্গি ও মাল্টিপ্লাগের তার পেঁচিয়ে হত্যা করা হয়। 

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বিপ্লব গাজীর বাসায় আনুমানিক এক লাখ টাকা ও ল্যাপটপসহ কিছু মূল্যবান সামগ্রী ছিল। দুর্বৃত্তরা তাকে হত্যা করে সেসব নিয়ে গেছে। ঘটনাস্থলে সব কিছু এলোমেলো অবস্থায় পেয়েছে পুলিশ। দুর্বৃত্তদের সঙ্গে তার ধস্তাধস্তির আলামত পাওয়া গেছে। তবে এ ঘটনায় জড়িতরা তার পরিচিত হয়ে থাকতে পারেন বলে ধারণা তদন্তসংশ্লিষ্টদের। কারণ তারা জোর করে ঘরে ঢুকেছেন বলে মনে হয়নি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক প য় হত য

এছাড়াও পড়ুন:

জয়ে নেপাল মিশন শেষ করল বাংলাদেশ

জয় দিয়ে নেপাল সফর শেষ করেছে বাংলাদেশ জাতীয় নারী কাবাডি দল। পাঁচ ম্যাচের সিরিজের শেষ ম্যাচে ২৮-২৩ পয়েন্টে স্বাগতিক নেপালকে হারিয়েছে শ্রাবণী-বৃষ্টিরা। যদিও সিরিজের আগেই ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে সিরিজ নিশ্চিত করেছিল নেপাল, শেষ ম্যাচে জয় পেয়ে সম্মানজনকভাবে সফর শেষ করেছে লাল-সবুজরা।

শুক্রবার নেপালের ললিতপুরের সাতদোবাতোর তায়কোয়ান্দো হলে অনুষ্ঠিত হয় সিরিজের পঞ্চম ও শেষ ম্যাচ। প্রথমার্ধে বাংলাদেশ পিছিয়ে ছিল ৭ পয়েন্টে। বিরতির আগে নেপালের ১৪ পয়েন্টের বিপরীতে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল মাত্র ৭। অষ্টম মিনিটে একটি লোনা আদায় করে স্বাগতিকরা, যা প্রথমার্ধে ব্যবধান গড়ে দেয়। তবে দ্বিতীয়ার্ধে বদলে যায় চিত্র। দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে একের পর এক পয়েন্ট তুলতে থাকে বাংলাদেশ। দুটি লোনা সহ ২১ পয়েন্ট তুলে নিয়ে শেষ পর্যন্ত ৫ পয়েন্টের জয় নিশ্চিত করে সফরকারীরা।  

সিরিজে শুরুটা মোটেও ভালো ছিল না বাংলাদেশের। প্রথম ম্যাচে ৪১-১৮ ও দ্বিতীয় ম্যাচে ২৯-২২ ব্যবধানে হেরে যায় দলটি। তৃতীয় ম্যাচে ফিরে আসে আত্মবিশ্বাস, জয় পায় ২৬-২৩ ব্যবধানে। তবে চতুর্থ ম্যাচে ২১-১৭ ব্যবধানে পরাজয়ে সিরিজ হাতছাড়া হয়। শেষ ম্যাচের জয়টা তাই স্বান্তনার হলেও গুরুত্বপূর্ণ আত্মবিশ্বাস এনে দিয়েছে মেয়েদের মধ্যে।

সফর শেষে বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এস এম নেওয়াজ সোহাগ বলেন, ‘এই সিরিজে আমাদের মেয়েরা ধারাবাহিক উন্নতি করেছে। বিশ্বকাপের আগে কোন জায়গায় উন্নতির দরকার, তা চিহ্নিত করা গেছে। মেয়েরা যে আত্মবিশ্বাস অর্জন করেছে, তা বিশ্বকাপে কাজে দেবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ